শৈশব…..! দেবাশীষ সরকার
ইট- সুরকির রাস্তায় আম কোড়ালি পড়ে থাকতে দেখে কৈশরের আম কড়ালি খাবার কথা কেন জানি খুব মনে পরছে আজ। ভোর হলেই দাদু যখর গরু গুলোকে গোয়াল থেকে বাহির করার জন্য যেতো, তখন চুপি চুপি ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়তাম। এ বাগান ও বাগান থেকে আম কড়ালি কুড়িয়ে বন্ধুদের সাথে ফিরতাম সকালে। অবশ্য মায়ের লাঠি আর ঠাকুমার আদর সমান তালে চলার কারনে খুব বেশি সময় থাকতো না সকালে। কোন রকম ভাত নাকে মুখে গুঁজে বই বগল দাবা করে স্কুলে ভোঁ দৌড়। যে দিন স্কুল থাকতো না সেদিন দল বেঁধে বন্ধুরা সবাই মিলে লবন মরিচ পিসে ঝাল তৈরী করে চলে যেতাম এলাকা ছেড়ে দূরের কোন বাগানে, যেখানের বাগানে নাকি ডাঁসা ডাঁসা আম খু্ব নিচু নিচু ডালে ঝুলে আছে। কিন্তু শোনা কথার সাথে প্রায়ই মিল খুঁজে পেতাম না আমরা। তবু চৈত্র সঙক্রান্তি কিঙবা রাম নবমীর মেলা থেকে কেনা চাকুটা থাকতো সবার হাতে হাতে।.সমরের হাতের নিশানা বা এম ছিলো দারুন, এক ঢিলে ঝোপা ধরে আম পড়তো। সেই আম কুড়িয়ে নিয়েই দে দৌড়। পেছনে হয়তো তখন তেড়ে আসছে গাছের মালিক, সে দিকে তাকানোর সময় কই? .. বন্ধুদের মধ্যে সব চেয়ে চমক দিতে পছন্দ করতো লিটন, কোথায় থেকে যেন বড় বড় আম ঠিক যোগার করে ফেলতো। অবশ্য ওর বাবাই বাজার থেকে কিনে আনতো। আর সেগুলো মজা করে খেতাম আমরা। আর পাকা আম আমরা প্রথম খেতে পেতাম হরি পুজার দিন। পুজোয় প্রসাদে দেওয়া হতো পাকা আম। অবশ্য তার আগে যদি কখনো বন্ধুরা খাই তো সে লিটনের বাড়িতেই।….. কোথায় হারিয়ে গেলো সেই দিনগুলো…..!!!!!!
Advertisement