গল্প : চৈতী
গল্পকার : নাদিয়া মোহাম্মদ
মায়ের মুখে স্যার পড়াতে এসেছে শুনেই চৈতীর মেজাজটা খুব খারাপ হয়ে গেল। স্যার আর দিন পেল না আসার। আজকেই আসতে হলো স্যারকে? স্যারের আসার কি দরকার ছিল আজকে। তাছাড়া আজকে তো আসার কথাও ছিল না। কত মনোযোগ দিয়ে টিভিতে সে ঈদের বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান দেখছিল। আজকে তো ঈদের পরদিন। ঈদের পরদিন কোন স্যার পড়াতে আসে? স্কুল কলেজ সব বন্ধ। খুলবে আর কয়দিন পর।
স্যার আসছে শুনে চৈতীর এখন মন না চাইলেও টিভি বন্ধ করে পড়তে বসতে হবে। মা’কে সে বলতে পারবে না যে তার স্যারের কাছে পড়তে বসতে ইচ্ছা করছে না। বললে কি হতে পারে চৈতী খুব ভালো করেই জানে।
মা তো জিজ্ঞেস করবে কেন সে পড়তে চাচ্ছে না। তখন সে কি বলবে টিভিতে তার প্রিয় প্রোগ্রাম মিস হবে, এইজন্য সে পড়তে বসবে না।
এই কথা কি সে বলতে পারবে? কখনোও না। বললে আর রক্ষা থাকবে না। বকা তো খাবেই সাথে দু’চারটা থাপ্পড়ও। আরও খারাপ যেটা হতে পারে সেটা হলো সারা বছর টিভি দেখার যে অনুমতি সে পেত সেটাও বন্ধ হয় যেতে পারে। টিভিতে নাচের প্রোগ্রাম দেখতে চৈতীর খুব ভালো লাগে। টিভি দেখা নিয়ে মায়ের খুব কড়াকড়ি নিয়ম। সব প্রোগ্রাম মা দেখতে দেয় না। শুধু ঈদের দিন আর তার পরের কয়েকদিন কিছুটা ছাড় পাওয়া যায়।
মা কিছু বলে না তখন। আর সারা বছর খুব ভয়ে ভয়ে মায়ের অনুমতি নিয়ে টিভি দেখতে হয়। মায়ের মেজাজ ভালো থাকলে টিভি দেখার অনুমতি মিলে, নইলে না। মায়ের মেজাজ প্রায়ই খারাপ থাকে। চিৎকার চেঁচামেচি লেগেই থাকে বাসায়। প্রায়ই মায়ের বকাবকি শুনতে হয়। আজ হয় কাজের মেয়েকে বকছে, নয় কাল বাবার সাথে ঝগড়া। এই তো গতকাল ঈদের দিন সকালে বাবা মায়ের একচোট হয়ে গেলো।
ঈদের দিন সকালে ঝগড়া, ভাবা যায়? রাত পর্যন্ত তো সব ঠিকঠাক ছিলো। সবাই মিলে মামার বাসায় বেড়াতে যাবে বলে ঠিক হলো। অথচ বাবা ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় এসে ঢুকতে না ঢুকতে শুরু হয় যায় দু’জনের কথা কাটাকাটি। চৈতী বাথরুমে গোসল করছিল। বের হয়ে দেখে মায়ের চোখ ছলছল। তার বুকটা ছ্যাঁত করে উঠেছিল। তবে কি তাদের মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়া হবে না? সারা বছর কোথাও যাওয়া হয় না তাদের।
চৈতীরা এই এলাকায় নতুন এসেছে। সেজন্য তার বন্ধুবান্ধবও তেমন নাই। বন্ধু-বান্ধব থাকলেও হয়তো চৈতী ঈদের দিন মামার বাসায়ই যেতে চাইতো। কারণ মামার বাসাটা খুব সুন্দর। কত বড় বাসা! কত বড় বড় রুম! বাসার সামনে কি সুন্দর লন! বাসার বারান্দায় মামী কত রকমের গাছ লাগিয়েছে। তার মধ্যে একটা গাছের নাম বনসাই। কত বড় বড় গাছকে কিভাবে ছোট করে রাখা যায় সেটা সে মামার বাসায় না গেলে হয়তো কখনো দেখতেও পারতো না, জানতেও পারতো না।
