নাটোর কন্ঠ : নাটোরে বাগাতিপাড়ায় উপজেলার জামনগর ইউনিয়নে বড়াল ঘাটে দীর্ঘদিনেও সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা হয়নি। বর্ষায় ছোট্ট নৌকা ও শুস্ক মৌসুমে বাঁশের মাচায় লোকজনের বড়াল পারাপারে ভরসা। জন দুর্ভোগ লাঘবে প্রতিনিধিদের আশ্বাসের কোন প্রতিফলন ঘটেনি।
জানাযায়,জামনগর বড়াল ঘাটটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ।এই বড়াল ঘাট বাগাতিপড়া ও বাঘা উপজেলার সংযোগস্থল। ঘাটের উত্তর পাশে বাগাতিপাড়ার জামনগর ও দক্ষিণ পাশে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আড়ানি পৌর সীমানা। এপাড় থেকে আড়ানি পৌর বাজারের দূরত্ব দূ’ কিলোমিটার। পৌর বাজার একটি বড় ব্যবসা কেন্দ্র। এখানে বাজারের পাশাপাশি প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বিশাল হাট বসে।
অপরদিকে এই ঘাট থেকে বাগাতিপাড়ার বড় ব্যবসা কেন্দ্র জামনগর বাজার, দূরত্ব শূন্য কিলোমিটার। এখানেও প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। হাট-বাজার গুলোয় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়িদের সমাগম ঘটে। বড়াল সেতু নির্মাণ না হওয়ায় লোকজন চরম দূরর্ভোগের শিকার হয়।
বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর,বাঁশবাড়িয়া, কৈচরপাড়া,মুন্সিপাড়া,মাঝপাড়া,কৈপুকুরিয়া,দোবিলা, চৌধুরীপাড়া, শাহপাড়া, পালপাড়া, কুঠিপাড়া, মোল্লাপাড়া, হাপানিয়া ও বাঘা উপজেলার আড়ানি, চকরপাড়া, হামিদকুড়া, গোচর, কুশাবাড়িয়া, ঝিনা, বেড়ের বাড়ি,বাউশা, পিয়াদাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবির অসংখ্য লোকজন জামনগর বড়াল ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে।
এই ঘাটে বর্ষা মৌসুমে পারাপারে একটি ছোট্ট নৌকা ব্যবহার করা হয় এবং শুস্ক মৌসুমে বাঁশের মাচান ব্যবহার করা হয়। এতে লোকজন যাতায়াত ও মালামাল আমদানি এবং রপ্তানি করতে দুর্ভোগ পোহায়। অহরহ নৌকা ডুবে ও মাচান ভেঙ্গে অসংখ্য লোকজন ক্ষতি গ্রস্ত হয়। এলাকাবাসী জানান, একাধিক বার এ ঘাটের দূ’পাশের মাটিরস্তর পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় ভাল ফলাফল এসেছে। জনপ্রতিনিরা বড়াল সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আজও সেতু নির্মাণ হয়নি।
আড়ানি মনোমহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদ হোসেন জানান, জামনগর বড়াল ঘাটে সেতু নির্মাণ হলে বাঘা ও নাটোর শহরের দূরত্ব অন্তত দশ কিলোমিটার কমে আসবে এবং ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটবে বলে তিনি মনে করেন।
গোচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মিনারা জানান, সেতু নির্মাণ হলে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি ঘাটের দূ’ পাশে ছোট-বড় দোকান পাট গড়ে উঠবে বলে তিনি মনে করেন।
জামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস জানান, জামনগর বড়াল ঘাট অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান মানববান্ধব সরকারের মেয়াদে সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা হবে বলে তিনি আশাবাদী।
নাটোর জেলার বহুস্থানে কারণে-অকারণে নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। আর প্রয়োজন যেখানে জরুরী সেই স্থানে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়েও, বাস্তবায়ন হয়নি কয়েক যুগে। জন দুর্ভোগ কমাতে সরকার বিষয়টি অতি দ্রুত দেখবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী।