প্রিয় অগ্রজ, প্রিয় বন্ধুর জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা- স্বকৃত নোমান

0
427

তুচ্ছতার ঊর্ধ্বে, সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে যাওয়া মানুষ খুঁজি, যাঁরা চাল-ডাল-আলু-পটলের জীবনের বাইরে অন্য এক জীবনের অন্বেষণ করেন, যে জীবন শিল্পের, সংগীতের, কবিতার, দর্শনের, গল্প-উপন্যাস আর নাটকের। যাঁদের বুকে গোটা একটি সমুদ্র ঢুকিয়ে দেওয়া যায়; মানুষের দুঃখে, অপমানে, কষ্টে যাঁদের হৃদয় কেঁপে ওঠে। সেই মানুষ কি পাইনি? পেয়েছি। তাঁদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। সেই তালিকায় রয়েছেন কবি সরকার আমিন। তিনি প্রথমত আমার শিল্পতীর্থের সহযাত্রী, দ্বিতীয়ত বন্ধু, তৃতীয়ত ঊর্ধ্বতন সহকর্মী। একটি পরিচয়ের চেয়ে অন্যটি ছোট নয়।

তাঁকে যদি বলি, ‘আমিন ভাই, ঢাকা শহরের কোলাহল আর ভালো লাগছে না, চলেন কোথাও ঘুরে আসি।’ সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বলবেন, ‘বেরিয়ে পড়ার জন্য তো আমার এক পা তোলা, চলো। কোথায় যেতে চাও বলো?’ আমরা বেরিয়ে পড়ি। তখন তিনি আর কবি সরকার আমিন থাকেন না, বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সরকার আমিন থাকেন না, হয়ে ওঠেন শিশুর মতো সরল এক মানুষ। যত দুষ্টুমি আছে, যত রসিকতা আছে, সব করি তাঁর সঙ্গে। মাঝেমধ্যে বিরক্ত হয়ে ওঠেন বৈকি। কিন্তু সেই বিরক্তিকে হেসে উড়িয়ে দেন। হাসিতে নিমজ্জিত হয়ে বিলীন হয়ে যায় বিরক্তি। জীবনের কোনো সমস্যায় তাঁকে যদি বলি, ‘আমিন ভাই, একটু সমস্যা হয়েছে।’ তিনি তখন বিচলিত হয়ে ওঠেন। যেন সমস্যাটি তাঁরও, সমাধান না করা পর্যন্ত স্বস্তি পান না।

আজ প্রিয় অগ্রজ, প্রিয় বন্ধু এবং কবিতা আর গানলামিতে মেতে থাকা সহজ মানুষ সরকার আমিনের জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। কবিতা আর সুরই তাঁকে নিরোগ রাখবে, নিদুঃখ রাখবে, বেঁচে থাকার শক্তি জোগাবে। তাঁর জন্য অনিঃশেষ কল্যাণ কামনা।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ স্কাউটস নাটোর জেলার ত্রৈ- বার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত
পরবর্তী নিবন্ধবড়াইগ্রামে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় যুবকের বিষপানে আত্মহত্যা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে