নাহিদুল ইসলাম,নাটোরকন্ঠ:
মানবতার আরেকটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দোগাছি গ্রামের স্কুল শিক্ষিকা শেফালী খাতুন। এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে অল্প অল্প করে নিজের জমানো টাকা থেকেই কিছুদিন পুর্বে কিনেছিলেন একটি অ্যাম্বুলেন্স।সেই অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দোগাছি গ্রাম সহ আটটি গ্রামের মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হতো। বর্তমানে করোনা ভাইরাস( COVID19) এ-র ক্রাইসিস মুহুর্তে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনোয়ার পারভেজ শেফালিকে ফোন করেন এবং জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফদের কাজের অগ্রগতির জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি দেয়ার কথা বলেন। সোমবার (১৩ই এপ্রিল) সকাল ৯:০০ঘটিকার সময় বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে শেফালী খাতুন তার অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং অ্যাম্বুলেন্সের চাবি বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষের হাতে জমা দেন।
এ বিষয়ে স্কুলশিক্ষিকা শেফালী খাতুন বলেন -আমার ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সটি এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দ্রুত নিশ্চিতকল্পে কাজ করতো। কিন্তু জাতির এই দূর্যোগ মুহূর্তে কাজের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জমা দিলাম। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কাজে অ্যাম্বুলেন্সটির সাময়িক সহায়তা মানবতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জনবহুল বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সতর্ক ও জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তাই সরকারের পাশাপাশি সাবলম্বীদের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থাকার আহবান জানান বড়াইগ্রাম উপজেলার স্কুল শিক্ষিকা শেফালি খাতুন।