“করোনা” নিয়ে কত পোস্ট দেখলাম।
কিছুটা অবাক হলাম।
এমন কঠিন রোগ নিয়ে তামাশা করে লেখেছেন, “করোনা” আমাকে ধরোনা।
লেখাগুলো পড়তে গিয়ে আহত হয়েছি। আবার অনেক এতো কবিতা লিখেছেন দুর্ভাগ্য, কবিতাগুলো করোনার কানে শুনছেনা। এই কয়দিনে কোনো কবিতা লেখার চেষ্টা করিনি, মন দিয়ে পড়তেও পারছি না। বেঁচে থাকলে কতো কবিতা লিখতে পারবো।
আমাদের চারপাশের অসহায় মানুষগুলো কেমন আছে? যার যতটুকু সামর্থ তা দিয়ে এগিয়ে আসুন। সাহায্য করুন দেশের দুঃসময়ে পাশে থাকুন। আল্লাহ সর্বশক্তিমান তিনি দয়ার সাগর তিনি পারেন একমাত্র বিপদ থেকে রক্ষা করতে। বেশি বেশি ইবাদত করুন আল্লাহ্কে স্বরণ করুন। বাড়িতে চারপাশে আজানের সুমধুর ধ্বনি কোরআনের বাণি আল্লাহর কানে যেন শুনতে পান।
সেভাবে ডাকুন গুনাগার বান্দাদের যেন হেদায়ত করেন। হয়তো বলতে পারেন আমি কি নামাজ কোরআন পড়ি? হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন যে কাজ নিজে করো না সেই কাজ করার উপদেশ অন্যদের দিওনা । তবুও বলি আমি এমনিতেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কুরআন পড়ি। লোক দেখানো ইবাদতে আমি বিশ্বাসী নই।
এখন আমাদের সামনে কঠিন সময় প্রতিদিন একবার হলে ও কোরান পাঠ করেন নামাজ পড়েন। অামরা সবাই চলার পথে কত পাপ করি।
আমরা তো আর ফেরেসতা না, আমরা মানুষ ভুল করতে পারি। আল্লাহ যেন আমাদের গুনাহ্ মাফ করেন। আমাদের দেশে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ করোনা ভাইরাস। এই যুদ্ধে মরলে আমার দুঃখ থাকবে না।হয়তো মহাযুদ্ধে শহীদ হবো।বেঁচে থাকলে হয়তো আবার দেখা হবে বন্ধুরা অামার স্বজনরা। আমি যদি কারো মনে কষ্ট দিয়েই থাকি, তাহলে সবাই নিজ গুণে সুন্দর দৃষ্টিতে ক্ষমা করবেন।