প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা শিওর ক্যাশ এজেন্টদের চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে শতর্ক হোন- এক প্রাথমিক শিক্ষকের খোলা চিঠি
করোনার থাবায় যখন বিশ্ববাসী নাকাল তখন বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিল এক যুগান্তকারী উদ্যোগ।
এবারই প্রথম মাসিক ১০০/- হারে ৩ মাস, ১৫০/- হারে ৬ মাস ও কিড এলাউন্স বাবদ ১০০০/- সহ মোট ১৯০০ বা ২২০০ টাকা জমা হবে অভিভাবকের মোবাইলে। কিন্তু বিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি শিওর ক্যাশ এজেন্টরা ভাগ বসাবে এ শিশু শিক্ষার্থীদের সরকারি ভাতায়। বিগত দিনে দেখেছি ৩০০/- টাকা তুলতে গিয়ে অভিভাবকদের শিওরক্যাশ এজেন্টদের দিতে হয়েছে ১০% হারে ৩০ টাকা। অথচ এখানে তাদের কোন টাকা নেওয়ার কথাই নেই। সরকার তাদের প্রনোদনা হিসেবে ৪% আগেই দিয়ে দেয়। এবারও তাদের যদি সেই লোলুপ দৃষ্টি থাকে তাহলে অভিভাবক ২২০০ টাকায় ১০% দিলে ২২০ টাকা তারাই নিয়ে যাবে।
তাই সরকারের উচিত শিওরক্যাশ এজেন্টদের কঠোর নজরদারিতে রাখা এবং অভিযোগ হটলাইন চালু এবং অভিযোগের ভিত্তিতে এজেন্টশীপ বাতিল করা।
বিঃ দ্রঃ- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা রুপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশ থেকে ক্যাশ আউট করার সময় কোন অবিভাবক শিওর ক্যাশ এজেন্টের যেকোনো পরিমাণ সার্ভিস চার্জের নামে চাঁদাবাজি, হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার হলে তৎক্ষনাত রুপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশের হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
হট লাইন নং ০৯৬১৪০১৬৪৯৫। অথবা, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার
(সাংবাদিক) উপজেলা প্রতিনিধিদের ফোন করে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
আহবানে -মোঃ মাসুদুর রহমান, সহকারী শিক্ষক ৭৪ নং দড়িকাছিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়