জয়কালি বাড়ি মিষ্টির দোকানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

0
159
দ্বারিক ভান্ডার

নাটোর কন্ঠ : নাটোরের লালবাজারে কাঁচাগোল্লার দোকানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোর‘এর অভিযান। আজ ২৫ শে মার্চ শনিবার বেলা তিনটার দিকে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাঁচাগোল্লা উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে ৪৩ ধারায় জয়কালী বাড়ি মিষ্টির দোকান ‘দ্বারিক ভান্ডারে’এর মালিক রবীন্দ্রনাথ কুন্ডুকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য সতর্কতা মূলক নির্দেশ প্রদান করেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীর। এই অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন নাটোর র্যাব ৫ এর একটি বিশেষ টিম।

স্থানীয়রা জানায়, ‘দীর্ঘদিন যাবত এই দোকানের ভেতরে তেলাপোকা ও ইঁদুর বসবাস করে। নাটোরের বেশিরভাগ মানুষ এই দোকান থেকে কোনরকম মিষ্টান্ন কিনেন না। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই দোকানের কাঁচাগোল্লা কিনে নিয়ে যায়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালবাজারের একজন প্রবীণ ব্যক্তি জানান, ‘এই দোকানে আজ থেকে ২৫ বছর আগে বাতাসা তৈরি করা হত। সেই বাতাসা প্রসাদ হিসেবে, মন্দিরে ভোগ দেওয়া হতো।

চার আনা, আট আনার বাতাসা বিক্রেতা এখন, কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে, কাঁচাগোল্লা বিক্রি করে। নাটোর শহরে বর্তমানে তার চারখানা বাড়ি রয়েছে। সম্প্রতি লালবাজারে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যে একটি বাড়ি ক্রয় করেছে।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, প্রায় ছয় বছর আগে নোংরা পরিবেশে কাঁচাগোল্লা বিক্রির দায়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে, ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

এরপর এই মানহীন কাঁচাগোল্লার দাম, কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে। তারপর থেকে নানা উসিলায়, ক্রিম ছাড়া সামান্য ছানা আর প্রচুর চিনি দিয়ে, মানহীন এই কাঁচাগোল্লার দাম, বহুবার বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে যা উৎপাদন করতে প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ব্যয় হয়। আর বিক্রি করছে ৫৬০ টাকা কেজি।

প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ মণ কাঁচাগোল্লা বিক্রি করেন এই দোকানদার। তাই জরিমানার এক লক্ষ টাকা দোকানে দাঁড়িয়ে থেকে, সাথে সাথেই প্রদান করলেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মো. মেহেদী হাসান তানভীর জানান, ‘অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন উপায়ে কাঁচাগোল্লা তৈরি করছে কিনা, তা তদারকি করতে নাটোর র্যাব ৫ এর সহযোগিতায়, একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছি।

নাটোর জয়কালি বাড়ি মিষ্টির দোকান দ্বারিক ভান্ডারে আমরা দেখলাম, তারা অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় এই কাঁচাগোল্লা উৎপাদন এবং বিক্রি করছেন। এই অপরাধে ৪৩ ধারায় দোকান মালিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বেচ্ছাসেবক লীগের ইউনিয়ন সম্পাদক ও সহ-সভাপতি বহিষ্কার
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরে আজ থেকে বাসন্তী পূজো শুরু

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে