বড়াইগ্রামে কিশোরীর শ্লীলতাহানি- সালিশে মীমাংসার চেষ্টা

0
239

বড়াইগ্রামে ১০ বছরের শিশুর শ্লীলতাহানি-গ্রাম্য সালিশে মীমাংসার চেষ্টা

বড়াইগ্রাম, নাটোর কণ্ঠ; নাটোরের বড়াইগ্রামে সষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ুয়া ১০ বছরের এক শিশুর শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের বাহিমালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজ আহম্মেদ (২৫) বাহিমালি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে,গত ১৬ এপ্রিল শিশুটির মা বাড়ি পাশে ঘাস কাটতে যান। এই সুযোগে সবুজ পান খাওয়ার নাম করে ঘরে ডুকে শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে।শিশুটি কান্না করলে সবুজ তাকে ১শ টাকা হাতে দিয়ে বিষয়টি কাউকে না বলার কথা বলে। শিশুটি চিৎকার দিলে অভিযুক্ত লম্পট পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি তার মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে।
বিষয়টি জানাজানি হলে গত বুধবারে স্থানীয় মাতাব্বর ও ইউপি সদস্যকে ভুক্তভোগীর মা বিষয়টি জানালে তারা মীমাংসার আশ্বাস দেয়।

শনিবারে ঘটনাটি মিমাংসার নামে অভিযুক্ত সবুজ ও ভুক্তভোগী উভয়ের পরিবারকেই নিয়ে সালিশ বসায় স্থানীয় ইউপি মেম্বর ও সামাজিক নেতারা।

পরে সালিশি বৈঠকে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী বখাটে সবুজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।সবুজের বিরুদ্ধে এমন আরো একাধিক ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। এদিকে গ্রাম্য মাতবর ও ইউপি মেম্বরের সালিশ বসিয়ে এমন ঘটনার মীমাংসার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

পুলিশ বলছে, ইউপি মেম্বর বা গ্রাম্য মাতবরদের এ ধরনের সালিশ করার এখতিয়ার নেই। তারা বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি মেয়ের মা-বাবার সঙ্গে বারবার মোবাইলে ফোনে কথা বলছি ওনারা থানায় অভিযোগ করতে আসেন নাই, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধসিংড়ার বাহাদুরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
পরবর্তী নিবন্ধআশাহত মানুষ -কবি প্রদীপ সরকার‘এর কবিতা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে