মরীচিকা
ভৌতিক গল্প -পর্ব ০৯
শাপলা জাকিয়া :প্রবাল যখন বললো, দরজা আটকে গেছে, খোলা যাচ্ছে না, আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। এতোক্ষণ যে সাহসে ভর করে চলছিলাম তা যেন তলানিতে এসে ঠেকলো। দ্রুত হাতের কাছের সুইচ বোর্ডের সুইচ চেপে ধরলাম। ঝলমল করে উঠলো ড্রইংরুম।
এক ঝলক আলো দমবন্ধ অস্থিরতায় বিশুদ্ধ অক্সিজেনের মতো কাজ করলো। আমার সাহস ফিরলো কিছুটা, হয়তো প্রবালেরও। কারণ একটু আগেও ওর গলাটা নার্ভাস ছিল, এবার চনমনে শোনালো,
– ইন্টারকম থেকে দাড়োয়ানকে বলি একজন মিস্ত্রী পাঠাতে যে লক খুলে দেবে।
আমি প্রবালের হাত চেপে ধরলাম। ইন্টারকম আছে ডাইনিং রুমের এক কোণায়, কিচেনের সামনে। ওর একা ওখানে যাওয়া উচিত হবে না। মুখে বললাম,
-যেও না। বরং মোবাইলে কল করো। দাড়োয়ানের নাম্বার সেভ করে রেখেছিলে ফোনে।
-কি নামে সেভ করে করেছিলাম? দাড়োয়ানের নাম যেন কি?
আমিও মনে করতে না পেরে দ্রুত বললাম,
-তবে রুনা ভাবিকে ফোন করো।
প্রবাল মোবাইল স্ক্রিনে আঙুল নাড়াচাড়া করে বললো,
-কী আশ্চর্য! নেটওয়ার্ক খুব দুর্বল দেখাচ্ছে।
আচমকা প্রবল বাতাসে জানালার গ্লাসগুলি ঠক ঠক করে শব্দ করতে শুরু করলো। বাইরে বোধহয় ঝড় উঠলো। বাতাসের গোঁ গোঁ, শোঁ শোঁ শব্দে এই ছয় তলার ফ্ল্যাটটাকে আমার সমুদ্রে ভাসমান জাহাজ মনে হলো। জাহাজটা ডুবে যাবে না তো! রূপালীর পরবর্তী আক্রমণ কি হবে?
প্রবাল বললো,
-আকাশে মেঘ আছে বলেই হয়তো আজ ফ্ল্যাটটা এতো অন্ধকার হয়ে আছে। ঝড়ের জন্য সম্ভবত মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল।
এতোক্ষণে মুখ খুললো দীপু, কিছুটা চিন্তিত আর অস্থির গলায় বললো,
-এটা ঝড়ের জন্যও হতে পারে আবার রূপালীও করতে পারে। অতৃপ্ত আত্মা যখন কোন মানব শরীরে বারবার ঢোকার সুযোগ পায় তখন তার শক্তি বেড়ে যায়। মেঘলার শরীরে যতোবার ঢুকেছে, ততোবার ওর শক্তি চুরি করেছে রূপালী। ওকে থামাতে হবে।
দীপু কথাটা শেষ করার সাথে সাথে রুমের লাইটটা দপ করে নিভে গেলো। আমি চমকে উঠলাম, ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলো, না রূপালী নিভিয়ে দিলো আলো? আমাকে আরো বেশি চমকে দিয়ে ঝনঝন শব্দ করে কিছু পড়লো। শব্দটা আসছে রান্নাঘর থেকে। ওদিক থেকে ঠান্ডা বাতাসও আসতে শুরু করেছে।
আমি বাইরের দরজার কাছে গিয়ে দুমদাম ধাক্কা দিতে শুরু করলাম। রুনা ভাবি যদি শব্দ শুনে আসে। এখনো জেনারেটরের লাইনটা কেনো দিচ্ছে না? ইলেক্ট্রিসিটি যাওয়ার এক মিনিটের মধ্যে জেনারেটরের লাইন চলে আসার কথা!
প্রবাল আমাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলো,
-ভয় পেও না, বোধহয় রান্নাঘরের জানালাটা খোলা ছিল, ওখান দিয়ে বাতাস আসছে, তাই রান্নাঘরের তাক থেকে জিনিসপত্র পড়ে যাওয়ার শব্দ হচ্ছে। তখন পিতলের ফুলদানিটা হঠাৎ দমকা বাতাসেই পড়ে গেছে।
প্রবালের যুক্তিবাদী মন যুক্তি খুঁজে চলেছে। কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি। তীব্র ভয় আমাকে অবশ করে ফেলছে। আমার মনে হচ্ছে খুব কাছে দাঁড়িয়ে অশরীরি কেউ আমাকে লক্ষ্য করছে। আমি তার উপিস্থিতি তীব্রভাবে অনুভব করছি। দরজায় আরো বার কয়েক ধাক্কা দিয়ে আমি বললাম,
-আমাকে এখান থেকে বের করো, প্লিজ!
ঠিক সেই সময় ধাতব কিছু একটা ফ্লোরে গড়িয়ে গড়িয়ে আসার শব্দ পেলাম এবং সেটা সটান আমার পায়ের কাছে এসে থামলো। আমি ভয়ে চিৎকার করছি এখন।
দীপু আমাকে হাত ধরে দরজার কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে এলো। তারপর গলার দোয়া পড়া কাগজের মালাটা খোলার চেষ্টা করলো। আমি আতংকে অস্থির হয়ে বললাম,
-এটা খুলছেন কেনো? আমাকে রূপালী ধরে ফেলবে!
দীপু কঠিন কন্ঠে বললো,
-কিচ্ছু করার নেই, আমাদের এখন রূপালীকে ফেস করতেই হবে।
আমি মালা খুলতে বাঁধা দিলাম, দীপু দ্রুত হ্যাচকা টানে মালাটা ছিঁড়ে ফেললো। আর মুখে বললো,
-প্রবাল সাহেব দ্রুত মেঘলার একটা হাত ধরুন, আমি আরেকটা হাত ধরছি। আমি না বলা পর্যন্ত হাত ছাড়বেন না।
টের পেলাম আমার দুই হাত দুইজন শক্ত করে ধরে রেখেছে। মাথাটা ঘুরছে। হঠাত প্রবল এক বাতাস এসে আমাকে ধাক্কা দিলো। অনেকটা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো। যারা সমুদ্রস্নান করেছে তারা জানে, মাথার ওপর দিয়ে যখন ঢেউটা চলে যায় তখন এক মুহূর্তের জন্য নিজেকে বাইরের পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়। আমারও সেরকম মনে হলো।
পার্থক্য হলো সমুদ্রের ঢেউ কয়েক সেকেন্ড পর সরে যায়, আমরা নাকে-মুখে জল ঢুকিয়ে একটা অস্বস্তির নিশ্বাস না ফেলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলি কিন্তু এখন বাতাসের ঢেউটা ওরকম সরে গেলো না। আমি প্রবল বাতাসে ডুবে যেতে যেতে মেঘলার সত্তাকে হারালাম। হয়ে উঠলাম রূপালী!
দীপু নামের ছেলেটা চিৎকার করছে কানে এলো,
-প্রবাল সাহেব, আমার শেখানো দোয়াটা পড়তে থাকুন, এক মুহূর্তের জন্য থামবেন না।
রাগ হচ্ছে, খুব রাগ হচ্ছে আমার! এই ছেলেটাকে প্রথম থেকে সহ্য হচ্ছে না। কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। দুই বছর পর আমি একটা শরীর পেয়েছি, এই মেঘলা নামের মেয়েটার শরীর। এতোদিনে ঠিক মহিমকে খুঁজে বের করে ফেলতাম, কিন্তু এই দীপু মেঘলাকে গত পনেরো দিন ধরে আটকে রেখেছে।
আর এখন শক্ত করে আমার হাত ধরে রেখেছে। হাত ছাড়িয়ে নেয়া কোন ব্যাপার না। ঠিক করলাম এক ঝটকায় হাতটা ছাড়িয়ে ওর গলা টিপে ধরবো।
আশ্চর্য হয়ে আবিষ্কার করলাম, এই রোগা পটকা ছেলের শরীরে শক্তি অনেক বেশি! মেঘলার স্বামীর হাতটা ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম, মনে হলো জিতে যাবো কিন্তু এবারও ধস্তাধস্তি করে হেরে গেলাম।
মেঘলার স্বামী ও দীপু দুজনেই বিড়বিড় করে কিছু পড়ছে, শব্দগুলির উচ্চারণ ক্রমশ আমার শক্তি হ্রাস করছে, ওদের শক্তি হয়তো বৃদ্ধি করছে। মনে হচ্ছে এরা আমাকে আটকে ফেলেছে। প্রচণ্ড ঝাঁকি দিয়ে দুই হাত ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে করতে বললাম,
-হাত ছাড় আমার!
কিন্তু ওরা ছাড়লো না। দীপু প্রশ্ন করলো,
-তুমি কে? তোমার নাম কী?
আমি উত্তর না দিয়ে দীপুর দিকে এক দলা থুথু ছুড়ে মারলাম, লাগাতে পারলাম না। ছেলেটা চট করে মাথা সরিয়ে ফেললো। আমি কিছু করতে না পারার রাগে গজড়াতে লাগলাম।
দীপু আবার কথা বললো,
-তোমার নাম সম্ভবত রূপালী। মেঘলাকে তুমি এই নামই বলেছিলে।
আমি উত্তর দিলাম না। দীপু আবার বললো,
-তুমি মহিমকে খুঁজছো আমরা জানি। মেঘলা আমাকে বলেছে। তুমি চাইলে আমরা তোমাকে মহিমের খবর এনে দিতে পারবো।
মহিমের নামটা কানে আসা মাত্র থমকে গেলাম। এই নাম, এই একটা নাম সারাক্ষণ জপি আমি, তবু মানুষটা ফেরেনা! সুইসাইড করার পর একটা শরীরের অভাবে এই ফ্ল্যাটের বাইরে গিয়ে মহিমকে খুঁজতে পারিনি। মেঘলার শরীরটা চাই আমার মহিমের জন্য। মহিমকে পেলে মেঘলা হয়ে মহিমের সাথে বাস করবো, যেভাবে জড়িয়ে প্যাঁচিয়ে বেঁচেছিলাম ছয়টা মাস। মহিম হারিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
দীপু আবার বললো,
-রূপালী! তুমি চাও আমরা মহিমকে খুঁজে বের করি?
এবার উত্তর দিলাম,
-তুই মহিমকে চিনিস? কে তুই?
-চিনিনা। তুমি চিনিয়ে দেবে। আমি তোমাদের অতৃপ্ত আত্মার জগতের কথা জানি, কোন একটা অতৃপ্তি থেকে তোমরা ঐ জগতে আটকা পড়ে থাকো। তোমার অতৃপ্তি মহিমকে নিয়ে। মহিমকে পেলে তুমি অতৃপ্ত আত্মার জগত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে।
আমি ধীরে ধীরে বললাম,
-মহিমের মূল ঠিকানা জানিনা। এই ফ্ল্যাটটা শুধু চিনি।
দীপু বললো,
-আমি প্রকাশকে চিনি। প্রকাশকে চাও?
প্রকাশের নামটা শুনে ইচ্ছা করলো বলি, এই মুহূর্তে প্রকাশকে এনে দাও। আমি ওর মাথাটা শরীর থেকে আলাদা করে দেই। কিন্তু বলতে ইচ্ছা করলো না। প্রবাল বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছে, আর দীপু কথা বলার ফাঁকেফাঁকে তার বিড়বিড়ানি চালু রেখেছে। ওদের এই বিড়বিড়ানি আমাকে চূড়ান্ত অস্থির করে তুললো, আমি চিৎকার করে বললাম,
-চুপ করো!
খালি ঘরে সেই চিৎকারে মেঘলার স্বামী কেঁপে উঠলো ভয়ে, আমি জোর করায় সে আমার হাত ছেড়ে দিতে চাইছিল, কিন্তু দীপুটা আবার বাগড়া দিলো,
-প্রবাল সাহেব হাত ছাড়বেন না!
আমি লাথি কষালাম জোরে, লাগলো প্রবালের উরুতে, সে ককিয়ে উঠে আমার হাত ছেড়ে দিল, তার বিড়বিড়ানি বন্ধ হয়েছে। আমি এবার সদ্য মুক্ত হওয়া হাতে দীপুর গলা টিপে ধরলাম। দীপু কাছেই ছিল, আমার একটা হাত
ধরে ছিল।
আমি ঝাঁপিয়ে পড়ে গলা টিপে ধরতেই দীপু তাল সামলাতে না পেরে মাটিতে পড়ে গেলো কিন্তু অন্যহাতে আমার মাথায় পানি ঢেলে দিলো। শরীর জ্বলে, পুড়ে যাচ্ছে যেন এবার! দীপু কী আমার গায়ে এসিড ঢাললো, আমি মেঘলা ওর কি ক্ষতি করেছি?
আমি চিৎকার করে প্রবালকে ডাকলাম,
-প্রবাল! উনি আমার শরীরে এসিড ঢেলে দিয়েছে।
দীপু মাটি থেকে উঠতে উঠতে বললো,
-এসিড না, পানি। রুপালী আপনার শরীরে ছিল বলে দোয়া পড়া পানিতে শরীর জ্বলছে । রূপালী ছেড়ে গেছে এতোক্ষণে আপনাকে। একটু পর আর শরীরে জ্বালাপোড়া থাকবে না।
তখন ড্রইংরুমের লাইটটা জ্বলে উঠলো,বোধহয় কারেন্ট এলো। বাইরে ঝড়ের শব্দও নাই প্রায়। কিন্তু ঘরের ভিতরের ঝড়ে আমি বিদ্ধস্থ। প্রবাল কাছে এসে মাটিতে বসে থাকা আমাকে জড়িয়ে ধরলো, তারপর দীপুকে বললো,
-এসব এক্সপেরিমেন্ট আর করতে চাইনা, মেঘলার জন্য এই প্রক্রিয়া যথেষ্ট ক্ষতিকর।
দীপু বাইরের দরজা টানাটানি করে খোলার চেষ্টা করতে করতে বললো,
এর চেয়ে ভালো কোন প্রক্রিয়া নেই। রূপালী আজ কোঅপারেট করতে রাজি হয়নি, আরেকদিন করবে। আর যদি আমরা এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে বসে থাকি তবে ও কোন না কোন সুযোগ তৈরি করে মেঘলার শরীরটা স্থায়ীভাবে নিজের কব্জায় নিয়ে নেবে।
তখন মেঘলার আত্মা বন্দী হয়ে যাবে রূপালীর কাছে, আর মেঘলার শরীর হবে রূপালীর শরীর। সেই মেঘলা রূপী, রূপালী কতো ভয়ংকর হবে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
দীপু হঠাৎ প্রসঙ্গ বদলে বললো,
-হাতের কাছে স্ক্রু ড্রাইভার আছে?
প্রবাল সুর্যাকের ওপরের ড্রয়ার থেকে বের করে দিলো।
দীপু সেটা দিয়ে কসরত করলো কিন্তু দরজা খুলতে পারলো না। রুনা ভাবিকে এবার ফোনে পেলো। সব জেনে তিনি তার সদ্য অফিস ফেরত স্বামী সোহেল ভাইকে নিয়ে হাজির হলেন দরজার ওপারে। সোহেল ভাই যন্ত্রপাতি দিয়ে বাইরে থেকে নব খুললেন, তবে আমরা বের হলাম একটা ব্যর্থ মিশন শেষে।
তারপর কোন ঘটনা বা দূর্ঘটনা ছাড়া দুই দিন পার হলো। দীপুর কথাবার্তা আর আচরণ দেখে মনে হলো সে সারাক্ষণ রূপালীকে নিয়ে ভাবছে। তৃত্রীয় দিন দীপু বললো,
-মেঘলা! আপনি স্বপ্নে রূপালীকে ফেসবুক করতে দেখেছেন? মহিমের আইডিও দেখেছেন?
-হুম।
-আইডি নাম কি ছিলো?
-মেঘমুক্ত আকাশ।
-প্রোপিকের ছবি মনে আছে?
-নীল আকাশের ছবি।
-এখন প্রোপিকটা দেখলে চিনতে পারবে?
-পারবো।
অতঃপর আমার মেঘলা আইডি থেকে সার্চ অপশনে ” মেঘ মুক্ত আকাশ” কে খুঁজতে শুরু করলাম। এই নামে তিনটা আইডি আছে। কিন্তু কারও প্রোপিক আমার স্বপ্নে দেখা প্রোপিকের মতো না। তিনটা আইডি দেখিয়ে দীপু বললো,
-মেঘলা! কন্সেন্ট্রেট করুন, দেখুন এর মধ্যে কোন আইডি আপনার মনে বেশি প্রভাব ফেলছে, অনুভূতি গুলিকে আলাদা করে বাছুন।
আমি এক সেকেন্ড চিন্তা করে শিমুল ফুলের ছবি দেয়া আইডিটা সিলেক্ট করলাম। আইডিটা লক থাকায় আইডি মালিকের কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। দীপুর কথামতো ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালাম। ঘন্টাখানেকের মাথায় এক্সসেপ্ট করলো।
আইডিতে গোয়ান্দাগিরি করতে ঢুকলাম। পুরানো প্রোপিকগুকি চেক করলাম। এক বছর আগের প্রোপিকটি অবিকল স্বপ্নে দেখা সেই নীলাভ আকাশের মতো। দুই বছর আগের একটা পোস্টে রূপালী চৌধুরী নামের একটা আইডি থেকে লাইক দেয়া হয়েছে। দীপুকে কথাটা বলতেই ও বললো,
-গুড! আপনি একবারে আইডিটাকে আইডেন্টিফাই করতে পেরেছেন। আপনার অনুমান ক্ষমতা ভালো, সেটা আমি প্রথম থেকেই বলছি।
ম্যাসেঞ্জারে ঢুকলাম,
“মেঘমুক্ত আকাশ” আইডির পাশে সবুজ বাতি জ্বলছে, তারমানে সে এখন অনলাইনে এ্যাক্টিভ।
দীপু আমার আইডি থেকে ম্যাসেজ লিখে পাঠালো,
-“বন্ধু হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ”
মিনিট দুয়েক পর উত্তর এলো,
-“আপনাকেও ধন্যবাদ। ”
চলবে…