নাটোর কন্ঠ : নাটোরের সিংড়া উপজেলার, চলনবিল অঞ্চলে চলতি বোরো মৌসুমে বিলের ধান কাটা শেষ হয়েছে। বিপুল পরিমাণ খড়কুটো পড়ে আছে শুকনো বিলের মাঝে। আর এই খড়কুটো খাওয়তে চলন বিলে চলছে, ভ্রাম্যমান মহিষ খামার।
নাটোরের লালপুর উপজেলার বিল মারিয়া ইউনিয়নের খামারি, মহসিন আলী ২ শত মহিষের এই দল নিয়ে চলছে চলন বিলে। যতদিন বিলে পানি না আসে ততদিন অবস্থান করবেন এই বিলে। এতে করে সাশ্রয় হবে মহিষের খাদ্য খরচ।
খামারি মহসিন আলী জানান, “৪০ বছর যাবত এই মহিষ লালন পালন করেন। ২ শত মহিষের এই খামার নিয়ে, চলন বিলে এসেছে, ২ মাসের জন্য। সাথে আছে ১৬ জন কর্মচারী। প্রত্যেকের বেতন, মাসে ১২ হাজার টাকা। এ অর্থেই চলে কর্মচারীদের সংসার।
বর্তমান খামারে মোট ৬০টা মহিষ দুধ দেয়। একটি মহিষ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ১০ কেজি দুধ পাওয়া যায়। গড়ে প্রতিদিন খামারে দুধ উৎপন্ন হয় ১০ থেকে ১২ মন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
এই দুই মাসে, লাগবে না কোন, খাদ্য খরচ। মহিষ‘এর এই খামারে, উৎপাদিত দুধ থেকে তৈরি হয় ক্রিম, ছানা, ঘি। সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে।’’
এমন অনেক ভ্রাম্যমান খামার চলছে নাটোরের বিলাঞ্চলে। অন্যদিকে বিলের জমিতে পড়ে থাকা খড়কুটো পরবর্তী বর্ষার পানিতে পচে জৈব সার তৈরি করে। যার সুফল পায় কৃষকেরা। তাহলে কি আগামী বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটটার আশঙ্কা সচেতন মহলের।
এমন অনেক ভ্রাম্যমান খামার চলছে নাটোরের বিলাঞ্চলে। অন্যদিকে বিলের জমিতে পড়ে থাকা খড়কুটো পরবর্তী বর্ষার পানিতে পচে জৈব সার তৈরি করে। যার সুফল পায় কৃষকেরা। তাহলে কি আগামী বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটতে পারে? এমন আশঙ্কা সচেতন মহলের।