বেণুবর্ণা অধিকারী : বসন্তের পরশ নিতে আজ রমনায় গিয়েছিলাম, যেতেই হয়। মস্তিষ্কের ভেতরে যে গেঁথে আছে এমনভাবেই আমি তারে পারি না এড়াতে ৷
স্বল্প সময়ের ফুল মাধবির হাতছানিতেই মূলত যাই–
” ধাঁয় যেন মোর সকল ভালবাসা
প্রভু তোমার পানে, তোমার পানে, তোমার পানে।” এই প্রভু হলো আমার বেঁচে থাকার রসদ আমার প্রকৃতি।
রমনায় যে গাছে ফুল দেখা যায় এখন সেগুলো হলো পলাশ, মাধবি, গামারি, কাঞ্চন, গ্লিরিসিডিয়া, বিউমনশিয়া। এখন শ্বেতশিমুলের শেষ সময়। আর লাল শিমুল রমনায় দেখিনি। আগে লাল মান্দার দেখা যেত।
অরুনোদয়ের গেট দিয়ে ঢুকে সোজা দুইপাশে যে পলাশ আর মান্দার ছিল এখন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। তার স্থলে শুধু পাম আর পাম।
এ সময় কুসুম আর নাগেশ্বরের কচি পাতা দেখলে ফুল বলে ভ্রম হয়। তারাও পলাশ আর শিমুলের রঙে নিজেদের রাঙিয়েছে। আর মনিমালার পাতায় বিদায়ের সুর এখন।
Advertisement