নাটোর হাসপাতালে রোগীর দীর্ঘ লাইন,নেই সচেতনতা

0
399
hospital
সেলিম রেজা, নাটোর কন্ঠ : দেশে করোনার প্রকোপ আছে এমনটি মনে হবে না নাটোরেে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার এমনকি হাসপাতালগুলোয়ও। এখন এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে মাস্ক পরলে লোকজন তার দিকে একটু অন্য দৃষ্টিতে তাকায়। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না কোথাও। মাস্ক পরছে না ১০ ভাগ মানুষও। জেলার সর্বত্রই আগের মতো চলছে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মানুষের মধ্যে কোনও সচেতনতা নেই। গাদাগাদি করে দাঁড়ানো বা বসে রয়েছেন লোকজন। হাসপাতালের ভেতরের চিত্র আরও খারাপ। রোগীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো গা ঘেঁষাঘেঁষি করে। কেউবা বসে রয়েছেন মাস্ক না পরে। বেশ কয়েকজন রোগী জানান, মাস্ক আনতে ভুলে গেছেন। কেউ বা লজ্জায় কিছু না বলে হেঁটে চলে যান।
হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, নার্সরা আগের মতোই সব ধরনের রোগীদেরকে সেবা দিচ্ছেন। আগে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস এবং পিপিই পরতেন। এখন শুধু মাস্ক পরে রোগীদের সেবা প্রদান করছেন নার্সরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নার্স বলেন, সরকারি পিপি, মাস্ক পরেও অনেক স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া পিপি পরে যে গরম অনুভূত হয় তাতে কাজে আরও ব্যাঘাত ঘটে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. জি.এম মো. মিজানুর রহমান সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, চিকিৎসকরা কোভিড ও নন-কোভিড উভয় রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে পিপি বা মাস্কের কোন সংকট নাই বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপের করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায রেখে তারা জেলার সব হাসপাতালগুলোয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, সাহসিকতার সঙ্গে প্রথম ধাপের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন। প্রতিনিয়তই সবাইকে করোনা প্রতিরোধে বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করা হয়ে থাকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা না করেই জনগণকে সচেতন করার কাজ চালাচ্ছি।
Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধলালপুরের কর্মরত শ্রমিকদের বাদ দিয়ে কোন সমন্বয় নয়-এমপি বকুল
পরবর্তী নিবন্ধহায়! প্রতিক্ষা! – দেবাশীষ সরকার এর কবিতা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে