রাণী খাল খনন
সরদার মোহাম্মদ আলী
রাণী খালের উত্তর পাড়ে
আমার বসত বাড়ি
এই খালকে এক নামেতে
সবাই বলে খারি।।
ছোট বেলায় এই খালেতে
দেখছি পালের নাও
বক্ষ ছেদিয়া রাণীখাল গেছে
মোদের রূপসী গাঁও।।
মাঝি মাল্লা গুণ টেনে সব
নৌকা বাইতো খালে
ছোট বেলায় দেখছি চেয়ে
আমরা বর্ষা কালে।।
শ্যালো নৌকা চলতো খালে
দুতীর যেতো ধ্বসে
ঢেউয়ের ধাক্কায় পাড়ের মাটি
এমনি যেত খসে।।
বর্ষা কালে স্রোতপরে খালে
স্রোতের টানে মাছ
লাফায় মাছ ঢেউয়ের তালে
দেখায় কত নাচ।।
বর্ষার শেষে খালের মাঝে
মাছের গড়া গড়ি
জাল ফেলিয়ে আমরা সবে
অনেক মাছ ধরি।।
কালের বিবর্তনে রাস্তা হওয়ায়
নৌকার চলন নাই
ময়লা আবর্জনা কচুরি পানায়
খাল ভরাট তাই।।
ঢলের পানি বাঁধা পেয়ে
বন্যার রূপ ধরে
নষ্ট হয় কৃষকের ফসল
উঠনা আর ঘরে।।
দীর্ঘ দিনের জমাট বাঁধা
বদ্ধ রাণী খাল
জল বদ্ধতায় ভরাট করে
রইছে অনেক কাল।।
ভরাট খাল এখন খনন হচ্ছে
ফিরছে খালের রূপ
খাল পাড়ের ছেলে মেয়েরা
বর্ষায় দিবে ডুপ।।
রাণীর ব্রীজের পশ্চিম প্বার্শে
ভাদাই নদীর ট্যাক
সেখান থেকে জামতলা ব্রীজ
সবার অসুবিধা এক।।
সমস্ত রাণীখাল খনন হলে
ঘুচবে সবার দুখ
খাল পাড়ের লোকজন আবার
ফিরিয়ে পাবে সুখ।।
তারিখ : ১৬-০৫-২৪