শাহিনা খাতুন : যখন শিশু ছিলাম, কিশোরী ছিলাম খালি পায়ে প্রভাত ফেরী করতাম খুব ভোরে। আমাদের গানে টিপিক্যাল সংসারীদের ঘুম ভাংতো। যারা ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ছুটির দিন ভাবতো তারা বিরক্ত হতো। অবশ্য তাদের বিরক্তভাবে আমাদের কিছু যেত আসতোনা। হারমোনিয়াম গামছা দিয়ে গলায় বেধে আমরা গান করতে করতে প্রভাত ফেরী করতাম-
আমার ভাইয়ের রক্তে রাংগানো একুশে ফেব্রুআরি
আমি কি ভুলিতে পারি।
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়।
এরকম অনেক গান। তখন বাজারে বানিজ্যিকভাবে এত ফুল বিক্রি হতোনা। আমরা কারও বাগানের একটা বেলী অথবা কুড়িয়ে পাওয়া ফুল নিয়ে কে কার আগে শহীদমিনারে যাবো তার প্রতিযোগিতা করতাম। তারপর কে আগে ফুল দিতে পেরেছে তা নিয়ে ঝগড়া করতাম। দেশপ্রেমের প্রথম দীক্ষা একুশে ফেব্রুআরি। বিকেলে বা রাতে গণসংগীত এর আয়োজনে উপস্থিত থাকতাম। সেসব গণসংগীত আমাদের চেতনায় দেশপ্রেমের ফুল ফোটাতো।
কেমন করে যেন সব ভালবাসার দিন হারিয়ে গেছে।