১৪ ফেব্রুয়ারি। স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।
এই দিনে স্বৈরাচারী সামরিক শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ছাত্র সমাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বেরিয়েছিল রাজপথে।
পুলিশ তো সবসময় সরকারের। সে সরকার বৈধ হোক আর অবৈধ হোক। তাই সেদিনও গুলি ছুঁড়েছিল পুলিশ। শহীদ হয়েছিলেন জাফর, জয়নাল, দিপালী সাহা সহ ছয়জন গণতন্ত্র-যোদ্ধা।
এরশাদকে গদি থেকে নামাতে নয় বছর সংগ্রাম চলেছে একটানা। বাম দলগুলো ছিল অনেক বেশি সক্রিয়। সক্রিয় ছিলেন শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াও।
কিন্তু আমরা অবশেষে কী দেখলাম?
শহীদ জেহাদের রক্তের কথা ভুলে গিয়ে খালেদা জিয়া তিন জোটের রূপরেখা ফেলে দিলেন বিস্মৃতির ডাস্টবিনে।
নূর হোসেনের রক্তের কথা ভুলে গিয়ে ক্ষমতার স্বার্থে শেখ হাসিনা সেই এরশাদকে বানালেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।
শহীদ ডা. মিলনের কথা ভুলে গিয়ে ইনু সাহেব হলেন এরশাদের সাথে মহাজোটের ক্ষমতার অংশীদার।
কিন্তু আমরা পালন করে চলছিলাম স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস। সেটিকেও ঢেকে ফেলার জন্য আমদানি করা হলো ভ্যালেন্টাইন ডে। বাঙালির কাছে তো ‘স্বাস্থ্য নয় রোগই সংক্রামক’।
মিছেই এই জাতির মুক্তির জন্য রক্ত দিয়ে গেছেন অসংখ্য যোদ্ধা!