নাটোরকন্ঠ: স্বাস্থবিধি অনুসরণপূর্বক নিকটস্থ স্ব-স্ব মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় বিষয়ে ঈমামদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ শাহরিয়াজ পিএএ,জেলা প্রশাসক,নাটোর। আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,মেয়র,নাটোর পৌরসভা,ডিডি ইসলামি ফাউন্ডেশন, এডি এনএসআই সহ সাংবাদিকবৃন্দ। আয়োজনেঃ জেলা প্রশাসন,নাটোর।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ১৪৪১ হিজরির পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় প্রসঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাসমূহ :
মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদগাহ বা খোলা মাঠে ঈদের জামায়াত আয়োজন করা যাবে না। নিকটস্থ মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। প্রয়োজনে এক মসজিদে একাধিক জামায়াত আয়োজনের ব্যবস্থা করা যাবে।
ঈদ জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না; মুসল্লিরা বাড়ি থেকে জায়নামাজ সঙ্গে করে মসজিদে হাজির হবেন।
জামায়াত আদায়ের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে এবং মসজিদের প্রবেশ ফটকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
প্রত্যেক মুসল্লিকে বাড়ি থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজুর সময় সাবান-পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে।
ঈদের জামায়াতে অংশ নেয়ার সময় মুসল্লিরা অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসবেন এবং কোনোভাবেই মসজিদে সংরক্ষিত টুপি বা জায়নামাজ ব্যবহার করবেন না।
এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে এবং কাতারে দাঁড়ানোর সময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।
শিশু, বয়ঃবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং কোনো অসুস্থ্য ব্যক্তির সেবায় নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি ঈদের জামায়াতে অংশ নিতে পারবেন না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নামাজ শেষে কোলাকুলি ও পরস্পরে হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
চলমান মহামারী থেকে পরিত্রাণ পেতে ঈদ উল ফিতরের জামায়াত শেষে খতিব ও ইমামগণ মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে মোনাজাত পরিচালনা করবেন।