নাটোরের সিংড়ায় আইটি হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন 

0
124

নাটোর কণ্ঠ : নাটোরের সিংড়ায় ‘ভারতিয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী কে নিয়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক’ এর স্থাপন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এসময় ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আজ (রবিবার) সিংড়ায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই আইটি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

এ উপলক্ষে সিংড়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিংড়ায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন সম্পন্ন হলে এই এলাকার তরুণ-তরুণীরা ঘরে বসে ইউরোপ-আমেরিকার মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার উপার্জন করতে পারবে।

এই হাই-টেক পার্কে থাকছে স্টিল স্ট্রাকচারের সাত তলা মাল্টিটেনেন্ট ভবন, তিন তলা ডরমেটরি ভবন, একটি সিনেপ্লেক্স ভবন, খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এসব স্থাপনার মাধ্যমে সিংড়ায় একটি চমৎকার ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হবে। ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করবে এই ‘হাই-টেক পার্ক’।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করতে গিয়ে ভারতের যে ১৯৮৪ জন সেনা সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

তিনি বলেন, এখানকার তরুণ প্রজন্ম যেনো উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেন চাইল্ড ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

এছাড়া পাশেই রয়েছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ জনবল তৈরি হবে এবং তারাই এই হাই-টেক পার্কে কাজ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে এখান থেকেই আমাদের মেধাবী তরুণরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি রোবটিক্স, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করবে।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরো দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে,

ইতোমধ্যে ০৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে যেখানে ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাই-টেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক এ, কে, এ, এম, ফজলুল হক জানান, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নাটোরের সিংড়া উপজেলাধীন শেরকোল মৌজায় ৯.২৮২৬ একর জমিতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে

এখানে প্রায় ৩০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। অনু্ষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের গ্রীনভ্যালী পার্কে উপচে পড়া ভিড়
পরবর্তী নিবন্ধবড়াইগ্রামে তেল জাতীয় ফসলের উজ্জল সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে