বড়াইগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ

0
544

নাটোরকন্ঠ বড়াইগ্রাম : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে।

পরিষদের কয়েকজন সদস্য এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এর প্রতিকার চেয়ে বুধবার ইউপি সদস্যরা সচিব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় , নাটোরের জেলা প্রশাসক ডিসি, বড়াইগ্রামের ইউএনও, ও উপজেলা চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগকারীরা হলেন,ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন, দুলাল হোসেন,মহররম হোসেন ,আজমল হোসেন,শাকিল আহম্মেদ,আবেদা বেগম,জামিরুন বেগম,সফুরা বেগম।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক এবং সচিব সন্জয় কুমার চাকীর যোগসাজশে গত ৫ বছর ধরে ইউপি সদস্যদের সম্মানীভাতা বাবদ ৩২ লাখ টাকা প্রদান না করে মাসিক মিটিং এর রেজুলেশন বইতে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন ।

সম্মানী ভাতা দেবো দিচ্ছি বলে ৫ বছর ঘুরানোর পর চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে মাসিক মিটিং এ ইউপি চেয়ারম্যন সাফ জানিয়ে দেন সম্মানীভাতা দিতে পারবেন না । এছাড়া গত ৫ বছরে টিআর,কাবিখা,জিআর বরাদ্দসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ইউপি সদস্যদের নামকেওয়াস্তে বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বানিয়ে তাদের না জানিয়ে ভূয়া স্বাক্ষর করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ।

এলজিএসপি প্রকল্পে অতি নিুমানের কাজ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন ।শুধু তাই নয়, রাজস্বখাতের হোল্ডিং ট্যাক্স,জন্ম ও মৃত্যু সনদ,ওয়ারিশন সনদ থেকে প্রাপ্ত অর্থসহ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বছরের পুকুর লিজ এবং দোকান ভাড়ার টাকা পরিষদের তহবিলে জমা না দিয়ে সচিব সন্জয় কুমার চাকির সহযোগীতায় ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ।

এছাড়া চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ভিজিডি সুবিধাভোগীদের বন্ধু চুলা দেওয়ার কথা বলে ৩০৯ জনের কাছ থেকে ৭০০ টাকা করে মোট দুই লাখ ১৬ হাজার ৩০০ শ টাকা আদায় করে । আজ পর্যন্ত কাউকেই চুলা বা টাকা ফেরত দেননি

ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করে অর্থ আত্মসাৎ ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের অর্থ আত্মসাৎ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বাবদ অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ ও হয়রানি করে আসছেন।ইউপি সদস্যরা তার এই সব দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গেলে, তিনি তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। হুমকি ধামকিও দেন।

ইউপির একাধিক সদস্য জানান,আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি।আমাদের সম্মানী তো দেয়না চেয়ারম্যানের দূর্ণিতি ,অনিয়ম,অর্থ আত্মসাৎ করছেন ।

তাঁর কারণে জনগণের প্রাপ্য আমরা জনগণকে দিতে না পারায় তারা আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এর একটা সুষ্ঠু প্রতিকার হওয়া উচিত।
ইউপি সদস্য সফুরা বেগম জানান, ইউপি সদস্য মহররমের কথায় সম্মানী ভাতার জন্য আবেদনে স্বাক্ষর করেছি ।

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাকি অভিযোগ জানা নেই ।
এ বিষয়ে জোনাইল ইউপির চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক বলেন,আমার ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য বিরোধী একটি চক্র এ দরখাস্ত করেছেন।

আদৌ এসব অভিযোগ সত্য নয়। আমি ইউনিয়নের একটি টাকাও আত্মসাৎ তো দূরের কথা ছুঁয়ে দেখিনি ।সামনে ইউপি ভোট তাই প্রতিপক্ষরা দুই একজন মেম্বার কে হাতে নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এ কাজ করছে । বন্ধু চুলা সবাইকে দেয়া হয়েছে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধবড়াইগ্রামে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধনলডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ভূমি কর্মকর্তার মৃত্যু

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে