মেঘভাঙা রোদ..মাসউদ আহমাদ
তখন অনেক রাত। তখন কোথাও কিছু একটা ভেঙে পড়ার শব্দ শুনি। তখন চিঠি লিখতে বসেছিলাম।
মাঝে মাঝে এমন হয়, অনেকের কাছেই লিখতে বসি। কিন্তু লেখার পর মনে হয়, এগুলো সস্তা অনুভূতি। বাস্তবে হয়ত এসবের কোনো প্রয়োজন নেই। তখন তা ছিড়ে ফেলি। অথবা রেখে দেই, পরে নিজের পড়ার জন্য। কখনো মনে হয়, না হয় নিজের কাছেই লিখি। এতে করে তো আর কারো কাছে ভারী হতে হবে না। কিন্তু লেখা শেষ করে নিজের ঠিকানায় পোস্ট করতে কেমন বোকা বোকা লাগে।
গতদিনটা খুব খারাপ কেটেছে আমার। তাই ভালো কাউকে স্মরণ করে মনটাকে উৎফুল্ল করতে চাই। এখনকার অনুভূতিতে মনে হচ্ছে, চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে না।
ভাবনার সমুদ্রে ডুব দিয়ে ঘরে একা একা বসে থেকে অনেক পেছনে চলে গিয়েছিলাম। নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল। এখন নিজেকে প্রাণবন্ত লাগছে। জানি না, এই অনুভূতি কতক্ষণ থাকবে।
সংসার বড় বিচিত্র জায়গা। এখানে একজনকে লাথি মেরে আরেকজন বড় হতে চায়। দুঃখটাই মনে হয় ভালো। কারণ দুঃখ-কষ্ট যদি না থাকতো তাহলে সুখের তীব্র অনুভূতিগুলো মানুষ বুঝে উঠতে পারতো না।
অনেক রাতে ঘুমাই বলে ভোর কিংবা সকাল কীভাবে হয়, জানি না। ভোরের সৌরভ ও সৌন্দর্য দেখা হয় না অনেকদিন। রোজ ভাবি, কাল ঠিক ভোরে উঠব। সকালটা মন ভরে দেখব। না, দেখা হয় না।
এভাবেই কথা ও ভাবনার দোলাচলে খেই হারিয়ে ফেলি নিজের। হয়ত জীবনেরই।
মাঝে মাঝে ভাবি, সমস্ত রাগ-অভিমান-ক্লেদ ও অনুযোগ ভুলে যাব। নিজের সাথে নিজের এবং অন্যদের প্রতিও। কী লাভ এত অভিমানের? এই শহর অভিমান বোঝে না। অভিমানের কারণে অনেকে ভুল বোঝে।
ভাব ও ভাবনার সমান্তরালে কেমন দোটানায় দিন কাটে। দিন কেটে যায়। তখন কেবল নিজের কাছে ফিরতে ইচ্ছে করে। অথবা, মায়ের কাছে।
একটা অন্যরকম নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখি, প্রতিদিন। যে ভোরের হাওয়া গায়ে লাগলে সবকিছু পাল্টে যায়। মন, মনের অনুভূতি এবং জীবনও। সবই আসে জীবনে, কেবল সেই অন্যরকম ভোরের দেখা পাই না।
এভাবেই আমি ও আমার সাদাকালো বেঁচে থাকা, আজ এবং প্রতিদিন।
…….…
মাসউদ আহমাদ
মগবাজার, ঢাকা।