প্রতিবন্ধীর বাড়িতে মানবিক ইউএনও

0
286
Tomal Hosain

নাটোর কন্ঠ : শারীরিক প্রতিবন্ধী রাবেয়া। বাবা রাজিদুল ইসলাম পেশায় একজন কৃষক। এই কৃষকের ঘরে ১৩ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাবেয়া। জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। অভাব অনটনের সংসারে মেয়েকে নিয়ে যেন হাপিয়ে উঠছেলেন কৃষক বাবা।

রাবেয়ার যখন ৭ বছর তখন থেকেই একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর পর্যন্ত ঘুরেছেন প্রায় ৫ বছর। অনেক মেম্বর-চেয়ারম্যান এসেছেন কিন্তু রাবেয়ার কার্ড হয়নি।

হতাশায় আর লজ্জায় কাউকে বলেননি আর। ভাতা কার্ডের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন রাবেয়ার পরিবার। পরে বুধবার ১ জুন বিকেলে একজন গণমাধ্যমকর্মী রাবেয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেনের কাছে জানান।

তৎখনাত রাবেয়ার বাড়িতে শুকনা খাবার নিয়ে হাজির হন ইউএনও তমাল হোসেন। রাবেয়ার বাড়িতে তিনি নিজে গিয়ে রাবেয়ার সাথে কথা বলেছেন এবং তার ভাতা কার্ড নিশ্চিত করার জন্য সঙ্গে সঙ্গেই উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করেছেন।

রাবেয়ার বাবা রাজিদুল ইসলাম জানান, ‘অনেক দপ্তরে ঘুরে ঘুরে ভাতা কার্ডের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। বুধবারে একজন গণমাধ্যমকর্মী আমার মেয়ের বিষয়ে জানতে পেরে ইউএনওকে জানান। তৎখনাত ইউএনও স্যার আমার বাড়িতে এসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।’

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন জানান, ‘রাবেয়ার বিষয়ে জানার পরপরই তার বাড়িতে গিয়ে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড নিশ্চিত করা হয়েছে।’

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধতাহার নামে চিঠি -কবি বনশ্রী বড়ুয়া‘এর কবিতা
পরবর্তী নিবন্ধএকদিন ঠিক আসেবো- দেবাশীষ সরকার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে