ঋতু…
নীল মাহাবুব
আচ্ছা বসন্ত কি আছে তোমার
বুক
প কে টে?
আছে কি
ঝরাপাতার গল্পে নতুন করে
গজিয়ে উঠবার অবাক সবুজ…..!
জানোই তো…
হৃদয় আমার গ্রীষ্মের
ঘ্রাণে
মাখামা…খি;
একমুঠো গল্পও তাই
বড্ড ভালো
বাসি…
আচ্ছা ?
দু’জন
মিলে
কি
শরত হওয়া যায়?
দু’জন মিলে নবান্ন,
দু’জন মিলে মেঘ গুড়গুড় ডাক!
দু’জন মিলে জড়োসড়ো,
দু’জন মিলে
শুধুই
বারং
বার….!
বুঝে
নিও
মন সত্যি
ঋ
তুর
মতন…
হৃদয় একটা যা তা…
নীল মাহাবুব…সকাল দশটা ৫৫/ ২৩ ফেব্রুয়ারী…
তুমি বসেছিলে
যাত্রী
ছাউনিতে,
আর আমি
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত
বাসে;
এরপর সময়টা কেমন যেনো ইউটার্ন নিলো,
হৃদয় জুড়ে একপশলা বৃষ্টি নামলো,
বক্ররেখায় পা বাড়ালো
একপলকের
হারিকেন আবেগ;
তুমি এসে বসলে
১৩ নম্বর সীটে,
আর আমি নেমে গেলাম
উষ্ণতম
যাত্রী
ছাউনিতে;
যদিও এতে বাসের কিছু আসে যায়না,
যায় আসেনা হেলপারের…
ড্রাইভার সেতো সুখটানে চালায়,
মনখারাপ হয় ইঞ্জিনের…
কাল আবার
আসবে তো?
দুই কে না হয়
এক করে নেবো,
কিছু তো হোক
হৃদয়ের….
ব্যক্তিগত বকুলতলা …
নীল মাহাবুব……দুই দুই ফেব্রুয়ারী / রাত ২ টা দুই…
সময়ের একটা দাড়িয়াবান্ধা-য় এসে, সবাইনা কেমন যেনো অদ্ভুত হয়ে যায়; কফির মগে কফি তো থাকে, ধোঁয়ার হাত ধরে শুধু ঘ্রাণটা উড়ে যায়;
বলি তাই….
ভুল হলে ভুল পথে
হেঁটোনা;
ঠিক করে নিও
যতোটুকু
আমি পারিনা;
জানোই তো…যখন হুইসেল বাজায় অন্দরমহল, এই অপদার্থ মিস্ত্রী তখন, আকাশ ছুঁতেও পারে; পারে কারফিউ ভেঙে বুক পেতে দিতে;
শোনো তাই….
ঠিক হলে
আরো ঠিকঠাক
করে নিও;
সবুজ পাতাবাহারে
সযতনে
জল ঢেলে দিও;
আমার ঘ্রাণ তুমি পাবে, পাবে আমার হতচ্ছাড়া দীর্ঘশ্বাস, পাবে উৎকন্ঠা অপেক্ষা আর…একটুকরো আবেগের তোলপাড়;
বকুলতলায়
একবার গিয়ে
দাড়িও….
ফাল্গুনী ফেব্রুয়ারী—–নীল মাহাবুব.
২১ তারিখ / বেলা সোয়া ১টা
আজ আমি
সাদা,
আজ তুমি
কালো….
রঙের সাথে
যদিও কাটে
আমাদের বাকি দিনগুলো…
প্র
ভাত
ফেরিতে
চলো….
মানব শরীর
আজ যেনো অক্ষরের
ভেহিকল…
এই
একটি
দিন
হুইসেল বাজিয়ে চলে…
আমার
কেমন যেনো
লাগে…
আজ তাই…
আমি
৫২ আর
তুমি ২১…
বিশ-বাইশের কোনো বেল নেই এখানে;