প্রতিরোধ
কবি রাকিবুল রকি
প্রতিকার নয় প্রতিরোধ!
রুখতে হবে করোনা
তাই ডাকছি অবরোধ।
আজ রুখতে হবে ক্ষুধা,
ছাড়তে হবে সূধা,
বদলাতে হবে স্বভাব…
ভূলতে হবে দ্বিধা!
আজ হোকনা পথ রুদ্ধ
গাড়ি ঘোড়া শুদ্ধ
থাকবো অবরুদ্ধ
হোক একলা থাকার যুদ্ধ!
আজ সঙ্গহীন জীবন
স্পর্শহীন যৌবন
গড়ি আড্ডাহীন ভূবন
ঠেকাই করোনা সংক্রমণ!
এ এক মুকুট ভাইরাস!
ঘুরে ক্ষমতার চারপাশ
করে দাম্ভিকে দংশন
হয় তুচ্ছে জীবন নাশ!
এর লক্ষ যে মানুষ
খোঁজে মানুষের ফুসফুস
ঢোকে নাক-মুখ-চোখ দিয়ে
করে গলায় ঘুসঘুস!
ঘটায় সর্দি-কাশি-জ্বর
গলা ব্যাথার ডর
পাতলা দাস্ত যায়
আর শ্বাসযন্ত্র নড়বড়!
ভীষন শ্বাসকষ্টে
রুগীর জীবন যায় আসে
নাই প্রতিষেধক যার
কিসে হবে প্রতিকার!
তাই আতঙ্ক নয় আর
প্রয়োজন সাবধানতার
সচেতন বিবেক যার
আছে সূযোগ তার বাঁচার!
চলো…
হই স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী!
থাকি সদা ঘরে ;
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া
না যাই বাহিরে!
ঘনঘন হাত ধুই সাবান হ্যান্ডওয়াশে,
জিবানুনাশক লাগাই হাতে প্রতিটি স্পর্শে।
এড়িয়ে চলি করমর্দন, কোলাকুলি ভাই ;
সমবেত সমাবেশে যাওয়ার দরকার নাই।
বিশেষ কাজে বাইরে গেলে মাস্ক পরি মুখে,
চোখে চশমা হাতে গ্লোবস থাকি জুতা- টুপিতে!
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি সারাক্ষন,
করোনার সংক্রমণ রুখতে থাকি সচেতন।
কারো ঘরে না হই কুটুম, আসবে না কেউ ঘরে ;
বেঁচে থাকলে হবে দেখা দূর্যোগ কাটার পরে।
মোবাইলে রাখি খবর আত্মীয় স্বজনের,
প্রয়োজনে সাহায্য নিই নিকট প্রশাসনের।
চক্ষুলজ্জা ভুলি আজ শরম ও শংসয়,
আপদকালিন সবাই দূস্থ্য মনে রাখা চাই।
সামর্থ্যবান হক্কুলঈবাদে দিবেন মনযোগ,
মহাণ স্রষ্ঠায় হেফাজতের রাখিতে সূযোগ।
প্রবাসীদের গৃহবন্দি থাকতে হবে ভাই
অনুপ্রবেশকারীর স্বাধীন ঘুরার সূযোগ নাই!
সংক্রমিত ব্যাক্তির তথ্য প্রকাশ করা চাই
প্রশাসনের সহায়তায় চিকিৎসা করাই।
জিবানুনাশক ছিটাই চারপাশ থাকি পরিষ্কার,
ঘর হতে বাড়ীর চারপাশ, রাস্তা,পারাপার।
ঘনঘন গরম জল পান করি সবাই
বেশিবেশি চা পান করি আদা-লং ডুবাই!
শরবত আর তরল খাবার বেশি খাওয়া চাই
পূর্ণ সেদ্ধ খাবার খাই, অর্ধ-সেদ্ধ নয়।
করি ভিনেগার, লেবু,তেঁতুল, আমলকির সন্ধান ;
ভিটামিন সি খাই পেতে করোনায় পরিত্রাণ !
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি বাড়াতে পারি,
করোনা প্রতিরোধে সবাই সফল হতে পারি!
ধর্মীয় রীতিনীতি মানি,ধর্মান্ধতা নয় ;
প্রার্থনা করি ঘরে বসেই, চাই স্রষ্ঠাতে আশ্রয়!
প্রযুক্তি নয়…
আত্মনিয়ন্ত্রনই শ্রেষ্ঠ উপায় ;
মহাণ স্রষ্ঠার করুনাতেই…
পেতে পারি রেহায়!!