নাটোর কন্ঠ : মাত্র তিন আগে শেষ হয়েছে রাস্তার কার্পেটিং কাজ।কিন্তু নিম্নমানের কাজের কারনে রুটির মতো গোল হয়ে উঠে আসছে কার্পেটিং। আবার পায়ের সামান্য আচড়েই উঠে যাচ্ছে পিচ।
এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দড়িয়া ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণপুর কালি মন্দির থেকে মির্জাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ। অথচ এই রাস্তাটি সংস্কার করতে ব্যায় করা হয়েছে ৭০লাখ টাকা।
এলাকাবাসী এবং গণমাধ্যম কর্মীরা বিষয়টি নাটোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকে জানান। তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে এলজিইডির ল্যাবরেটরি সহকারী প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দেন।
রাস্তার মালামাল পরীক্ষাগারে ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে এই কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা লালপুর উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার আলী এবং উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাককে শোকজ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, লালপুর উপজেলার দুড়দড়িয়া ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণপুর কালি মন্দির থেকে মির্জাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই বেহাল রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র তিন আগে।
কিন্তু কার্পেটিং এতটাই নিম্নমানের করা হয়েছে যে, কেউ হাত দিয়ে আঁচড় দিলে রুটির মতো গোল হয়ে উঠে আসছে।এই অবস্থায় নিম্নমানের কাজের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসীরা।
এলজিইডি সূত্র জানায়, লালপুর উপজেলার দুড়দড়িয়া ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণপুর কালি মন্দির থেকে মির্জাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তার সঙ্গে তিনটি কালভার্ট সহ মোট ব্যায় ধরা হয় প্রায় ৭০লাখ টাকা। আর এই কাজটির দায়িত্ব পান এসএম সামছুল ইসলাম নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
তবে এসএম সামছুল ইসলাম নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পেলেও সংস্কার কাজটি করেন ঠিকাদার বাবু। নিম্নমানের কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, বিটুমুন কম থাকার কারনে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশনা মতে পুনরায় কাজটি করে দেওয়া হবে।
নাটোর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসার পরই ল্যাবরেটরি প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে মালামাল পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাগারে ত্রুটি ধরা পড়ায় এই কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলী এবং উপসহকারী প্রকৌশলীকে শোকজ করা হয়েছে।
তাছাড়া ঠিকাদারকে চিঠি দিয়ে পুনরায় কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া ঠিকাদারকে কাজের বিল পরিশোধ করা হয়নি। সংস্কার কাজ ঠিকমত না হওয়া পর্যন্ত বিল পরিশোধ করা হবে না।’