জুনের আসরে সংগীতজ্ঞ মুত্তালিব বিশ্বাসকে সংবর্ধনা

0
73

বেনজির শিকদার : ২৮শে জুন, ২০২৪ শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘সাহিত্য একাডেমি, নিউইয়র্ক’র নিয়মিত আয়োজন, মাসিক সাহিত্য আসর। আসরটি পরিচালনায় ছিলেন, একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন। আসরটি দুটি পর্বে বিভক্ত ছিল।

প্রথম পর্বে ছিল, বরেণ্য সংগীতজ্ঞ, গবেষক ও সংগীত সাহিত্যিক মুত্তালিব বিশ্বাসকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন। দ্বিতীয় পর্বে ছিল, যথারীতি স্বরচিত পাঠ, আলোচনা, আবৃত্তি এবং বই আলোচনা। শুরুতে গুণী এই ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, আবৃত্তিশিল্পী পারভীন সুলতানা আবৃত্তি করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্মরণ’ কবিতাটি। এসময় সংগীতগুরুকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিবাদন জানান- রাহাত কাজী শিউলি।

মুত্তালিব বিশ্বাস এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন, বেনজির শিকদার। এরপর সংবর্ধিত ব্যক্তিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ ও প্রবীণ সাংবাদিক মনজুর আহমদ। মুত্তালিব বিশ্বাস বলেন, আমার আব্বা বলতেন, কারও অনুমতি ব্যতীত তার নামের চিঠি এমনকি পোস্টকার্ডে লেখা হলেও কখনও পড়বে না। আড়ি পেতে কখনও কারও কথা শুনবে না। যা তুমি নিজে অর্জন করোনি এমন ধন তোমার নয়, ওটা উপভোগের চেষ্টা করবে না।

বরাবরই আব্বার এই উপদেশগুলো মেনে চলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আজ পারলাম না। কেননা, আমি যা অর্জন করিনি- সেসব সুনাম বসে বসে আজ আমাকে উপভোগ করতে হলো। রবীন্দ্রনাথের লেখা- “হেথা যে গান গাইতে আসা, আমার হয়নি সে গান গাওয়া, আজো কেবল সুর সাধা, আমার কেবল গাইতে চাওয়া।” গানের লাইন দুটোর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আমি একটু পরিবর্তন করে বলি- ‘হেথা যে গান গাইতে আসা, আমার হয়নি সে গান গাওয়া, আমার নেই তো কণ্ঠ সাধা তবু কেবল গাইতে চাওয়া’।

তিনি আরও বলেন, মা যখন তার অবোধ সন্তানকে কোলে নিয়ে, আমার সোনা আমার মানিক বলে আদর করেন, অবোধ সন্তান যেমন তার অর্থ বোঝে না; কেবল শুনে যায়, মা যাকে সোনা বলছেন সে সোনা নয়, এই কথাটি যতটা মিথ্যে ঠিক ততটাই সত্যি! সেজন্য সাহিত্য একাডেমির পক্ষ থেকে দেওয়া এ সম্মান এবং আপনাদের এ প্রশংসা আমি মাথা পেতে গ্রহণ করলাম।

আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, আপনাদের সংস্পর্শে এসে আপনাদের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি। সাহিত্য একাডেমির এ আসরে আজ আবারও বলি, রামনিধি গুপ্তের টপ্পা গানে আছে “দেখিলে ওমুখ ও-শশী আনন্দে সাগরে ভাসি, তাই তোমারে দেখতে আসি, দেখা দিতে আসিনে”। আসলেই আমি আপনাদের দেখতে আসি, দেখা দিতে আসি না। “যদি গোকুল চন্দ্র ব্রজে নাহি এলো, আমার এহেন জীবন, পরশ রতন, কাচের সমান ভেল” গানের কিছু অংশ গাওয়ার মধ্যদিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, মুত্তালিব বিশ্বাসকে আমি অসম্ভব শ্রদ্ধা করি তার গুণের জন্য। গান গাওয়ার সাথে সাথে কী অসাধারণ করে প্রতিটি গানের ব্যাখ্যা তিনি দেন! প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক মনজুর আহমদ বলেন, আজকের এই আয়োজনটি আমাকে খুব আবেগাপ্লুত করেছে। আমি অশীতিপর। আমার উপরে একজন আছেন সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ।

কিন্তু মুত্তালিব বিশ্বাস নবতিপর! আমার কাছে বিস্ময় হচ্ছে- তিনি অসম্ভব স্মৃতিধর একজন মানুষ। যেকোনো বিষয় জানতে যখনই তাকে ফোন করেছি, তিনি সময় নেননি। সাথে সাথে বলে দিয়েছেন। আমার পত্রিকার জন্য তাকে দিয়ে অনেক লেখা লিখিয়ে নিয়েছি। তার লেখার মধ্যে প্রধান যে ব্যাপারটি লক্ষ করেছি, এখনকার সংগীত জগতের অবস্থা সম্পর্কে তিনি তীব্র কষাঘাত করেছেন, কিন্তু এমন ভাষায়, এতটা সুন্দর করে যে, কোনো আপত্তিকর শব্দ নেই সেখানে।

তার লেখা ‘সংগীত ভাবনা’ বইটিও আমি পড়েছি। সেখানেও কোনো তিক্ততার সন্ধান পাইনি। কিন্তু সেখানেও কষাঘাত আছে, সমালোচনা আছে। আজকে সংগীতের ধারা যে পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, তা সম্পর্কেও তিনি সাবধান বাণী উচ্চারণ করেছেন। তার লেখা এই বইগুলো আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ।

সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক ও লেখক মোহম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, মুত্তালিব ভাই যে আমার কে; তা আমি বলতে পারবো না। তিনি আমার ভাই, অভিভাবক, বন্ধু নাকি মুরুব্বি আমি ঠিক বুঝতে পারি না। তবে তার মতো গুণী মানুষের সান্নিধ্য খুব কম পেয়েছি।

লেখক হাসান ফেরদৌস বলেন, ভালো মানুষের গুণ হলো তিনি অত্যন্ত বিনয়ী হন। আর ভালো লেখক মানে তার ভেতরে অনুসন্ধিৎস্যু মন থাকবে। মুত্তালিব বিশ্বাসের দুটো বই পড়ে আমি জেনেছি যে, ভালো লেখকের জন্য খুব জরুরি হচ্ছে রসবোধ। তিনি অতুল প্রসাদ সেনের “নীচুর কাছে নীচু হতে শিখলি না রে মন” গানটির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মুত্তালিব বিশ্বাসের এই গুণটি আছে। তিনি জানেন নিজেকে জাহির না করা এবং নীচুর কাছে নীচু হওয়া। কিন্তু সত্য কথাকে বরাবরই স্পষ্ট করে বলেন তিনি।

লেখক আহমাদ মাযহার বলেন, সংগীতজ্ঞ বলতে যা বোঝায়- অর্থাৎ যিনি সংগীত চর্চা করেন, সংগীতের সাথে জীবনের সম্পর্ক নিরুপণ করতে পারেন, জীবন ও সংগীত একাকার হয়ে যার ব্যক্তিত্বে এমন একটি জায়গা বা পরিবেশ তৈরি হয় এবং যিনি তা তৈরি করতে পারেন তিনিই হচ্ছেন সংগীতজ্ঞ। মুত্তালিব বিশ্বাস তেমনই একজন।

আমাদের দুর্ভাগ্য যে, বাংলাদেশে যারা সংগীতচর্চা করেন, বিশেষ করে উচ্চাঙ্গ সংগীতের চর্চা করেন, জীবন যাপনের সঙ্গে যে সংগীত ভাবনার একটা মননশীলতার সম্পর্ক আছে, হয়তো সেটি তারা জানেন না, নয়তো এই বিদ্যা যেভাবে চর্চিত হয়ে এসেছে, সেটিকে আধুনিক যে জীবন আচার তার সঙ্গে নিজেদেরকে সম্পর্কিত করতে পারেননি।

কারণ তারা মনে করতেন, সংগীত হচ্ছে গুরুমুখি বিদ্যা। কিছু স্বর বা কিছু ধ্বনি কীভাবে বিন্যস্ত করলে সংগীত হবে সেটা শিখিয়ে দিলেই বোধহয় সংগীতজ্ঞ হওয়া যায়। জীবনানুভূতির সাথে স্বরধ্বনির যে একটা সম্পর্ক আছে, অনুভবের সাথে প্রকাশের একটা সম্পর্ক আছে, খুব বেশি মানুষ তার চর্চা করেন না। আমরা হাতে গোনা কয়েকজন মানুষকে পাই। তার মধ্যে ওয়াহিদুল হক, আবদুশ শাকুর, মুত্তালিব বিশ্বাস, করুণাময় গোস্বামী উল্লখযোগ্য।

কবি কাজী আতীক বলেন, সাহিত্য একাডেমির মধ্যদিয়েই মুত্তালিব বিশ্বাসকে আমার চেনা। যদি ঢাকায় থাকতাম, তাহলে হয়তো এত সহজে এমন ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে যেতে পারতাম না।

লেখক এ. বি. এম সালেহ উদ্দিন বলেন, একজন গুণীজন তার আত্মসম্মান এবং সম্মান অর্জনের জন্য এমনকিছু কাজ করেন, যে কাজগুলো তাকে সম্মানিত করে এবং অনাগত সময়েও তিনি সম্মান নিয়ে অমর হয়ে থাকেন। আমার দেখা সহজ, সাবলীল ও মুগ্ধতার অবয়বে মুত্তালিব বিশ্বাস তেমনই একজন মানুষ।

নীরা কাদরী বলেন, মুত্তালিব বিশ্বাসকে আমি খালু বলে ডাকি। আমার অসংখ্য স্মৃতি এই মানুষটির সাথে।ছোটোবেলা থেকেই আমি বেড়ে উঠেছি এই পরিবারটির সাথে। প্রার্থনা করি, দেশে যেয়েও তিনি সর্বদা সুস্থ থাকুন। এছাড়াও সুমন শামসুদ্দিন, মুত্তালিব বিশ্বাস সম্পর্কে বলা, কয়েকজন গুণী মানুষের অনুভূতি পাঠ করার পাশাপাশি মুত্তালিব বিশ্বাসের কিছু উক্তিও পড়ে শোনান।

দ্বিতীয় পর্বে আলোচনায় অংশ নিয়ে কবি তমিজ উদ্দিন লোদী বলেন, ‘He Do The Police In Different Voices’ এই শিরোনামে একটি লেখা আছে। ১৯২১ সালে এর লেখক তখন জেনেভায়, সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। লেখাটি যথাযথ হয়েছে কিনা বোঝার জন্য দূর জেনেভা থেকে ছুটে গেলেন ফ্রান্সে। কবি এজরা পাউণ্ডের কাছে।

এজরা পাউন্ড কবিতাটি তার কাছে রেখে যেতে বললেন এবং কবিতাটি দেখে শুনে কবিতা থেকে প্রথম ৫৪লাইন কেটে বাদ দিলেন। অতঃপর ৫৫লাইন থেকে শুরু করে কবিতাটির নাম দিলেন, ‘দ্যা ওয়েস্ট ল্যান্ড’। পরবর্তীতে টি.এস.এলিয়টের এই কবিতাটি প্রকাশিত হয় ১৯২২সালে। এ থেকেই বোধহয় আমরা শিক্ষা নিতে পারি, লেখালেখির ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ খুবই প্রয়োজন!

বরাবরের মতো আসরে বই নিয়ে আলোচনা করেন, লেখক আদনান সৈয়দ। লেখক শাঁওলী মিত্রের ‘ত্রস্ত সময় ধ্বস্ত সংস্কৃতি’ বইটি প্রসঙ্গে বলেন, ৬৪ পৃষ্ঠার ছোট্ট একটি বই। এতে ৭টি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত। ত্রস্ত সময় ধ্বস্ত সংস্কৃতিই মূল প্রবন্ধ এবং এটি অনুসারেই বইটির নামকরণ। বইটিতে লেখক তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘এই সমাজ নিয়ে আমরা সবাই খুব ত্রস্ত! কোথাও কোনো আশার আলো নেই, কোনো ক্রন্দন নেই। মাঝে মাঝে মনে হয় অন্ধকার ঠেলে আলো কি আর সত্যি আসবে না? আমাদের নতুন প্রজন্ম কোন পথে?

তাদের আত্মায় আমাদের সংস্কৃতির বীজটি কতদূর পর্যন্ত প্রোথিত? তারা কি আমাদের ভাষাকে শেষপর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখবে?আকাশবাণী আর দূরদর্শনের মাধ্যমে আমাদের তো প্রত্যহ বহুল এবং বহুবিধ বিজ্ঞাপন শুনতেই হয়! তা সেই বিজ্ঞাপনসমূহে যে বাংলা উচ্চারণ হয়– তা কি সত্যিই বাংলা? তার ঝোঁক, স্বরের উত্থান-পতন, লয়-কিছুই কি বাংলা ভাষার মতন? তা কোন সুর? নিয়ত এরকম অদ্ভুত বাংলা শুনে আগামী প্রজন্মের কথা বলবার ভাষা কী দাঁড়াবে? সেটা কি আদৌ ‘বাংলা’ থাকবে?’

দ্বিতীয় বই ‘দ্যা লাভ অব ফ্রানৎস কাফকা’ আলোচনা প্রসঙ্গে আদনান সৈয়দ বলেন, বইটি নির্বাচন করার কারণ হলো, এই জুন মাসেই কাফকা মৃত্যুবরণ করেন। কাফকার জীবনে সাতজন প্রেমিকা এসেছিল। মিলেনা তাদেরই একজন। মিলেনার সাথে কাফকার পরিচয় মূলত লেখালেখির সূত্রে। মিলেনা নিজেও ছিলেন একজন লেখক, অনুবাদক ও সাহিত্য বোদ্ধা। তিনি কাফকার ‘দ্য স্টোকার’ গল্পটি জার্মান থেকে চেক ভাষায় অনুবাদ করেন।

মিলেনার এই অনুবাদ কাজে হাত দেওয়ার মধ্যদিয়েই কাফকার সাথে ভালোবাসার সম্পর্কটি গড়ে উঠেছিল। যদিও মিলেনা বিবাহিত ছিলেন, কিন্তু ১৯২০ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর— এই দীর্ঘ ১০ মাস তাদের পরস্পরের মধ্যে পত্র-যোগাযোগ ঘটে। ১০মাসে ১৪৯টি চিঠি লেখা হয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই চিঠিগুলো নিয়ে ‘মিলেনাকে লেখা চিঠি’ নামে গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রেমিক কাফকার ডাক উপেক্ষা করতে না পেরে, মিলেনা স্বামীর সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে ভিয়েনা এলেও শেষপর্যন্ত তাদের দেখা হয় না। মিলেনার পৌঁছানোর আগেই কাফকা মৃত্যুবরণ করেন। সময় স্বল্পতার কারণে সবাই স্বরচিত পাঠে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও এবারের আসরে কবিতা পাঠ করেছেন, কবি হোসাইন কবির, মনিকা চক্রবর্তী এবং কাউসারী মালেক রোজী। এছাড়াও আবৃত্তিশিল্পী মুমু আনসারী আবৃত্তি করেন, নূপুর চক্রবর্তীর লেখা ‘পুরুষ তুমি ছুঁতে চাইলে এমনিভাবে ছোঁবে’ কবিতাটি।

আসরে উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌস সাজেদীন, আবেদীন কাদের, রেখা আহমেদ, শামস আল মমীন, ফরিদা ইয়াসমিন, মেহফুজ আহমেদ, ধনঞ্জয় সাহা, পলি শাহীনা, জেবুন্নেছা জোৎস্না, রিমি রুম্মান, ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন, মিনহাজ আহমেদ, মিয়া আসকির, এম এম মোজাম্মেল হক, রিপন শওকত রহমান, প্রতাপ দাস, সীতেশ ধর, রওশন আরা নীপা, ইয়াকুব আলী মিঠু, এনামুল করিম দিপু, আকবর হায়দার কিরণ,

সেমন্তি ওয়াহিদ, হাসানুজ্জামান সাকী, হুমায়ুন কবীর ঢালী, মনিজা রহমান, আবু সাঈদ রতন, সুরিত বড়ুয়া, রানু ফেরদৌস, সাদিয়া খন্দকার, এলি বড়ুয়া, নাসিমা আক্তার, আবু রায়হান, আবদুল কাইয়ুম, সবিতা দাশ, মাসুম আহমেদ, নাসির শিকদার, রুপা খানম, বিশ্বাস করবী ফারহানা, ওয়াহেদ হোসেন, ফ্লোরা, বিশ্বাস কেতকী ফারহানা, শহীদ উদ্দিন, আবদুল আজিজ, সীমু আফরোজা, সেলিম আফসারী, শফিক ইসলাম প্রমুখ।

যথারীতি এবারের আসরেও পাঠের জন্য বই বিতরণ করা হয়। একমাসের জন্য ধার নেওয়া বইগুলো হলো- আবদুল ওদুদের ‘শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ’ বুদ্ধদেব বসুর ‘সাহিত্যচর্চা’ জীবনানন্দ দাশের ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ মহাশ্বেতা দেবীর ‘হাজার চুরাশির মা’ এবং সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’। সবাইকে আগামী আসরের আমন্ত্রণ জানিয়ে, অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Advertisement
উৎসBenojir Sikder
পূর্ববর্তী নিবন্ধকবি অসিত কর্মকার‘এর দুই লাইনের কবিতা
পরবর্তী নিবন্ধএকুশের ডায়েরি -বিপ্লব কুমার পাল -পর্ব ০৬

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে