নাটোরের সিংড়ায় নির্মাণ হচ্ছে একখণ্ড সিঙ্গাপুর

0
868
nATORE KANTHO

নাটোর কন্ঠ : নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ১৫ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ‘চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার’। একই জায়গায় চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে হাইটেক পার্ক, ইনকিবিউশন সেন্টার, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার। এক জায়গায় চারটি প্রতিষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে জেনে খুশি ফ্রিল্যান্সারসহ স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের শেরকোল এলাকার বিশাল এলাকাজুড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার। ১৫ একর জায়গার ওপর আইসিটি বিভাগের অধীনে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি হাইটেক পার্ক ও ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিবিউশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে।

এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে সিংড়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার।

এরই মধ্যে হাইটেক পার্ক ও গণপূর্ত বিভাগের অধীনে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাইটেক পার্কের মূল ভবনের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে চলছে ।

চারটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হলে চলনবিলের অন্তত ২০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির হবে বলে জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
ফ্রিল্যান্সার শাফি ইসলাম বলেন, শস্যভান্ডার হিসেবে সারাদেশের মানুষ চলনবিলকে চেনে এবং জানে।

তবে চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার নির্মাণ হলে দেশের মানুষ নতুন করে চলনবিল তথা সিংড়ার মানুষকে চিনবে। এখানে উত্তরাঞ্চলের তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দুর হবে বলে তিনি মনে করেন।

শিক্ষার্থী রবিন হোসেন জানান, আমাদের সিংড়ায় হাইটেক পার্ক নির্মাণ হচ্ছে জেনে আমরা খুবই খুশি, এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। নির্মাণকাজ শেষ হলে এলাকার বেকারত্ব দূর হবে। কয়েক হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মস্থান হবে বলে তিনি মনে করেন।

চলনবিল পরিবেশ উন্নয়ন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ফোরামের সভাপতি রাজু আহমেদ জানান, দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা খুবই ভালো। আগামীতে বেকারত্ব দূর করতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার বাসেদ রহমান বলেন, হাইটেক পার্কের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। শেষ হওয়ার কথা আছে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে। মূল ভবনের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

হাইটেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মশিউর রমজান জানান, গত বছর আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে কাজের অনুমতি দেরিতে পাওয়ার কারণে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে একখণ্ড সিঙ্গাপুর গড়ে উঠবে। চলনবিলের শিক্ষিত বেকার যুবকরা ডিজিটাল সিটি সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হলে অন্তত ২০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি।

চলনবিল ডিজিটাল সিটি সেন্টার নিয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি আশার আলো দেখছেন ফ্রিল্যান্সাররা। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিবিউশন সেন্টার হওয়ায় ফ্রিল্যান্সার তৈরির কারখানা হবে । উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব বলে বলে মনে করছেন ফ্রিল্যান্সারসহ সচেতন মহল।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে করোনা রোগীদের চিকৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই !
পরবর্তী নিবন্ধমাই টিভির নাটোর প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা অত্যধিক অসুস্থ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে