স্বপ্ন ভাঙ্গা পাখি
ক্ষণকাল পেরিয়ে হয়েগেছে ভোর
স্বপ্নটাও ভেঙে গেছে
তবুও কাটছেনা ঘোর।
আবেগের কারনে অসহায় বিবেক
লুকিয়ে করে অশ্রুবিসর্জন
সুপথ খুঁজে দিকবিদিক।
আশার তরীতে ছিল,দুটি নীলপাখি
প্রেমের নদী বেয়ে চলে
স্বপ্নে লয়ে আঁখি।
মাঝ নদীতে উঠলো যখন ঝড়
একটি পাখি উড়েগেল
অন্যটিকে করে পর!
অতঃপর….
ঝড় থামলে শান্ত হলো নদী
একটি পাখি আর এলোনা
অন্যপাখি? কাঁদছে নিরবধি!
——-রিংকু——
(উঃবড়গাছা,নাটোর।)
তুমি
দৃষ্টির অগোচরে পারবেনা যেতে চলে
কথা দিলাম থাকব পাশে
আজন্ম ও তারও পরে
যুগে-যুগে আসব ফিরে,দেখব তোমায় নয়ন ভরে
মেঘের কোলে বৃষ্টি হয়ে
কুয়াশার চাদর গায়ে
দূর আকাশের তারা হয়ে,তোমার পানে থাকব চেয়ে
বৃষ্টি হব ভিজবে বলে
চুল শুকাব রৌদ্র হয়ে,
কোকিল হয়ে গান শুনাব,তোমার জীবনে বসন্ত হয়ে
মালা হব পুষ্প হয়ে
তোমার গলায় থাকব জড়িয়ে
নীল আকাশের মেঘ হয়ে,ভেসে রব শরৎকালে
আদর করব কাশফুল হয়ে
নীল আকাশে দেখবে চেয়ে
কাক হয়ে ঘুম ভাঙ্গাব,দেখব তোমায় ভোরের আলোয়
সুখগুলো তোমায় দিয়ে
দুঃখগুলো নেব কেড়ে
চিরসুখী হবে তুমি,অন্য কারো ঘরে
দূর থেকেই বাসব ভালো
প্রকৃতির সাথে মিশে।
——-রিংকু—–
তাং ১৯/০৫/১৯ উঃবড়গাছা,নাটোর।
এই পথ
খুঁজেছি তারে ছোট্ট এ শহরে
হেঁটেছি অনেকটা পথ
একটি বার যদি হয়গো দেখা
কোথায় লুকিয়ে প্রাণের সখা
চাতকের ন্যয় চাহিছে তোমায়
ক্লান্ত তনু আহত হৃদয়
তবু্ও থামেনি আশার রথ।
চিরোচেনা সেই রাস্তা, গলি
আকাঁবাঁকা পথ, মহল্লা-মোড়ে
কোথাও দেখিনা প্রাণ-পাখিরে
মহাশক্তির করিনা ভক্তি
ধর্ম-কর্মে নেই আসক্তি
তাই বুঝি প্রকৃতি তারে
হতে দেয়নি আমার করে।
অর্থ-বৃত্তের প্রাচীর দ্বারা
মানবসৃষ্ট দেয়াল ঘেরা
প্রকৃতি তারে রেখেছে দূরে
কখনো যেন না পাই তারে
ভাসি যেন দুঃখের সাগরে
প্রকৃতি তুমি খেলছ সেরা।
হরেন মোড়ের রাস্তার পাশে
একটি চায়ের দোকান আছে
একটু বসে বিশ্রাম নেয়া
স্বাদের চা ‘এ চুমুক দেয়া
পথ-পানে তোমায় চাওয়া
হঠাৎ ক্লান্ত শরীর নিদ্রান্বিত
স্বপ্ন মাঝে মিশে গেছে।
প্রকৃতি, মহাপ্রলয় দেখবে তুমি
দেখবে তোমার ধ্বংস
যদি তার সাথে না-হয় দেখা
সারাটি জীবন থাকব একা
নাইবা পেলাম প্রাণের সখা
শতকোটি ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে
বিধবো তোমার বুকে
দেখবো তুমি কেমন করে
থাক মহা সুখে।
অতঃপর রিকশার বেল ক্রিংক্রিংক্রিং
নিদ্রা গেল মাটিতে
পথের পর পথ শেষ হয়
সুখপাখিটা পাবার নেশায়
চলছি পথে অসীম আশায়
ছোট্ট এ শহরটিতে
চিরোচেনা সেই পথ-গোলিতে।
——রিংকু —–
০৬/০৮/১৯খ্রীঃ (উঃবড়গাছা,নাটোর)