ভাঙ্গন দেখতে শোলাকুড়ায় উৎসুক মানুষের ভীড়, মালামাল স্থানান্তর বাধাগ্রস্ত

0
324

ভাঙ্গন দেখতে শোলাকুড়ায় উৎসুক মানুষের ভীড়, মালামাল স্থানান্তর বাধাগ্রস্ত

নাইমুর রহমান, সিংড়া থেকে;  নাটোরের সিংড়া পৌরসভার শোলাকুড়া মহল্লা যখন একটু একটু করে আত্রাই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে তখন আশেপাশের মানুষদের দম ফেলার সুযোগ নেই। যে যেভাবে পারছে, সরিয়ে নিচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। সকলের চোখেমুখেই আতঙ্ক। ভাঙ্গন যেখানে এক রাতের ব্যবধানে গ্রাস করেছে ১৫টি ঘরবাড়ি, সেখানে দলে দলে আসছে মানুষ। তবে আশ্রয়হীনদের সাহায্য করতে নয়, ভাঙ্গন দেখতে।

আজ শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে ৫টি বাড়ি ভেঙ্গে নদীগর্ভে। তখন থেকেই শোলাকুড়া মহল্লায় অবস্থান নিয়েছেন পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার স্বেচ্ছাসেবকরা। তারা ভাঙ্গনের অপেক্ষায় থাকা ঘর-বাড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। পাশেই প্রস্তত করা হচ্ছে জিও ব্যাগ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শোলাকুড়ায় বাড়তে থাকে মানুষের ভীড়। মেয়র ও তার স্বেচ্ছাসেবকরা তখন ভাঙ্গন কবলিত মানুষদের ছেড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন বাইরের দর্শনার্থী সামাল দিতে।

এদিকে, সরু রাস্তাটি লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়লে মালপত্রবাহী ভ্যান, বালুবাহী ট্রাক আটকা পড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে শোলাকুড়া সড়কে ভাঙ্গন পয়েন্ট পর্যন্ত উৎসুক মানুষের চলাচল বন্ধে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ।

জিও ব্যাগ প্রস্ততের কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বালু ভরে জিও ব্যাগ বানিয়ে এলাকাটা রক্ষার চেষ্টা করছি। অথচ উৎসুক মানুষ এই এলাকায় ভীড় করে ভাঙ্গন ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

সফর আলী ও বাবলু মিয়া নামের দুই ভাঙ্গন কবলিত বাড়ির মালিক বলেন, ‘এখন একটা মিনিট সময়ের অনেক দাম আমাদের কাছে। ঘন্টায় ঘন্টায় পাড় ভাঙছে। এই অবস্থায় বাইরের মানুষদের সহযোগিতা তো আমরা পাচ্ছিই না উল্টো তারা আমাদের কাজের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।’

সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘উৎসুক মানুষদের আমরা ঠেকাতে পারছি না কিছুতেই। তারা বাস্তবতা বুঝতে চাচ্ছেন না। আমি তাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ করবো তারা যেন এখানে ভীড় না করেন।’

এদিকে, বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য সিংড়া পৌর মিলনায়তনে ত্রাণ সামগ্রী প্রস্ততের কাজ চলছে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধসিংড়ায় বন্যাদুর্গতদের পাশে আওয়ামীলীগ নেতা আদনান মাহমুদ
পরবর্তী নিবন্ধবাগাতিপাড়ায় এক কালভার্টের তলদেশ উঁচু হওয়ায় হাজার বিঘা জমি প্লাবিত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে