সৌরভ সোহরাব,সিংড়া, নাটোরকন্ঠ:
নাটোরের সিংড়া উপজেলার সবচেয়ে বেশি করোনা ঝুঁকিতে আছে দুটি গ্রাম। স্থানীয় সচেতনদের দাবি গত দুই সপ্তাহে এই দুটি গ্রামে অন্তত্ব ২০০ শত থেকে ২৫০ শত মানুষ করোনা হট ষ্পর্ট নারায়নগঞ্জ জেলা সহ বিভিন্ন জেলা শহর থেকে ফেরত এসেছেন এবং এরা হোমকোয়ারেন্টাইন ও সমাজিক দুরত্ববোধ মানছেননা। ফলে করোনা ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে দুটি গ্রাম। করোনা ঝুঁকিপুর্ণ গ্রাম দুটি হলো সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ভেংরী ও মুশিগাড়ী গ্রাম।
স্থানীয়রা জানায়,পশ্চিম ভেংরী ও মুশিগাড়ী গ্রামের প্রায় ৫০০শত থেকে ৭০০শত মানুষ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও পোশাক কারখানায় কাজ করেন। এই কর্মজীবি মানুষ গুলো একমাত্র ঈদ উপলক্ষ ছাড়া সাধারণত গ্রামে আসেনা। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমন মহামারী হওয়ায় তারাঁ এখন রাতের আধারে গ্রামে ফেরত আসছে। গত ১১ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল এই ৬দিনে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও কোনাবাড়ি গাজীপুর থেকে অন্তত ২০০০ থেকে ২৫০০জন মানুষ রাতের আধারে গ্রামে প্রবেশ করেছে এবং তাঁরা ১৪ দিন হোমকোয়ারেন্টাইন না থেকে অবাধে ঘোরাফেরা করছে,চায়ের ষ্টলে আড্ডা দিচ্ছে। মানছেন না সামাজিক দুরত্ববোধ। ফলে এদের সংষ্পর্শে করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম বলেন, আমাদের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটিরি পক্ষ থেকে তাদেরকে সচেতনতামুলক অবগত করতে গেলে, তারা বলে আমাদের কি ভাইরাস হইছে যে আমরা ঘরের কোনায় বসে থাকবো। মশিগাড়ী গ্রামের সন্তান ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ জাহিদ হাসান বলেন, সম্প্রতি ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে যারা আসছেন তারা সরকারের কোন আইন, বাধা নিষেধ মানতে রাজি হচ্ছেনা না। আমাদের মুশিগাড়ী গ্রামের বটতলায় ২ থেকে ৩টিা চা স্টলে জমজমাট শুরু হয় চা আড্ডা। সকাল থেকে শুরু হয় দুপুর পর্যন্ত এর পর বিকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে এই চা আড্ডা। আমরা গ্রাম বাসি কোন ভাবেই এই চা স্টল গুলো বন্ধ করতে পারছি না। দোকানিরা বলছে সরকার এগুলো গুজব ছড়াচ্ছে। তাই সামাজিক দুরুত্ববোধ ও লোকসমাগম বন্ধ করতে করোনার ঝুকিপুর্ণ এই দুটি গ্রামে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।