নলডাঙ্গার মাধনগরে অবহেলায় শিব মন্দির-খোঁজ নেয়না কেউ

0
240

নলডাঙ্গার মাধনগরে অবহেলায় শিব মন্দির-খোঁজ নেয়নি কেউ

রবিউল ইসলাম, নাটোর কণ্ঠ:  সঠিক যত্নের অভাবে ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর বাজার সংলগ্ন প্রাচীন শিব মন্দির। দায়িত্বে থাকা লোকজনের অবহেলার কারণে মন্দির প্রাঙ্গনে এখন ছাগল আর বখাটেদের অবাধ বিচরণ।

শুধু মাত্র পূজার সময় যত্ন বাড়ে মন্দিরটির। অন্য সময়ে খোঁজ খবর রাখেন না মন্দির পরিচালনা কমিটির কেউই।

শিব মন্দিরটি এখনও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু-অযন্ত্র আর অবহেলায় বর্তমানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এখন চোখে পড়বে খসে পড়া পলেস্টার ও শেওলা গজানো দেয়াল।
এসব যেন দেখার কেউ নেই।

জানা যায়,মন্দিরটি প্রতিষ্টা করেন পাবনার দিলালপুরের জমিদার যামিনী সুন্দরী বসাক। যামিনী সুন্দরী বসাকের পরগনা ছিল এই মাধনগর। এদিকে যামিনী সুন্দরীর দুই মেয়ে শৈল বালা দাসী ও কালী দাসীকে বিয়ে দেন নাটোরের পূর্ণ চন্দ্র বসাক ও মাখন লাল বসাকের সঙ্গে। যামিনী সুন্দরী মাধনগরে ১৮৬৭ ইং সালে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করে দেন। মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব নেন তিনি। এখানকার যাবতীয় খরচ পাবনার দিলালপুরের জমিদারী স্টেট থেকে আসতো। পরবর্তীতে যামিনী সুন্দরীর মেয়েরা পান তার পরগনার দায়িত্ব।

বিশস্ত, সূত্রে জানা যায় মন্দির প্রাঙ্গনে মেহেগনির গাছও ছিল,মন্দির সংস্কারের জন্য সেটিও বিক্রি করেছে কমিটির লোকজন। কিন্তু- অজানা কারনে এখনও কোন সংস্কার হয়নি মন্দিরটির।

মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ,গোপন চন্দ্র মহন্ত বলেন,আমি নামেই মাত্র ক্যাশিয়ার,কোন টাকা-পয়সা আমার কাছে রাখা হয় না। যা আছে,সবই সভাপতির কাছে। তবে অচিরেই মন্দিরটি সংস্কার করা প্রয়োজন।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিমল চন্দ্র মহন্ত- নানা অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে বলেন,সভাপতির কারনে মন্দির কোন সংস্কার করা সম্ভব হয়নি,মন্দিরের মেহেগনির গাছ কত টাকার বিক্রি করা হয়েছে,সেটারও সঠিক তথ্য জানানো হয়নি,আমরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করার উদ্যোগ করেছিলাম,কিন্তু-সভাপতির অসহযোগিতার কারনে সম্ভব হয়নি।
মন্দিরের চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা প্রয়োজন। সংস্কার করা না হলে ঐতিহ্যবাহী এ মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে যাবে। কালের নিদর্শন ধরে রাখতে মন্দিরটি পুরোপুরি সংস্কার করা দরকার।

মন্দির কমিটির সভাপতি বিপুল অধিকারী বলেন,মন্দির সংস্কার করা হবে।
সম্পূন্ন হিসাব তার কাছে রয়েছে,অন্য
কেউ চাইলে,হিসাব দিয়ে দিবো।
ফান্ডে কিছু টাকা রয়েছে আরও কিছু টাকা সংগ্রহ করে অচিরেই মন্দিরটির কাজ শুরু হবে।

উল্লেখ্য,মাধনগর গ্রামে রয়েছে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিতলের রথ। এই বিশেষ পিতলের রথের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দেড়’শ বছরের পুরনো রথটি নাটোরের একটি বিশেষ ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ নাটোরে কে কোথায় আক্রান্ত হলো করোনায় আসুন জেনে নেই
পরবর্তী নিবন্ধনলডাঙ্গার পিপরুলে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরনে আলোচনা ও দোয়া ছাত্রলীগের

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে