নাটোর কন্ঠ : নাটোর। জালের মত বিছিয়ে থাকা, শত নদ-নদী বাহিত পলিমাটি দিয়ে গড়া য়েন এক সবুজ শরীর। নদ-নদীগুলো আমাদের জীবনযাত্রায় নানাবিধ ভূমিকা রাখে। নাটোরের সার্বিক প্রাণপ্রবাহ, প্রবহমান রয়েছে জলধারার গতিময়তার সাথে। কিন্তু এই জীবনদায়িনী যেন আমাদের উপেক্ষার শিকার।
বিধৌত এই জনপদের নদ-নদীগুলোর পরিচিতি এখন কম। জানাশোনা এবং তাদের প্রতি আচরণে আমরা অনেকেই উদাসীন। আমাদের এই সংকীর্ণতা দূরীকরণ, অফিস আদালতের চেয়ার টেবিল আর র্যা লি সেমিনারে সীমাবদ্ধ।
অন্য দিকে মুখথুবরে পড়েছে নদী বাঁচাও আন্দোলন। জেলা প্রশাসকের তথ্য বাতায়ন বলছে- ‘নাটোর জেলা দিয়ে প্রবাহিত উল্লেখযোগ্য নদ-নদীর মধ্যের রয়েছে মুসাখাঁ, নন্দকুঁজা, বারনই, গোদাই, বড়াল, খলিসাডাঙ্গা, গুরনই এবং নারদ নদ।
মুসাখাঁ : দৈর্ঘ্য ২৫ কি:মি:।নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলা থেকে শুরু হয়ে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা হয়ে আবার নাটোর জেলার সদর উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
নন্দকুঁজা : দৈর্ঘ্য ৮৯ কি:মি:।রাজশাহী জেলার চারঘাট, বাঘা উপজেলা ও নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া, লালপুর, বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ।
বারনই : দৈর্ঘ্য ৯৩ কি:মি:।নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
গদাই : দৈর্ঘ্য ২৬ কি:মি:।নাটোর সদর ও সিংড়া উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বড়াল : দৈর্ঘ্য ৮৯ কি:মি:।রাজশাহী জেলার চারঘাট, বাঘা উপজেলা ও নাটোরের বাগাতিপাড়া, লালপুর, বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
খলিসা ডাঙ্গা : দৈর্ঘ্য ১৭ কি:মি:।নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
নারদ নদ : দৈর্ঘ্য ১৮ কি:মি:।নাটোর সদর ও সিংড়া উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।’
উল্লেখযোগ্য এই নদ-নদীর তালিকায় গুড়নই নদী সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে- নদীর নাম গুরনই তবে জনশ্রুতি রয়েছে এই নদীর নাম ‘আত্রাই’। নদীটির উৎপত্তি হিমালয়। ভারত থেকে নওগাঁ, নাটোর এবং পাবনা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যমুনায় মিশেছে।
উল্লেখ্য তথ্য বাতায়নে নাটোরের ‘মির্জা মাহমুদ’ নদ‘এর কথা নেই। নাটোরে এখন অনেক নদ-নদীর রেখা আছে। দখলে আর দূষণে বিলুপ্ত প্রায়। এই সমস্ত নদ-নদী দখলমুক্ত ও পানি প্রবাহের ধারা অব্যাহত রাখতে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা আদৌ কি কোন কাজে এসেছে?