গুরুদাসপুরে পরকীয়ায় করাই ছাত্রলীগ নেতার বিয়ে
স্টাফ রিপোর্টারনাটোর কণ্ঠ:
নাটোরের গুরুদাসপুরে ফিড ব্যবসায়ী স্ত্রীর পরকীয়ায় জড়িয়ে নিয়মিত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তার ঘরে যেতেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাশীষ কবির সুবাস । মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটায় গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাজার পাড়া মহল্লায় নারীর ঘরে গিয়ে ধরা পড়ার পর ছাত্রলীগ নেতাকে ১০ লাখ টাকা কাবিনমূলে বিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । এলাকাবাসী জানায় ,নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর এলাকার চাঁচকৈড় বাজার পাড়া মহল্লার ফিড ব্যবসায়ী জনি রহমান স্ত্রী নুপুর আকতারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগ নেতা সুবাস ।এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ব্যবসায়ীকে অন্যঘরে ঘুমিয়ে রেখে ওই নারী ও সুবাস পাশের একটি কক্ষে অবৈধ মেলামেশার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়। পরে পরকীয়ায় জড়িত হওয়ায় স্বামী তাকে সঙ্গে সঙ্গে তালাক দেন ।পরে তাদের দুইজনের সম্মতিতে এলাকাবাসী এবংওই নারীর স্বামী সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা কাবিনমূলে বিয়ে দেয়া হয়ে । বিয়ে পরান স্থানীয় কাজী আব্দুল্লাহ ।রাতেই নববধুকে নিয়ে ছত্রলীগ নেতা সুবাস নিজবাড়ি উপজেলার খুবজীপুরে নিয়ে যায় । ভূক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ১২ বছর পূর্বে ফিড ব্যবসায়ী জনি রহমানের সঙ্গে কুষ্টিয়ার বাহাদূর পুরের মৃত রফিক মল্লিকের মেয়ে নুপুর আকতারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় । ১২ বছর সংসার করাকালে তাদের কোন সন্তান নেই ।কর্ম ব্যস্ততার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় জনিকে পার করতে হয় বাসার বাইরে। এই সুযোগে গত ২ বছর যাবৎ জনির স্ত্রী নুপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাশীষ কবির সুবাসের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাশীষ কবির সুবাসের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায় । নাটোর জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল মাসুম জানান, ছাএলীগ নেতা সুবাস পরকীয়া করে ধরে পরে বিয়ে করেছে বলে আমিও শুনেছি ।