মামার বাসাটা ঈদ ছাড়াও এমনিতেই অনেক সাজানো গুছানো থাকে। দু’একবার সে মামার বাসায় বেড়াতে গেছিল। কয়েকদিন সে থেকেও এসেছিল। ঈদে যেন মামার বাসাটা জমকালো সাজ দেয়। ড্রইংরুমে কি সুন্দর পর্দা ঝুলে! সোফার কাপরগুলাও যে কি সুন্দর! খাওয়ার ঘরে বেসিনের পাশে সুন্দর ফুলদানিতে তাজা ফুল রাখা থাকে। খাওয়ার টেবিলে কত রকমের খাবার, কত সুন্দর সুন্দর ডিশে সাজানো থাকে।
ঘরের প্রত্যেকটা কোণায় থাকে সুন্দর সুন্দর শোপিস। মামার বাসায় ঘুরতে গেলে এসব দেখলেই চৈতীর মনটা ভালো হয়ে যায়। অন্য কারো বাসা সে এত সাজানো গুছানো দেখেনি। সব বাসাই তাদের মতো বা তাদের থেকে একটু ভালো। তাদের বাসাটাও মোটামুটি বড়। ড্রইংরুম, দুইটা বেডরুম, দুইটা বাথরুম। আর আছে বিশাল একটা বারান্দা। কিন্তু তাদের বাসাটা একটুও গুছানো নয়।
কোন সুন্দর ফার্ণিচার নাই। মা’র ঘরে যে খাট আছে সেটার একটা পা ভাংগা, ইট দিয়ে বাধা। তাদের কোন ড্রেসিং টেবিল নাই। অথচ মামার বাসায় দুইটা ড্রেসিং টেবিল। তার মামাত বোনের ঘরে একটা আর মামীর ঘরে আর একটা। ঈদে তাদের বাসাতেও ভালো রান্না হয়। কিন্তু মামীর মতো অত পদের রান্না হয় না। মামীর মতো মা সেগুলো টেবিলেও অত সুন্দর করে সাজায় না। সাজাবে কিভাবে? তাদের বাসায় কি মামীর বাসা বাসার মতো অতো সাজানোর ডিশ নাই যে। তাদের বাসায় কোন ফুলদানিও নাই।
ঈদে তাদের বাসা সাজাবার বা গোছগাছের মধ্যে পরে অল্প কয়েকটা ফার্ণিচার, দুইটা খাট, একটা ষ্টিলের আলমারি, নতুন কেনা টিভি। এসব একটু ভালো করে মোছা, বিছানায় একটা ভালো চাদর বিছিয়ে দেওয়া, ব্যস! বিছানায় নতুন চাদর বিছানোটাও প্রতি ঈদে করা হয় না। যে ঈদে বাইরে বেড়ানো হবে সেই ঈদে বিছানায় আর চাদর বিছান হয় না। আর ঈদে বেড়ানো তো হলো মামার বাসায় সারাদিনের জন্য বেড়ানো।
বছরে একটাবার এই ঈদেই যা একটু মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়া হয়। তাদের বাসায়ও ঈদে কেউ বেড়াতে আসে না। তাই ঈদে মামার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য চৈতী মুখিয়ে থাকে। না যেতে পারলে সারা দিনটাই মাটি। ঈদের অনুষ্ঠান তো শুরু হয় বিকেলে। ততক্ষণ পর্যন্ত চৈতীর চুপচাপ ঘরে বসে থাকা ছারা আর কিছু করার নাই। বাবা হয়তো দুপুর পর্যন্ত বাসায় থাকবে তারপর রাত পর্যন্ত বাইরে বাইরে ঘুরবে।
গতকাল ঈদের দিন সকালে গোসল শেষ করে বের হয়ে মায়ের থমথমে চেহারা দেখে সে বারান্দায় এসে কেঁদেছিল। তার খুব কষ্ট হচ্ছিল। তার মনে হচ্ছিলো এবার আর মামার বাসায় যাওয়া হবে না। মা যেতে না চাইলে কিভাবে হবে? সে খুব ভয়ে ভয়ে একবার মা’র কাছে গিয়ে খুব আস্তে করে মাকে বলেছিল “মা চল”। মা কোন কথা বলেনি। তার দিকে ফিরেও তাকায়নি। সে বুঝছিল মা’কে সে বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করাতে পারবে না। মাঝে মাঝে মা তার কথা শুনে। কিন্তু আজ মা সহজে মানবার পাত্রী নয়।
বাবা ইতিমধ্যে মা’কে মানাবার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে অবশ্য। বাবা কতক্ষণে মা’কে মানাতে পারে এটাই এখন দেখার বিষয়। তবে বেশিক্ষণ বাবাকে চেষ্টা করতে হয়নি। অল্পক্ষণ পরেই মা উঠে গিয়ে শাড়ি বের করে রেডি হতে শুরু করে। এইবারই প্রথম খুব তাড়াতাড়ি বাবা মায়ের মান অভিমানের বরফ গলল। অন্যান্য সময় বাবা মায়ের যতবার ঝগড়া হয়েছে তার রেশ চলতো সপ্তাহখানেক।
এর আগে ঝগড়ার পর বাবা কখনো এতো তাড়াতাড়ি মার অভিমান ভাংগাতে যায় নাই। এবারই কি মনে করে এত তাড়াতাড়ি বাবা মায়ের অভিমান ভাংগাতে গেল কে জানে। গতকাল শেষ পর্যন্ত মামার বাসায় বেড়ানো হয়েছিল চৈতীর। কি সুন্দর কাটল সারাটাদিন! তার তো মামার বাসা থেকে আসতেই মন চায় না। এতো সুন্দর বাসা ছেড়ে কি আসতে মন চায়? এ যেন এক স্বপ্নপুরী! ওই স্বপ্নপুরীতে যতক্ষণ সে থাকে ততততক্ষণ তার নিজেকে খুব সুখী সুখী লাগে। নিজের বাসায় থাকতে তার একদম ভালো লাগে না।
দুইদিন পরপর বাবা মায়ের ঝগড়া। আর এই ঝগড়ার ঝাল মেটায় মা তার আর কাজের মেয়ের উপর। ঝগড়ার সময় বাবা মা একজন আর একজনকে কি যে আজেবাজে ভাষায় গালিগালাজ করে। এসব শুনে লজ্জায় চৈতীর ঘাড় নুয়ে আসে। মায়ের তীর্যক শ্লেষাত্মক কথার সাথে বাবা পেরে উঠে না। না পেরে প্রায়ই বাবাও মাকে বিশ্রি ভাষায় গালি দিয়ে বসে। আর মাও হিসহিস করে তেড়ে আসে।
মামার বাসা থেকে বেড়িয়ে আসলে সবসময়ই কি যে এক ভালো লাগা, এক সুখ সুখ ভাব তাকে ঘিরে রাখে। তার সারাটা দিন খুব ভালো কাটে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চোখের সামনে শুধু মামার বাসাটাই ভাসছিল বারবার। মামাতো বোন শৈলীর সাথেও তার ভালো সময় কাটে। তারই সমবয়সী। একই ক্লাশে পড়ে তারা। তার থেকে ভালো স্টুডেন্ট। অনেক ইংরেজি শব্দ জানে। শৈলী বলছিল সে রিসাইটেশনে ফার্স্ট হয়েছে।
চৈতী রিসাইটাশনের মানে জানে না। সে জিজ্ঞেস করে বসল, ‘রিসাইটেশন মানে কি’? শৈলীটা এমনিতে ভালো। কিন্তু মাঝে মাঝে খোঁচা মারতে ছাড়ে না। সে খুব অবাক হয়ে পাল্টা জিজ্ঞেস করল, ‘ওমা তুই রিসাইটেশন মিনিং জানিস না?’ পাশ দিয়ে মামী যাছিল। মামীকেও সে বলে দিল, ‘মা, চৈতী রিসাইটেশন মানে জানে না।’
চৈতী ভীষণ লজ্জা পেয়েছিল।
শৈলী এভাবে মামীকে না বললেও তো পারতো। এইজন্য তার খুব রাগ হয় মাঝে মাঝে তার কাজিনের উপর। কিন্তু তারপরও তার বাবা মা’র দুই পক্ষের সব কাজিনদের মাঝে একমাত্র সমবয়সী কাজিন আর বন্ধু বলতে এই শৈলীই আছে। নাচের প্রোগ্রাম সে কখনও মিস করে না। টিভির সব প্রোগ্রামই তার ভালো লাগে শুধু আলোচনা অনুষ্ঠান ছাড়া।
মামার বাসা থেকে বাসায় আসার পর থেকে আজ সারাদিন কি যে এক ভালো লাগার ভেলায় ভাসছিল সে। কি আগ্রহ নিয়েই না সে নাচের অনুষ্ঠানটা দেখছিল। স্যারের আসার কথাটা শুনতেই ভালো লাগার ভেলাটা কেমন হঠাৎ উল্টে গেলো আর সে যেন ছিটকে পরলো কাদায় যেখান থেকে সে আর উঠতে পারছে না। বিরক্তি আর রাগ তাকে জাপটে ধরেছে। অনুষ্ঠান শেষ হতে আর বেশি বাকি নাই।
কিন্তু ততক্ষণ স্যারকে বসিয়ে রাখা যাবে না। স্যারকে সে একটু বসতে বলতে পারতো। কিন্তু সে তা করতে পারবে না। স্যারকে বসিয়ে টিভি দেখার কথা শুনলে বাবা মা কেউই তাকে আস্ত রাখবে না। কারণ তার টিভি দেখার ব্যাপারটা তাদের কাছে একদম অপছন্দের বিষয়। তার কোন কাজই কি তাদের ভালো লাগে? চৈতী ভাবতে লাগলো। সে কোন ভালো স্টুডেন্ট না। ক্লাসে ফার্স্ট সেকেন্ড হয় না সে।
বইয়ের ভালো স্টুডেন্টরা কত ভালো ভালো কাজ করে যেমন, ডাকটিকেট জমায়, বিদেশি কয়েন জমায়, জ্ঞানের বই পড়ে, নিয়মিত স্কুলে যায়, মন দিয়ে পড়াশোনা করে, হোমওয়ার্ক সময় মতো করে। চৈতীর শুধু শেষের তিনটা গুণ আছে। সে ডাকটিকেট জমায় না, বিদেশি কয়েন জমায় না, ভালো ভালো জ্ঞানের বই পড়ে না। এসব তার একদম ভালো লাগে না। তার শুধু ভালো লাগে গল্পের বই পড়তে আর টিভি দেখতে।
গল্পের বই তো সে পায়ই না। খেলাধুলার জন্য বন্ধুবান্ধবও নাই আশেপাশে। শুধু পড়ার বইয়ে সারাদিন নাক গুঁজে থাকাটা তার জন্য যে কি পরিমাণ যন্ত্রনাদায়ক সেটা বাবা মা বুঝতে পারে না কেন? বাবা তাও মায়ের থেকে একটু কম বকা দেয়। কিন্তু দেয় তো। সে তো রেগুলার হোমওয়ার্ক করে, স্কুলেও নিয়মিত। শুধু ফার্স্ট সেকেন্ড হতে পারে না দেখে বাবা মা তাকে এত টিভি দেখতে নিষেধ করে, গল্পের বই পড়তে দেখলে রাগ করে।
আসলে বাবা মা তাকে একদমই দেখতে পারে না। টিভি দেখা বাদ দিয়ে সে যদি সারাদিন বড় বড় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বই নিয়ে বসে থাকতো তাহলে বাবা মা হয়তো তার সাথে এত রাগ করতে পারতো না। বড়রা টিভি দেখা নিয়ে এত রাগ করে কেন? চৈতী তো পড়াশোনায় ফাঁকি দেয় না। কোন হোমওয়ার্ক তো সে ফেলে রাখে না। শুধু ক্লাসে ফার্স্ট সেকেন্ড হওয়ার মতো রেজাল্ট সে করতে পারে না।
করতে পারলে বাবা মা হয়তো তাকে টিভি দেখা নিয়ে কিছুই বলত না। ফার্স্ট সেকেন্ড হলে যখন খুশি, যতক্ষণ খুশি সে টিভি দেখতে পারত। এই যে এখন তার নাচের অনুষ্ঠান দেখা বাদ দিয়ে স্যারের কাছে পড়তে বসতে হচ্ছে, ইচ্ছা না থাকা সত্বেও, তখন আর তার এইটা করতে হতো না। সে খুব সহজেই মায়ের কাছে বলে নাচের প্রোগ্রাম দেখা শেষ করে স্যারের কাছে পড়তে বসতে পারতো।
নাচের অনুষ্ঠানটা প্রায় শেষের দিকে। স্যারের কাছে পড়তে বসলে শেষটুকু সে আর দেখতে পারবে না। আচ্ছা স্যাররা কি টিভি দেখে না? তাদের কোন পছন্দের প্রোগ্রাম নাই? কোন পছন্দের প্রোগ্রাম কি তারা মিস করে? মিস করলে কেমন লাগে তাদের? এতসব জিজ্ঞাসা চৈতীর মনে অনবরত ঘুরপাক খাচ্ছে। তার এখুনি উঠতে হবে। স্যারের কাছে পড়তে বসতে হবে। টিভিটা অফ করতে হবে। কিন্তু সে কিছুই করতে পারছে না।
প্রচন্ড বিরক্তিতে তার চোখমুখ কুঁচকে আছে। রাগে তার ভিতরটা আগ্নেয়গীরির মতো ফুটছে। তার সমস্ত রাগ লাভার মতো বের হওয়ার অপেক্ষায় আছে । কিন্তু চৈতী জানে এই বিরক্তিভাব স্যারকে দেখানো যাবে না। তাকে যথেষ্ট শান্ত থেকে পড়তে বসতে হবে। তার সমস্ত বিরক্তি, রাগ চেপে যেতে হবে। কোনভাবেই তা প্রকাশ করা যাবে না। কোনভাবেই না। আচ্ছা সে কি স্যারকে জিজ্ঞেস করবে, আজ কেন এসেছেন উনি? জিজ্ঞেস করাটা কি ঠিক হবে?
(বি.দ্রঃ এই গল্পটি সেইসময়কার পটভূমিকায় লিখা যখন এদেশে বিটিভিই ছিল বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম)