নিউইয়র্কে মাসিক সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত

0
93

বেনজির শিকদার : আলোচনা ও আবৃত্তির মধ্যদিয়ে ৩১শে মে, শুক্রবার ২০২৪- সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘সাহিত্য একাডেমি, নিউইয়র্ক’র নিয়মিত আয়োজন, মাসিক সাহিত্য আসর। আসরটি পরিচালনায় ছিলেন, একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন।

এবারের আসরে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আবৃত্তিশিল্পী পারভীন সুলতানার কণ্ঠে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা রচিত “যতদূর বাংলা ভাষা” কবিতাটি আবৃত্তির মধ্যদিয়ে আসরের শুভসূচনা করা হয়।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা তার বক্তব্যে বলেন, আজকের এই আসরে আমার গুরু, কবি শহীদ কাদরীও আছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি তাকে। ভালো লাগছে, এ শহরে তিনি এসেছিলেন বলেই বদলে গেছে এর রূপ। “শহীদ কাদরী বাড়ি নেই” না, শহীদ কাদরী বাড়ি আছেন। তার তিরোধানের পর তাকে আবার ধারণ করেছে বাংলার মাটি-মা।

বাংলার জল, বাংলার ফল এত মধুর যে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে কবি নজরুল, জীবনানন্দ দাশ সবাই বলেছেন, বাংলার জল, ফল, মাটির কথা। সেকারণেই যে যত দূরেই যান না কেন, তিনি বাংলার মাটিতেই থাকেন, বাংলার আকাশেই থাকেন কিংবা বাংলার বিশ্ব-বিস্তারে থাকেন। “শহীদ কাদরী, কবিতার পাদ্রী, এসেছেন শহরে। দৈর্ঘ্যে পাঁচহাত, দশহাত বহরে”। একসাথে আড্ডায় বসে এধরণের ছড়া কাটতাম তাকে নিয়ে।

ইতিহাসপূর্বকাল থেকে বিবর্তীত এই বাঙালির ব্যক্তিসত্তা, বাঙালির জনসত্তা। যেহেতু বাংলাভাষায় স্থান শব্দটি আছে, এবং অন্য যেখানেই এই স্থান শব্দটি পাওয়া যাবে, সেখানেই কোনও না কোনও সময়ে বাংলাভাষার অস্তিত্ব ছিল। মানুষের ব্যক্তিসত্তার অস্তিত্বও তাই। যাদের বুকে বাংলা উচ্চারিত হয়, নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যে তা লুপ্ত হয়ে যাবে না, কেবল বিবর্তিত হবে, অতঃপর বহুজাতিক ব্যক্তির অস্তিত্বে পাওয়া যাবে। আমরা সবাই, সর্বত্রই সেকাজটিই করে যাচ্ছি। সাহিত্য একাডেমিও তাই।

তিনি বলেন, “যতদূর বাংলা ভাষা ততদূর এই বাংলাদেশ” আমার এই কবিতায় উল্লেখিত ইতিহাসের ধারাস্রোতে বাঙালির জাতিসত্তা শনাক্তকরণ থেকে রাষ্ট্র শনাক্তকরণ তথা রাষ্ট্র স্বাধীন হওয়ার পর, স্বাধীন ব্যক্তিসত্তা ও স্বাধীন পরিবারসত্তা মূলত বাঙালিসত্তা। যে কারণে এই শনাক্তকরণ, সেটি হলো, মানুষ শুধু ব্যক্তি নয়, মানুষ হলো সমষ্টি। দেশ শুধু দেশ নয়, দেশ মানে পৃথিবী।

জাতি শুধু জাতি নয়, জাতি মানে মহাজাতিসত্তা। আর একে বুঝতে হলে ভাষাকে বুঝতে হবে। ভাষা হচ্ছে চেতনা, তা সে যে ভাষাই হোক না কেন। ভাষার একটি ‘ওয়া’ সূচক ঐক্য আছে। বাংলাভাষায় সেটি সত্য ও তীব্র, কেননা এর শব্দগুলো পরীক্ষা করলে কিংবা ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষা এখানে যুক্ত রয়েছে।

আজকে যদি পৃথিবীর ঐক্যের কথা বলি, তবে ভাষিক ঐক্যের পাশাপাশি পৃথিবীর ঐক্য দরকার। এই ঐক্যকে যদি আমরা ধারণ করতে পারি, তবে গাজার সাথে ইজরায়েলের কোনও দূরত্ব থাকবে না। ইউক্রেনের সাথে থাকবে না রাশিয়ার কোনও দূরত্ব। মানুষ যদি সদাচারী হয়, অস্ত্র নয়, শুধুমাত্র ভাষা দিয়ে যুদ্ধ করে, যুক্তির যুদ্ধ; তবে পৃথিবীব্যাপী শান্তি বিরাজ করবে।

কবির অন্তর থেকে উঠে আসা সৃষ্টিশীলতার যে প্রবাহ কবি দেখেছিলেন বাংলাদেশে, সেটি শুধু শহীদ কাদরীই নন, কোনও না কোনও কবিই প্রথম শুরু করেছিলেন। আর এখানেও চর্চার মধ্যদিয়ে সেটি করে যাচ্ছেন মোশাররফ হোসেনসহ আপনারা সবাই; এমনকি সাহিত্য একাডেমির মতো করে অনেকেই।

তিনি বলেন, আজকে যে কবিতাগুলো পড়া হয়েছে, তার অধিকাংশই আমার শুনতে ভালো লেগেছে। কিন্তু এই কবিতায় ব্যাকরণিক যে প্রক্রিয়া আছে তার অভাব রয়েছে। তবে বোধ থেকে উৎসারিত কবিতা অক্ষরবৃত্ত মাত্রাবৃত্ত কিংবা স্বরবৃত্ত ছন্দে না পড়লেও তা কবিতা হতে পারে। তাকে বলি বোধের ছন্দ। তবে প্রকৃত কবি হতে হলে, কবিতাকে কবিতা করে তুলতে চাইলে, ব্যাকরণ শিখতেই হবে। তিনি তার লেখা কবিতার অংশ বিশেষ পড়ার মধ্যদিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

সংগীতজ্ঞ মুত্তালিব বিশ্বাস বলেন, “যতদূর বাংলা ভাষা ততদূর এই বাংলাদেশ” কবির এই কথাটি যদি সত্যি হয়, গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে বোধহয় আমিও একজন ভালো বাঙালি। আমার জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। এরপর বাংলাদেশে ছিলাম। পরবর্তীতে এখানে এসে আমেরিকার নাগরিকতা নিয়েছি। তিনটি দেশ ঘুরেও আমি বাঙালিই আছি! সাহিত্য একাডেমির সূচনালগ্ন থেকেই এর সাথে ছিলাম।

ভালো লাগতো বলে অধিবেশনগুলোতে নিয়মিত আসতাম। বসে বসে স্বরচিত পাঠ শুনতাম। ভাবতাম প্রত্যেকেই আমার প্রিয়জন, এরা লিখছে, এরা এত জ্ঞান রাখে! ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশে থাকার দরুণ আসা হয়ে ওঠেনি। তিনি বলেন, রামনিধি গুপ্তের টপ্পা গানে আছে “দেখিলে ওমুখ-ও শশী আনন্দে সাগরে ভাসি, তাই তোমারে দেখতে আসি, দেখা দিতে আসিনে”। আজ আমিও আপনাদের দেখতে এসেছি, দেখা দিতে আসিনি।

বর্ষীয়ান সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, অত্যন্ত আনন্দবোধ করছি, কারণ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা আমাদের মাঝে আছেন। “যতদূর বাংলা ভাষা ততদূর এই বাংলাদেশ” চমৎকার এই কবিতার মতোই আমরা বিশ্বব্যাপী একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এটি অবশ্য আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ। ১০০বছর আগে ‘ফ্লু’ হয়েছিল, বিশ্বব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।

এরও আগে ‘ব্ল্যাক ডেথ’ হয়েছিল ইউরোপে। এবারে আমরা প্রত্যক্ষ করলাম এক অবর্ণনীয় অভিজ্ঞতা কোভিড নাইনটিন। এই করোনা অতিমারির সময় নিউইয়র্কসহ পৃথিবীজুড়েই করোনার ওপর অনেক ভালো ভালো গল্প কবিতা উপন্যাস লেখা হয়েছে। সাহিত্য একাডেমির উদ্যোগে সেসব লেখা থেকে বাছাইকৃত একটি সংকলন প্রকাশ করা হলে খুবই ভালো কাজ হবে বলে আমি মনেকরি।

একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও সাংবাদিক নাজমুন নেসা পিয়ারী বলেন, কবিতার প্রতি আমার দুর্বলতা ছোটোবেলা থেকেই। বাংলাদেশে গেলে বিভিন্ন কবিতার আসরগুলোতে যেয়ে থাকি। কিন্তু সাহিত্য একাডেমির মতো এত মানুষের উপস্থিতি কখনও দেখিনি। আজ এখানে এসে সবার আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ!

লেখক ও গবেষক আমিনুল ইসলাম (কাশবন প্রকাশনের সত্ত্বাধিকারী) বলেন, এক-কথায় আমি মুগ্ধ! সাত সাগরের পাড়ে এই দূরদেশে এত সাধনা, এত নিষ্ঠা, এখানে এত সবাই লিখছে, এটা আমার ভাবনারও অতীত ছিল। বসে বসে খুঁজছিলাম, কোথা থেকে এত প্রেরণা, কোথায় এর উৎস? উত্তর পেয়েও গেলাম—

“যতদূর বাংলা ভাষা ততদূর এই বাংলাদেশ” যদি তাই হয়- তবে বাংলাদেশটা কী? বাংলাদেশের মায়েরা এখনও সন্তানদের ঘুম পাড়ান ছড়া কেটে কেটে। এটা সম্ভবত সেখান থেকেই ধারণ করা, আর এখানে উদগীরণ হচ্ছে। সাহিত্য একাডেমির সাথে নিবেদিত সবার প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।

সাহিত্যচর্চায় বিপদ অনেক। আমরা অনেকেই জানি, পাকিস্তান আমলে রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ হয়েছিল। তখন টেলিভিশন ছিল না, রেডিও এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় রবীন্দ্রসংগীত বন্ধ করা হলো। তৎকালীন একজন গভর্নর তখনকার একজন বড়ো কবিকে ডেকে বললেন, আপনারা কি রবীন্দ্রসংগীত লিখতে পারেন না? এরপর আরও একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাবিভাগের পাঠ্যসূচি রচনা করতে গিয়ে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লালসহ বিপদে পড়েছিলেন, মনির চৌধুরী, আবদুল হাই এরা।

বাংলাসাহিত্য পড়লে তো বৈষ্ণব পদাবলী, মঙ্গলকাব্য, চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন এগুলো পড়তেই হয়। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন এবং বৈষ্ণব পদাবলী যখন পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করে অনুমোদনের জন্য পশ্চিমে পাঠানো হলো, তখন তারা সেটি খারিজ করে দিলো। বললো এসব কীর্তন টির্তন হবে না। মহাবিপদ! এগুলো ছাড়া তো সাহিত্য হয় না। অনেক ভেবে বৈষ্ণব পদাবলীকে মধ্যযুগের গীতিকবিতা হিসেবে প্রস্তাবটি পাঠানো হলো এবং পশ্চিমারা অনুমোদন দিলো।

সাহিত্যিক হওয়ারও বিপদ অনেক। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বুকের রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছে মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, জহির রায়হান, শহীদুল্লাহ কায়সারসহ আরও অনেককেই। এখানে যারা আজ কবিতা পড়লেন, প্রায় সবার কবিতাতেই দেশ, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম দেখতে পেলাম। সব সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে সাহিত্য একাডেমির এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক মজিবর রহমান খোকা (বিদ্যা প্রকাশকের সত্বাধিকারী) বলেন, আমি লস এঞ্জেলসে থাকি। ২০১১ সালে সাহিত্য একাডেমির একটি আসরে উপস্থিত ছিলাম। এরপর আর আসার সুযোগ হয়নি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম থেকেই এই আসর সম্পর্কে প্রতিনিয়ত জেনে আসছি। আজ প্রথম থেকেই আমি এখানে উপস্থিত ছিলাম।

সবার নিবেদিত সহযোগ আর কাজের সুশৃঙ্খল ধারাবাহিকতায় মুহূর্তের মধ্যেই সব সাজানো হয়ে গেল দেখে, সত্যিই আমি বিস্মিত! আরও বিস্মিত এইজন্য যে, চৌদ্দবছর যাবত একটি সাহিত্য সংগঠন কোনও আসর বাদ না দিয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে- এটি সহজ বিষয় নয়। বসে বসে সবার পাঠ শুনছিলাম, ভালো লাগছিল। যিনি লেখেন, তার জন্য এই যে ভালোলাগা তৈরি করতে পারা এরচেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে!

কবি তমিজ উদ্দিন লোদী বলেন, যারা আমার সামনে বসে আছেন তারা আমার নমস্য। কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, এটি বাচ্য। মূলত তিনি আমাদের প্রধানতম কবিদের একজন। তার সাথে পরোক্ষভাবে আমার দেখা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। তখন তিনি বাংলা একাডেমির উপ-মহাপরিচালক ছিলেন। সেসময় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে তিনি একটি সংকলন প্রকাশ করেছিলেন, কবিতা-১৩৯১। সংকলনটিতে প্রধান প্রধান কবিদের সাথে আমারও একটি কবিতা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তার সাথে দেখা না হলেও এটি আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় ছিল।

নীরা কাদরী বলেন, আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, আজকে আমরা আমাদের মাঝে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে পেয়েছি। অনেক ঝড়-ঝাপটার মধ্যদিয়ে আমরা এগুচ্ছি। কবি শহীদ কাদরী ছিলেন সাহিত্য একাডেমির একমাত্র উপদেষ্টা। অসুস্থতার কারণে তিনি আসরে আসতে না পারলেও বলতেন, সাহিত্য একাডেমির আসর কখনও বন্ধ হবে না। নিয়মিত চর্চার মধ্যদিয়ে একদিন না একদিন এখান থেকেই বড়ো বড়ো লেখক কবি বেরিয়ে আসবে।

কবি নাহিদা আশরাফী (জলধি প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী) বলেন, সাহিত্য একাডেমিতে আপনাদের সংস্পর্শে এসে মনে হচ্ছে না যে দেশের বাইরে আছি। সব পরিচিত মুখ, আপন মুখ এবং মুখগুলো বাংলায় কথা বলে! এরচেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। তিনি স্বরচিত কবিতা পড়ে শোনান।

এছাড়াও আসরে আবৃত্তিশিল্পী তাহরিনা পারভীন প্রীতি আবৃত্তি করেন, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ‘মুজিবের মুখ’ আবীর আলমগীর আবৃত্তি করেন, বেনজির শিকদারের ‘ইচ্ছে আমার ইচ্ছে করে’ শারমীন রেজা ইভা আবৃত্তি করেন, নির্মলেন্দু গুণের ‘ক্ষেত মজুরের কাব্য’ এবং এম এ সাদেক আবৃত্তি করেন- কাজী নজরুল ইসলামের ‘মানুষ‘ কবিতার অংশ বিশেষ।

স্বরচিত পাঠে অংশগ্রহণ করেন- কাজী আতীক, শামস আল মমীন, পলি শাহীনা, কাউসারী মালিক রোজী, এবিএম সালেহ উদ্দিন, লুৎফা শাহানা, স্বপন বিশ্বাস, রিমি রুম্মান, ড. ধনঞ্জয় সাহা, মনিজা রহমান, তাহমিনা খান, মাসুম আহমেদ, জেবুন্নেছা জোৎস্না, এলি বড়ুয়া, সুমন শামসউদ্দীন, আহমেদ ছহুল, মিনহাজ আহমেদ, সুরিত বড়ুয়া, শহীদ উদ্দীন, মোহাম্মদ আজিজ, তামান্না আহমেদ শান্তি, সবিতা দাস, মোজাম্মেল হক, মাসুমা রহমান, বেনজির শিকদার প্রমুখ।

আসরে উপস্থিত ছিলেন- জীবন বিশ্বাস, মনজুর আহমেদ, প্রহ্লাদ রায়, আবেদীন কাদের, আহমাদ মাযহার, মেহফুজ আহমেদ, ওবায়দুল্লাহ মামুন, জাকারিয়া মাসুদ, আখতার আহমেদ রাশা, শিরীন বকুল, মনিকা রায়, নাসির শিকদার, ম্যারিস্টিলা শ্যামলী আহমেদ, লিপি রায়হান, তাহমিনা শহীদ, ভায়লা সালিনা, সুলতানা খানম, শেলী জামান খান, স্বপ্ন কুমার, সাহা পলাশ, ইমাম চৌধুরী, মুনমুন সাহা, তুহিন সেলিনা আক্তার, সেলিম আফসারী, এইচএম আজাদ, মিয়া এম আছকির, আব্দুল কাইয়ূম, সুমা রোজারিও, ফিরোজ শরীফ, রওশন হক, শাহ আলম, জাহিদ শরীফ প্রমুখ।

যথারীতি এবারের আসরেও পাঠের জন্য বই বিতরণ করা হয়। একমাসের জন্য ধার নেওয়া বইগুলো হলো- বুদ্ধদেব বসুর ‘কালের পুতুল’ বদরুদ্দীন উমরের ‘বাংলাদেশে ইতিহাস চর্চা’ এবং আবু সায়ীদ আইয়ুবের ‘আধুনিকতা ও রবীন্দ্রনাথ’।

আসর শেষে অন্বয় প্রকাশের সত্ত্বাধিকারী, লেখক হুমায়ূন কবির ঢালী- ‘অন্বয় প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩’ বিজয়ী অভিনেত্রী ও লেখক রেখা আহমেদকে ক্রেস্ট দিয়ে পুরস্কৃত করেন। রেখা আহমেদের হাতে ক্রেস্টটি তুলে দেন, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

সবাইকে আগামী আসরে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে, অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Advertisement
উৎসBenojir Sikder
পূর্ববর্তী নিবন্ধএকুশের ডায়েরি -বিপ্লব কুমার পাল -পর্ব ০৪
পরবর্তী নিবন্ধএকুশের ডায়েরি -বিপ্লব কুমার পাল -পর্ব ০৫

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে