হঠাৎ ভ্রমন কুয়াকাটায়- পর্ব ০২
বেণুবর্ণা অধিকারী : কুয়াকাটা বিচের আমূল পরিবর্তন হয়েছে যা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কিছুটা ম্লান করে ফেলেছে। আসলে যেখানেই মানুষের পদচারণা পড়েছে সেখানেই নিজ স্বার্থেই মানুষ দখল করেছে, শুধু তাই নয় যেখানে সেখানে বর্জ্যের ভাগার বানিয়েছে।
সমূদ্রতট ধরে হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথে চলে এসেছি, মটরসাইকেল চালক ইমরান এসে বললো ম্যাডাম ৮ টা স্পট ঘুরাবো চলেন। দর করে ৪০০ টাকায় বাইকে উঠলাম। সামনের দিকে এগুতে থাকলাম। কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানে ঢুকে ঝাউগাছ ছাড়া আর কোন গাছই তেমন দেখলাম না, এটা বলে জাতীয় উদ্যান!! রীতিমত আশাহত। যাক সেখানে ডাব খেলাম।
সেখান থেকে চলে গেলাম সূর্যোদয়ের বীচে। কুয়াকাটা হলো সেই সমুদ্রবীচ যেটাতে সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখা যায়। সেখান থেকে একটা ক্যানেল পেরিয়ে পাখি দ্বীপে গেলাম সেখানের গাছপালাগুলো সুন্দরবনের কিছু গাছ এরপর কাঁকড়ার দ্বীপ। যদিও কাঁকড়া আর পাখির দেখাই পাইনি।
তারপর নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আদিবাসী বাজার আর বুদ্ধের স্বর্ণমূর্তি দেখলাম, আদিবাসী পিঠা খেলাম হেতাল পাতায় মোড়ানো ভাপা পিঠা। এরপর আবার কুয়াকাটায় ঢুকে বুদ্ধমন্দির দেখে প্রাচীণ সেই ঐতিহাসিক নৌকা দেখে রিসোর্টে ফিরে এলাম।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে যাবার অবস্থা। রিসোর্টে রাত্রে খাব জানালাম, ৭ঃ৩০ তেই খেয়ে শুয়ে পড়লাম।
পরের দিন সকালে নাস্তা করেই রওনা দিলাম বরিশালের উদ্দেশ্যে। বাস ছাড়লো ১০টায়। দীর্ঘ লোকাল জার্নি শেষে ২ঃ৩০ তে বরিশাল পৌঁছালাম।
বন্ধু ভায়োলেটের এক জায়গায় দাওয়াত ছিল, আমাকে সাথে নিয়েই সেখানে গেল। নানানপদী আইটেম দিয়ে খেয়েই আমরা আবার বেরিয়ে চলে গেলাম উজিরপুর সমিতির মিটিং এ, কিছুক্ষন থেকে চলে গেলাম রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আড্ডা দিতে। সেখানেই আবার জম্পেস নাস্তা খেলাম বরিশালের ঐতিহ্যবাহি থালি।
অসাধারণ তার স্বাদ, ছোট ছোট লুচির সাথে ভেজ, বুটের ডাল আর ঘনদুধের পায়েস। এটা এনেছে গৌরনদী মিষ্টান্নভাণ্ডার থেকে। রাতে সেখানেই সবজি-মাংসের খিচুড়ির আয়োজন ছিল। খেয়ে রাত ৯ টায় বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে দীর্ঘ ঘুম।
ক্রমশঃ