কোন সে বালিকা
————————
কিযে মায়ার টান, ঢুলুঢুলু দু’নয়ন
চোখে তার খোদাই করা, আজব নেশার স্বপন।
দু’গালে চিবোয় পান–
আঁচলে লুকিয়ে রেখে জর্দার কৌটা,
আমিতো জানিনা হে! কোন সে বালিকা।
নিজ নীড় ভুলে
বুনেছে বাবুই বাসা কেশ রূপী চুলে,
ঠোঁটে তার রক্তগঙ্গা —
আমিতো জানিনা হে! কোন সে বালিকা।
যত পাখি ওড়ে, তার বুকের সমানা জুড়ে
উড়তেতো মানা নেই! পাখিদের জানা নেই
কোথায় সীমানা শেষ,
যে পাখি একবার খুঁজেছিল সীমানা তার,
শুনেছি সে-ই নিরুদ্দেশ।
ঠোঁট তার হাসিতে চৌচির ফাটে
নির্জনে ভাঙে হাঁড়ি, না ভেঙে জনতার হাটে।
কোনো কথা না বলে, পুষে নীরবতা,
আমিতো জানিনা হে! কোন সে বালিকা।
তার দেহ ঘরবাড়ি, সাজানো সিঁড়িও ছাদ
কোথাও উঁচু নীচু কোথাও গভীর খাদ।
ভঙ্গিমায় লুকানো তার যত সুরক্ষা,
আমিতো জানিনা হে! কোন সে বালিকা।
ধ্যানও ধূলোর কাক
—————————
উবে গ্যাছে মন, হায় হায় কবে
সব ছেড়ে ক্যাকটাস ঠাঁই পায় টবে।
কিছু স্মৃতি বেদনার আনন্দ মলিন
সময় লিখে রাখে কার কত ঋণ।
বাস্তবতা নিরিখে কল্পনা অল্প
জমা রাখে বুক তার স্তব্ধতা গল্প।
জড়োসড়ো কথা, শব্দেরা নির্বাক
পালকের পরতে ধ্যান ও ধূলোর কাক।
শেষ পান্ডুলিপি
———————
বেহিসেবী সময় কখনো বলেনি কিছু
কেবল শ্বেতশুভ্র ধূম্রজাল,
তারপর একদিন নিঃশব্দ পায়চারি শেষে
জমা দিয়ে গেল জীবন তার সমস্ত অর্জন।
৩১.০১.২০২০
অন্ধজল
মাটির উঠোন নিচ্ছে শুষে, যত কুমারী জল
জীবন সেথায় ফেলছে রশি,খুঁজবে বলে তল।
কেউ খুঁজে পায় সাগর কেউবা আবার নদী
কারো জন্য সুখ কারাগার , দুঃখ নিরবধি..।
নোনা দেয়াল পলেস্তারায় বাড়ছে কেবল ঋণ
আর শ্রাবণে দেখা হবে ঝকাস কোনদিন।
টাপুরটুপুর বৃষ্টি ফোঁটা চোখে অন্ধজল
গড়িয়ে পড়ার শব্দটা তার শুধু যে সম্বল।
৩০.০১.২০২০
শোক
এই দিন নষ্ট দিন, নেশার ঝোঁকে
সময় এবং অসময় দু’ই যাচ্ছে পরলোকে।
কি নেশায় মত্ত তুমি,ধরেছে কত?
নেশায় সারছে রোগ, নেশাতেই ক্ষত।
নেশা মানে টান,অনুভূত প্রান, স্নায়ুর ঝোঁক
প্রতিটি জীবনই নেশাগ্রস্ত, খুঁজে দেখলে শোক।
জীব মাত্রই তড়পায় নেশাতে বুঁদ
প্রান আছে নেশা নেই, আহা! কি মর্মন্তুদ।
২৯.০১. ২০২০