নাটোর কণ্ঠ;
নাটোরে আজ শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই পশ্চিমে আকাশ জুড়ে কালো মেঘে ছেয়ে যায়, অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি। জেলার সবকটি উপজেলাতেই এই বৃষ্টি হওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে। প্রাচীন মুরব্বীদের ভাষায়, মরক আর কোন রোগ বালাই এর পরে ঝড় বৃষ্টিতে তা প্রশমিত হয়। ধুয়ে মুছে যায় রোগজীবাণু। বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না থাকলেও এ কথায় জনজীবনে এক প্রকার স্বস্তি বিরাজ করছে।তবে জেলার অনেক স্থানে বেশকিছু ঘর বাড়ি পরে যাওয়া এবং আম ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষকরা।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপি চলা এ বৃষ্টিতে নাটোরের বড়াইগ্রাম লালপুর গুরদাসপুর সহ বিভিন্ন উপজেলায় আম ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষকরা। বড়াইগ্রাম, বাগাতিপাড়ার একাধিক আম চাষী জানান, এই ধরে আমের গুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি রসুন ও রবিশস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত সরকার জানান, শিলা বৃষ্টি এবং ঝড় হয়েছে তবে তা রবিশস্যের খুব একটা ক্ষতি করবে না। আরা আম সবেমাত্র গুটি হয়েছে। তবে যাই হোক বর্তমানে ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।