“আগুনপাখির গল্প”…
কবি সুলেখা শামুক
মানবিক মানুষের কিংবা নামসর্বস্ব মানুষের
বুকের বাঁপাশে ব্যথা হয়!
আমার কেবল জলোছ্বাস উঠে
কলকল শব্দে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়
দূর থেকে দূরে!
পাপ-পঙ্কিলতা,জরা-ব্যাধি, অসামান্য মানবিক সামান্যতা
ভেকধারী লোকেদের মিথ্যে মায়াজালের মোহান্ধতা
নিংড়ে নিংড়ে শেষ করে বাইরে যাদুর প্রলেপ
দেয়া মেকি জীবন
এইসব পরিপাটি মিথ্যা
ধুয়ে মুছে নিয়ে যায় বুকের বাপাঁশের বানের জল!
এ জল আমার চোখের জল নয়!
এ জল প্রতিটির নারীর ভেতরের জমাটবদ্ধ আগ্নিময় জল!
এ জল অগ্নিগিরির উত্তপ্ত লাভা,
ধিকিধিকি আগুন,ছাই ভস্ম আকাশ ছোঁয়া
দীর্ঘশ্বাস।
এ জল আমাকে ভাসায় না দিগ্বিদিক
এ জল আমায় পরিশুদ্ধতা দেয়!
এ আগুন আমাকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে ছাইভস্ম করে না
আমাকে ফিনিক্স করে তুলে!
আমি মরতে মরতে অবিকল বেঁচে উঠি
মানুষের মানবিক সংকীর্ণতার উর্ধ্বে পৌঁছে যাই!
আমি কখনোই মানুষ নই!
আমি কখনোই নারী নই।
আমি মানুষ হতে চাই না,চাইনি
আমি নারী হতে চাই না,চাইনি
আমি আজন্ম ফিনিক্স!
আমাকে পুড়ানোর আগুন নেই এই পৃথিবীতে!
আমাকে যতোই পুড়ায়
আমি ততোই বেঁচে উঠি নতুন রূপে।
আগুনই আমার জীবনীশক্তি।
আগুনই আমার জীবনের বোধিমূলে
অমৃত সোমরস!