কবি গোলাম কবির‘এর দু‘টি কবিতা

0
137
Golam Kabir

অতৃপ্তি, কবিতার জন্য

গোলাম কবির

কখনো হঠাৎ করেই দুপুরবেলায়
যেমন কারো বাড়িতে চুলার ওপর
ইলিশ রান্নার ঘ্রাণে সুপ্ত ক্ষুধাও
চনমন করে ওঠে!
ঠিক তেমনি করেই কবিতার তীব্র ঘ্রাণে
কখনো এমন হয় – ইচ্ছে করে
আজ শুধু কবিতার সাথেই সংসার হোক,
আজ শুধু কবিতার সাথেই প্রগাঢ় প্রেম হোক!
আজ শুধু কবিতা নিয়েই কেটে যাক সারাদিন
এমনকি কেটে যাক সারাটা রাতও!
কিন্তু সেই ভীষণ ইচ্ছেটা পূরণ হয়নি,
হয়না কোনোদিনই, কয়েকটি মুখের
আহার যোগানোর জন্য ছোটোবেলায়
বহুবার করা বানরের তৈলাক্ত বাঁশে চড়ে
আবার নেমে যাবার অংকের মতো
সময় ফুরিয়ে নিভে যায় কবিতার আগুন,
ছাইটুকু শুধু পড়ে থাকে
গভীর বিষাদে হৃদয় কন্দরে আমার!

আমার স্বীকারোক্তি

গোলাম কবির

কিছু একটা লিখার জন্য মনটা ভীষণ
তড়পাতে থাকে জালে ধরা পড়া
কৈ মাছের মতো, প্রাণ যায় না চলে
কিন্তু ভীষণ তড়পাতে থাকে।
মনেহয় আমি যেনো কী বলতে চাচ্ছি
অথচ বলতে পারছিনা, লিখতে চাচ্ছি
কিন্তু লিখা আসছে না!

এ এক ভীষণ অব্যক্ত এবং অদেখা কষ্টের
খাঁড়ায় পড়ে খাঁচায় বন্দি পাখির মতো
নিরুপায় বসে থাকা! একটা ভীষণ
অতৃপ্তির কষ্ট গ্রাস করে আমার
আলোকিত সকালের স্নিগ্ধতা,
বিষণ্ণ দুপুরে প্রখর রোদে ভেজা
সময়ের ঘর্মাক্ত শরীরের ক্লান্তি,
চাঁদের আলো জ্বেলে দেয়া সন্ধ্যায়
নদীতে চিকচিক করতে থাকা ঢেউ
বুকের মধ্যে কেমন একটা ঝিম মেরে
বসে থাকা বালকের অনুভুতি আমাকে
আচ্ছন্ন করে রাখে! আর রাত?
সে তো ভীষণ অসহনীয়, একাকীত্ব
গ্রাস করে এমনভাবে যেমন গ্রহণলাগা সূর্য,
চারিদিকে ভীষণ অন্ধকারের মধ্যে
একজন অন্ধজনের লাঠি হাতড়ে বেড়ানো।

আমি তো আসলে কোনো কবিই নই!
আমি শুধু আমার দেখা সত্যিটা,
আমার রক্তাক্ত ক্ষতের কথা গুলো,
ভাবনা এবং স্বপ্ন গুলোকে আমার দূর্বল
এবং অপটু হাতে অক্ষরের মালায় গেঁথে রাখি।
ভবিষ্যতই জানে এগুলো কোনো কবিতা
হয়েছে কীনা, তাই ভবিষ্যতের হাতেই
ছেড়ে দিলাম সেগুলোর বিচার।

Advertisement
উৎসGolam Kabir
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে যুব হকি চ্যাম্পিয়ন : ফুলের শুভেচ্ছা জানান ডিসি
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরে ভিজিডি কার্ডধারী চাউল না পাওয়ার অভিযোগ : ২০ হাজারে রফা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে