রহমান হেনরী’র দু’টি কবিতা
কার্যকারণ
—‘‘মাতাল হলে, নিজের পদক্ষেপে নজর রাখা যায় না।’’
যারা বলে; ঠিক বলে না। প্রজ্ঞাবাণীও ভুল হতে পারে—
কটাক্ষে তাকাচ্ছো। হেসে উঠছো খলবলিয়ে; আর ভাবছো—
সমাজটা এতই টালমাটাল যে, মাতাল ভাবছে তোমাকে!
নিজের স্বাভাবিকত্বের ব্যাপারে বেশ সাবধানী তুমি
কিন্তু দেখো, তোমার পা দুটো টলে যাচ্ছে— বারবার
মুখে দুর্গন্ধ ছুটছে কি ছুটছে না; বড় কথা নয়—
একটু শান্ত-শিরে হাঁটো!
শুধু সুরা নয়— লাগামহীন ক্ষমতাও নেশা ধরাতে জানে;
সম্বিতে ফেরো। খেয়াল রাখো: অসংলগ্ন পা দুটোর দিকে
.
স্বত্বের বিড়ম্বনা
আগে একতলা ছিলো— ঘরদোর, নিজেরাই পাহারা দিতাম;
এখন বহুতল। পাহারাদারও আছে— কয়েক রকমের;
ওদের জন্য সুযোগসুবিধার সুড়ঙ্গ খুলে দিতে দিতে
এখন শুধু নিজেদের পরিধেয়গুলোই বাকি; কিন্তু
সুবিধা হচ্ছে না। অস্বস্তি বাড়ছেই…
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা এবং আরও সব নিত্য-নতুন
অযুহাতে, ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে
চৌকিদারগুলো
ব্যক্তিগত কত কিছুই তো হারালাম! স্বেচ্ছায়
ছেড়েও দিলাম অনেক— ভাবছি: বাড়ির মালিকানাটাও
ওদেরকেই দিয়ে দেবো