–আলো-ছায়া-মানুষ !!!
—কাজী বদর উদ্দীন।
কল্প-ছায়া কখনো কখনো বেশ দীর্ঘ থাকে-সুদীর্ঘ—
সূচনায় থাকে অসীমের কাছাকাছি!
আবার কখনও ছোট হতে থাকে এ অন্বয়
এর পেছনে থাকে জ্যোতি-উৎসের অবস্হান
বস্তুতঃ প্রকৃত বস্তুর আদল থাকে অব্যয়।
,
কিন্তু আমি যে ভেবে পাই না
মনু-ছায়া এমন দ্রুত খর্ব হচ্ছে কেন?
ঘৃন্য নর্দমার কীট,বর্জ্যের লোভে কিল্ বিলিয়ে উঠছে!
অথবা হয়ে যাচ্ছে— ক্ষীণ চিন্তার কোন ব্লাক স্পাইডার!
অতিকায় অক্টোপাসও হতে পারে
হয়ে যাচ্ছে রক্ত-পায়ী কোন পৌরাণিক বাদুর
কিংবা অভিশপ্ত কোন পিশাচ ড্রাকুলা !!
,
তবে কি মৌল জ্যোতির্ময়ের অগনন রশ্মিধারা
স্হান-কাল ভেদে ক্রমশঃ উল্লম্ব আলো দিচ্ছে?
প্রচন্ড দাবদাহ,
ছায়াহীন মানব কিংবা অতি ক্ষুদ্র ছায়া !
নাকি মিউজিয়ামে যাবে এ চূড়ান্ত সভ্যতা
মানুষের শত-সহস্র শুচি চিন্তার সন্তরণ!
কাজের কানুন আর ললিত-নন্দন!!
‘
এবং একদিন মানুষে মানবে
চূড়ান্ত হানাহানির মারত্মক ভাইরাসে বা নরক-অগ্নিদাহে
কিংবা মহাজাগতিক শিলা সখ্যতায়
ধ্বংস হয়ে যাবে ইমারতসারি-সকল জীবন!!
,
শুধুমাত্র বেঁচে থাকবেন দু’জন মানব-মানবী
অদৃশ্য কোন অলৌকিক শক্তির মহান কৃপায়।
পবিত্র তনু-মনের মৌলবাদী চেতনার
নতজানু স্রষ্টার তরে , বিগলিত ভালবাসায়।
,
মহাজ্যোতির জ্যোতি তখন পুব দিগন্তে
মানবের কল্প-ছায়া সুদীর্ঘ হয়ে র’বে।
শান্ত-স্নিগ্ধ কুসুম-কাননে পদ্ম-ঝিলের পাড়ে
বসন্তের কোমল পবনে থির্ জীবসবে।
‘
সব হারানোর পর আবার নতুন করে
দূরাগত মহান মানুষের মন্দ্রিত পদভারে
পুষ্পিত হবে আবার ললিত ধরত্রী
আরও যৌবনময় প্রেমময় অবাক অবনী!
মহানূর-কায়া-ছায়া সৎ সম্ভাবনার মানুষ
যেখানে সুখ আরও সুখ,কষ্ট হবে সুখের জননী।।
কলাপাড়া ফেরিঘাট। 30/01/2006