নাহিদুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম, নাটোরকন্ঠ:
নাটোরের বড়াইগ্রামে কুকুর মারাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে বড়াইগ্রাম উপজেলার দোগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দোগাছি গ্রামের মৃত খবির উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ জামিরন বেওয়া, ছেলে জহুরুল ইসলাম ও রুহুল আমিন গুরুতর আহত হন। জানা যায় -দোগাছি গ্রামের মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে মোঃ জহুরুল ইসলাম দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে হাঁস পালন করতেন। তার পার্শ্ববর্তী আবুল কালামের বাড়ির একটি কুকুর প্রায়ই জহুরুলের হাঁসের ছোট বাচ্চা এবং ডিম খেয়ে ফেলতো। এই ঘটনা জহুরুল আবুল কালাম কে অবহিত করার পরেও সচেতন হয়নি।
গত শুক্রবার সকালে আবুল কালাম এর একটি কুকুর জহুরুলের একটি হাঁসের বাচ্চাকে খেয়ে ফেলে পরে জহুরুল লাঠি দিয়ে কুকুরকে আঘাত করে পরে বিষয়টা আবুল কলাম জানার পরে দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে আবুল কালাম বাড়িতে ফেরত গিয়ে তার ছেলে সাদ্দাম হোসেন, সুজন, ফারুক, শাহাবুদ্দিন, শামীম,সনেকা বেগম মলিনা খাতুন সহ আরো ৮-১০ জন মিলে দা -কোদাল, জিআই পাইপ, হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশের লাঠিসহ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া হামলা করে। এতে করে লাঠির আঘাতে জহুরুলের এক হাত ভেঙে যায়। তার মা জামিরন বেগমের হাসুয়ার আঘাতে হাতের দুটো আঙ্গুল কেটে যায় এবং জিআই পাইপ দিয়ে আঘাত করলে ভাই রুহুল আমিন গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
পরে ঘরের দরজা জানালাসহ বাড়িতে থাকা একটি ভটভটি গাড়ি ভাঙচুর করে সংঘবদ্ধচক্রটি।তারা ঘরে প্রবেশ করে স্টিলের আলমারির ভেঙ্গে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা এবং চার ভরি স্বর্ণালংকার যার মূল্য ২লাখ ২৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে এলাকাবাসী বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করে।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস জানান- লিখিতভাবে অভিযোগ পেয়েছি ঘটনা সত্যতা যাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।