নাটোরে ৮ বছর পুর্ন না হওয়া শিশু শিক্ষার্থীদের ভর্তি সমস্যার সুরাহা

0
240
0000

নাটোর কন্ঠ : নাটোরে ৮ বছর পুর্ন না হওয়ায় লটারির ফলাফলে নির্বাচিত হয়েও তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হতে না পারার বিষয়টি সুরাহা হয়েছে। জেলা প্রমাসক মো. শামীম আহমেদের চেষ্টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউসি) মৌখিক নির্দেশে লটারিতে নির্বাচিত ৮ বছর পুর্ন না হওয়া শিশু শিক্ষার্থীদের তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তির অনুমতি মিলেছে।

ওই মৌখিক নির্দেশের পর নাটোর সরকারী বালিকা ও সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তির ফরম দিতে শুরু করেছেন। এর আগে যাদের আট বছর পুর্ন হয়নি অথচ লটারির ফলাফলে নির্বাচিত প্রায় ৫৪ শিশু শিক্ষার্থীর অভিবাবককে ভর্তির ফরম দেওয়া হয়নি।

গত রোববার ৮ বছর পুর্ন না হওয়া লটারিতে ভর্তিচ্ছুক শিশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ফরম নিতে গেলে তাদের ফরম দেওয়া হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছিলেন যাদের বয়স ৮ বছর পুর্ন হয়নি তাদের ভর্তি নেয়া হবেনা। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে এমন নির্দেশ শোনার পর দিশেহারা হয়ে পড়েন এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৪ শিক্ষাথীর অভিবাবকরা।

স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে ভর্তি না করার নির্দেশনা জানার পর অভিভাবকদের অনেকেই জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ নাটোরের সরকারী বালিকা ও সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদ্বয়ের সাথে যোগাযোগ করে সুরাহার উদ্দোগ নেন।

এছাড়া বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও বিষয়টি অবগত করেন। ইত্যবসরে স্কুল কর্তৃপক্ষও বিষয়টি অবগত করা সহ সুরাহার জন্য নির্দেশনা দিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক এই সমস্যা সমাধানের জন্যসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেন।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের চেষ্টায় রাতেই লটারিতে নির্বাচিত সকল শিশু শিক্ষার্থীকে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয় মৌখিকভাবে। তবে যাদের বয়স ৮ বছর পুর্ন হয়নি তাদের মুচলেকা দিয়ে ফরম নিতে হয়।

যদি আইনগত কোন কারন দেখানো বা অন্য কোন নির্দেশনায় ভর্তি বাতিল করার নির্দেশনা আসে তা এই ৫৪ শিশুর অভিভাবক মেনে নিবেন। এই নির্দেশনা অভিভাবকরা ফরম নিয়ে তার সন্তানদের ভর্তির প্রস্তুতি নেন এবং জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের ধন্যবাদ জানান।

নাটোর সরকারী বালিকা ও সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান দুই শিক্ষক আব্দুল মতিন ও হারুন অর রশীদ জানান, অনলাইনে আবেদনের সুযোগ থাকায় অভিভাবকদের অনেকেই বয়সটাকে গুরুত্ব না দিয়ে বিপাকে পড়েন। আর টেলিটক কোম্পাণীর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করেছেন।

ফলে বয়সের বিষয়টা গুরুত্ব না দিয়ে বেশী বেশী আবেদন পত্র জমা পড়ার ওপর গুরুত্ব দেয়ায় এই বিপত্তি দেখা দেয়। এছাড়া লটারির সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউসি) নজর এড়িয়ে যায়। এই লটারির পদ্ধতিতে ভর্তির ব্যবস্থাতে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী সরকারী স্কুলগুলোতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, লটারির সময় কম বয়সীদের বাদ দিলেই কারো কোনো আপত্তি থাকতো না। শিশুরা সামান্যতেই রি-এ্যাক্ট করে। এ অবস্থায় তারা ভর্তি হতে না পারলে তাদের কেউ কেউ মানসিক বিপর্যয়ে পড়তে পারে। এসব বিবেচনা করেই যার যার অবস্থান থেকে এবং সকলে মিলে বিষয়টি সুরাহার চেস্টা করা হয়েছে। ভর্তির নির্দেশ পাওয়ার পর ভর্তি সমস্যার সুরাহা হওয়ায় সকলেই খুশী হয়েছেন।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘বিজয় অর্জনের পর ২০ ডিসেম্বরে যার যার মত বাড়ির পথে রওনা হই আমরা’
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরের বনপাড়ায় বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে