ফজলে রাব্বি,বাগাতিপাড়া নাটোর:
বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। সারাদেশের মানুষের সময় কাটছে লকডাউন বা বাসার ভেতরেই। অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বের হচ্ছেন জরুরী কাজে আবার অনেকেই বের হতেই চাইছেন না। আজ হঠাৎ কাঠফাটা রৌদ্রতপ্ত দুপুরে দেখা মিলল এক ঝাঁক তরুণদের।তাদের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর বাজার।তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা উদীয়মান জাগরিত নবীন ‘উজান’ এর কর্মী। তারা প্রতিদিন বাগাতিপাড়া উপজেলার অন্যতম বৃহৎ বাজার দয়ারামপুর ও এর আশে-পাশের এলাকায় মানুষের দোড়গোড়ায় অভিনব এক সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। তাদের দেয়া হটলাইন নাম্বার (০১৭৪০১১৪৩৮৬) এ যেকোন মানুষ ফোন করে তাদের চাহিদামত জিনিসপত্রের তালিকা বলবেন।
পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়ে সেই তালিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র বাজারমূল্যে তারা এসকল সামগ্রী সরবরাহ করছেন। এ বিষয়ে সেবাগ্রহীতা ওই এলাকার নন্দীকুজা গ্রামের ফারজানা রেজা বলেন,আমি আজ সকালে উনাদের দেয়া নাম্বারে ফোন করে আমার জিনিসপত্রের তালিকা বলি। পরে একঘন্টার মধ্যেই তারা কোন ডেলিভারী চার্জ ছাড়া স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে শুধুমাত্র ন্যায্য বাজার খরচ গ্ররণ করে বাসায় এসে সবগুলো জিনিস পৌঁছিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে এই সেবার উদ্যোক্তা ও উজানের সাধারণ সম্পাদক এম এল এইচ নয়ন বলেন,’আসলে আমরা এই দূর্যোগপূর্ণ সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাচ্ছি, সব সময় মাঠে থেকে মানুষকে সচেতন করছি।আর ফোন কলে খাবার তালিকা নিয়ে খাদ্য সরবরাহ এটায় আমরা নিয়মিত সাড়া পাচ্ছি। মানবতার জন্য আমি সহ আমার সংগঠনের প্রতিটা কর্মী সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন।আমরা নিজেদের সাধ্যমত গরীব-অসহায়দের ইতিপূর্বে সাবান-মাস্কও বিতরণ করেছি। উল্লেখ্য, উজান একটি স্বেচ্ছাসেবী রক্তাদাতাদের অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন।এর আগেও উজানের প্রায় ২০০ কর্মীরা রাস্তা সংস্কার,নিয়মিত রক্তদান,গরীব-অসহায়দের খাদ্য সহায়তা দিয়ে শিরোনাম হয়েছেন।
Advertisement