নাটোরে ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ -ব্যবস্থা নেবেন প্রশাসন।

0
976
nATORE KANTHO

নাটোর কন্ঠ : নাটোর সদর উপজেলার ছাতনি ইউনিয়নের তেলকুপি বিল জুড়ে চলছে ইটভাটা নির্মাণ কাজ। এলাকাবাসীরা বলছেন, ইটভাটা নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পরে প্রশাসন একবার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন।পুনরায় কিভাবে নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণের দিকে এগিয়ে চলেছে? এমন প্রশ্নের উত্তর জানা নেই এলাকাবাসীর।

অপরদিকে ইটভাটা নির্মাণ হলে বিলের অন্যান্য কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন। অনেকেরই অভিযোগ কৃষকদেরকে বেকায়দায় ফেলে সুকৌশলে জমি লিজ নিচ্ছেন ইটভাটা মালিক।

সরেজমিনে দেখা যায় নাটোর শহরের ভেতর দিয়ে নলডাঙ্গা উপজেলায় অভিমুখে সড়ক সংলগ্নো তেলকুপি বিল।বিলের প্রায় এক অংশ জুড়ে চলছে ইটভাটা নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। অদূরে পাহাড়ের মতন উঁচু করে রাখা আছে মাটি। ফসলি জমি ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে ইমারত।বিলটির তিন দিকে দেখা যায় ফসলি জমি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এলাকাবাসী নাটোর কণ্ঠকে জানান, দুইজন কৃষক প্রায় ১৪ বিঘা জমি ১০ বছরের জন্য লিজ দেয় নগদ টাকার লোভে। ওই জমি নেওয়ার পর থেকে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে টাকার প্রলোভন এবং চাপ দেওয়া হয় জমি ইটভাটার জন্য লিজ দিতে।বর্তমানে প্রায় পঁচিশ বিঘা জমি লিজ নিয়েছে ইটভাটা মালিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কৃষক নাটোর কণ্ঠকে জানান, জীবন থাকতে তিনি জমি লিজ দেবেন না। তার জমিতে তিনি নিজেই সোনার ফসল ফলাবেন। তিনি আরো জানান, তেলকুপি বিলে বছরে তিন থেকে চারটা ফসল ফলে। ইটভাটার কারনে তার জমিতে যদি ফসল কমে যায় তবুও তিনি ইটভাটায় জমি লিজ দেবেন না।

এব্যাপারে নাটোর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম নাটোর কণ্ঠকে জানান, ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমন ফসলি জমি বিনষ্ট করে এই ইটভাটা নির্মাণের অনুমতি কি পরিবেশ অধিদপ্তর দিয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে নাটোর কণ্ঠ।

প্রিয় পাঠক এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দ্বিতীয় পর্বে চোখ রাখুন

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধবাগাতিপাড়ায় রাস্তা পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধইভার মেডিকেলে পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন-আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে