সৌরভ সোহরাব,সিংড়া, নাটোরকন্ঠ:
নাটোরের সিংড়ায় মন্দিরের সামনে খাস জমিতে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে দু-দল হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই জেরে প্রভাবশালী হিন্দুর হুমকিতে দিনমজুর ১ হিন্দু পরিবারকে এক ঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলার ছাতার দিঘী ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীর সুত্রে জানা যায়,মাটিকাটা গ্রামে প্রায় ১০০টি হিন্দু পরিবার বসবাস করে। এই হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি মন্দির ও একটি শশান আছে। ঘটনার প্রতিপক্ষ দিনমজুর প্রভাষ সহ কয়েকজন হিন্দু দিনমজুরের দাবি মন্দিরের সেক্রেটারি সকেন ও তার দলবল দীর্ঘদিন থেকে এলাকার খেটে খাওয়া, দিনমজুর,হতদরিদ্র হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর জুলুম নির্যাতন করে আসছে। এখানকার কিছু খাসজমি আছে যা তাঁদের দখলে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনমজুর প্রভাষ তাঁর বাড়ির ৪টি গরু মন্দিরের সামনে খাস পরিত্যাক্ত জায়গায় দাড়ক দিলে মন্দির কমিটির সেক্রেটারি সকেন মন্দিরের সামনের এই খাস জমির মালিক দাবি করে ৪ টি গরু খুলে দেয়। প্রভাষ প্রতিবাদ করলে তাকে বেদম মারপিট করে। পরে প্রভাষেরা সকেনের বাড়িতে গেলে দু পক্ষের মধ্য মারপিট শুরু হয়। এক পর্যায় সকেন ও তার লোকজনের একত্রিত হয়ে ধাওয়া করলে প্রভাষ বাড়িতে উঠে। এর পর সেখানে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এতে দু পক্ষের ৪/৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে প্রভাষ সহ ৭/৮ জনকে কালিগঞ্জ পুলিশ ফাড়িতে নিয়ে যান।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানায়, এর আগে মঙ্গলবার প্রভাষের এক আত্নীয় জগন্নাথ পরলোকগমন করলে তারা শশ্মানে নিয়ে গেলে মন্দির কমিটির সকেন ও বাবলু বাঁধা দেয়। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছিল সকেন ও দিনমজুর প্রভাষের পরিবারের সাথে। প্রভাষ ও তার আত্নীয়দের দাবি ঘটনার পর থেকে তাদের কে এক ঘরে করে দেয়ার জন্য হুমকি ও নানা অপচেষ্টা করা হচ্ছে। পুজায় বাধা দেয়া হয়, বাড়ির সামনে খাস জমিতে গরু চড়াতে নিষেধ করে, বাড়ির পিছনে খাসজমির উপরে শৌচাগাড় বন্ধ করতে বলে এভাবে প্রভাষ সহ আমাদের কয়েকটি পরিবারকে একঘরে করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আরেক দিনমজুর নিখিল জানান, তারা গরীব, দিনমজুর এজন্য প্রভাবশালী বাবলু ও সকেন অনেক দিন ধরে তাদের জুলুম নির্যাতন করে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের মারধরের শিকার হতে হয়।
সিংড়া থানার ওসি নুর আলম সিদ্দীকি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত, বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করা দরকার