হন্তারকের ফাঁসী
কবি হামিদুর রহমান
হন্তারকের হয়েছে ফাঁসী
রাসেল ভাই আমার
যার গুলিতে বক্ষ বিদীর্ণ
হয়েছিল তোমার।
সেদিনের সেই খুনী মাজেদের
বিচার করেছে জাতি
ফাঁসীর কাষ্ঠে মরতে হলো
সেই দাম্ভিক দুরাচার।
সেদিনের সেই নারকীয় হন্তাকান্ডে
যারা করেছিল উল্লাস
মেঝেতে মায়ের নিথর দেহ
সিঁড়িতে বাপের লাশ।
ভয়ে ভীত হয়ে ক্রন্দনরত
রাসেল যাবে মায়ের পাশ
পানি পান করতে চেয়েছিল
তবুও কেউ দেয়নি একটা গ্লাস।
মায়ের কাছে যাবে বলে
কত অনুনয় আকুতী তার
মিনতি করি জীবনের তরে
ছেড়ে দেওগো আমায়।
কাফেরের হৃদয় গলেনি সেদিন
অবুঝ বলেও দেয়নি নিস্তার
ব্রাশ ফায়ারে মারে শিশু রাসেলেরে
সেদিন বুঝি পৃথিবী ছিল নির্বিকার।
কারবালা প্রান্তরে ফোরাতের তীরে
শিশু আজগর পানি বিনে মরে
ঘাতকের সেই শকুনের দল
তৃষ্ণার তরে দেয় নাই জল।
কারবালা প্রান্তর দেখেনি আমরা
দেখেছি ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর
জনকের পরিধেয় সকলই আছে
স্মৃতি চিহ্নটুকু সবই বেদনা বিধুর।
ফরিয়াদ জানাই বিধাতার কাছে
হে রহিম ও রহমান
মহা শান্তিতে রেখ সকলেরে
আগষ্টে যারা দিছে বলিদান