হাফেজ হুজুর -সুপ্তি জামান

0
395
সুপ্তি জামান

গল্প : হাফেজ হুজুর

গল্পকার : সুপ্তি জামান

হাফেজ হুজুর আপনি খুব বিরক্ত করছেন কয়েক দিন ধরে। মানসপটে ভেসে উঠছেন যখন তখন। আজ এত বছর পর আপনার তো আমার মানসপটে শুশকের মতো ভুস করে উদিত হয়েই টুপ করে ডুবে যাওয়ার কথা নয়। কেন বার বার আমার আপনার কথা মনে পড়ে? এ প্রশ্ন আপনাকে করার কোন সুযোগ নেই। মর্তে আপনার বেঁচে থাকার আর কোন সম্ভাবনা নেই। আপনাকে আমি দেখেছি ১৯৯১ বা ১৯৯২ সালের দিকে, তাই কি? কেমন গোলমেলে মনে হচ্ছে, নাকি আরো আগে? তবে ১৯৯৪ সালের আগে অবশ্যই।
এক কি দুবছর সময়কাল আমাদের প্রায়শই দেখা হতো। ১৯৯৪ সালে আমি সফিপুর ছেড়ে এসেছি। আপনাকে আমি সফিপুরে আমাদের বাড়িতে দেখেছি। তখন আপনি বলতে গেলে অশীতিপর এক বৃদ্ধ অথচ কি টনটনে! একহারা গড়ন, রোদে পুড়ে পুড়ে গায়ের রং তখন দেবদারু গাছের মতো নিপাট কালো, হাতে একটা লাঠি, একটা পুটুলি, কোটরে বসে যাওয়া চোখ দুটো থেকে প্রখরতা ঠিকরে পড়তো। দাঁত ছিল না, তাতে কি! খেতে খুব ভালোবাসতেন। নাহঃ একজন মৃত মানুষের সাথে আর কতক্ষণ একা একা বকবক করা যায়!
এতদিন যার কোন খবর নেই, কম করে হলেও প্রায় ত্রিশ বছর হতে চলল আমি হাফেজ হুজুরের কোন খবর জানি না। ত্রিশ বছর আগেই তার বয়স আমার অনুমানে আশি ছুঁয়েছিল, তাই তিনি বেঁচে নেই এটাই ধরে নিয়েছি আমি মনে মনে। অবশ্য তিনি বেঁচে আছেন কি না সেটা জানার কোন আগ্রহ আমার জাগেনি। এখন আবছা মনে পড়ে আমার মা হতে পারে অনেক দিন আগে আমায় বলে থাকতে পারেন হাফেজ হুজুর মারা গেছে। আমার মনে হয়তো তখন তার মৃত্যু নিয়ে বেদনা বোধ করিনি, হয়তো অগোচরে একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস বাতাসে মিশে গিয়েছিল।
আজ এত বছর পর সেই একহারা গড়নের বৃদ্ধকে বেলা অবেলায় মনে পড়ে।
হাফেজ হুজুরতো কারো নাম হতে পারে না অথচ তার আর কোন নাম যে থাকতে পারে – তাই কখনো মনে হয়নি! যেন তিনি হাফেজ হুজুর নাম নিয়েই পৃথিবীতে এসেছিলেন বলেই আমি ধরে নিয়েছিলাম। ছোট মানুষ কত নির্ভেজাল হয়! ছোট মানুষের কাছে একজন মানুষ মানুষই, তার নাম, গোত্র, পরিচয়, বর্ণ, ধর্ম, দেশ এসব নিয়ে ছোট মানুষের কোন মাথাব্যাথা থাকে না। আমারও ছিল না, আমি তো তখন ছোট মানুষ ছিলাম।
হাফেজ হুজুর হঠাৎ হঠাৎ উদয় হতেন আমাদের বাড়িতে। আমার মা তাকে বারান্দার এক কোণে থাকতে দিতেন। তিনি তখন বেশ কয়েক দিন আমাদের বাড়িতে থাকতেন। মা তাকে খেতেও দিতেন। তিনি আমাদের কোন সুদূর সম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন না। তিনি ছিলেন মূলত একজন ভবঘুরে মানুষ, ভিক্ষুকও বলা যায়, কিন্তু হাফেজ হুজুরকে ঠিক ভিক্ষুক বলতে আমার মন চাইছে না। তিনি ছিলেন ত্রিশ পারা কোরানের হাফেজ। তিনি নির্ভুল কোরানের সূরা আওড়ে যেতেন আপন মনে, নামাজের ব্যাপারে ছিলেন সদা তৎপর, তাই সাধারণ মানুষ তাকে একজন ভিক্ষুক হওয়া সত্তে¡ও এক ধরণের সমীহ করতো। এমন একজন মানুষ খুব সহজেই কোন একটি মসজিদে ইমামতির কাজ করে সম্মানের সাথে জীবিকা নির্বাহ করতে পারতেন।
কিন্তু হাফেজ হুজুর তা করেননি। তিনি বেছে নিয়েছিলেন যাযাবরী জীবন। আমাদের বাড়ির মতো দূরে দূরে একাধিক বাড়িতে তার অস্থায়ী আস্তানা ছিল। তিনি দিন কয়েকের জন্য যখন আমাদের বাড়িতে আস্তানা গাড়তেন; আমার এখনও মনে পড়ে আমি বেশ উৎফুল্ল বোধ করতাম। বয়োবৃদ্ধ মানুষের কাছে শিশুরা কেমন যেন একটা প্রশ্রয় পেয়ে থাকে, আমিও হাফেজ হুজুরের খোঁজ খবর নিতাম। আমাদের পারষ্পরিক একটা সম্পর্কও ছিল, অনেকটা পথের পাঁচালির দূর্গার সাথে পিসির যেমন ছিল। হাফেজ হুজুরকে আমি কখনো কারো কাছে কিছু চাইতে দেখিনি, তিনি আমাদের বাড়িতে যখন আসতেন তখন সময় সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতের দিকে, তিনি বিভিন্ন হাটে বাজারে ঘুরে বেড়াতেন।
শুনেছি তিনি হাটে হাটে মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাততেন। কোন কোন দিন তিনি সন্ধ্যে বেলা ছোট একটা ইলিশ মাছ হাতে করে নিয়ে আসতেন, মায়ের তখন রান্নার পাট শেষ। বুড়োর ইলিশ মাছ খুব পছন্দ ছিল বোধ হয়। তাকে কোন দিন অন্য কোন মাছ নিয়ে আসতে দেখিনি। চেয়ে-চিন্তে যা পেতেন তা দিয়ে ঝাটকা থেকে বড় ইলিশ কিনতে পারতেন না, তার আনা ইলিশ মাছটি কেটে বেছে ভেজে দেয়ার দায়িত্বটি আগ্রহ নিয়েই করতাম, ভাজা মাছ খেতে খেতে বলতেন, সুতলি, মাছের ডিম হয় নাই? আমি বলতাম এত ছোট মাছের ডিম কেমনে হবে? তিনি হতাশ হতেন। আমি তার মাছ ভাজা খাওয়া দেখতাম পাশে বসে বসে। হাফেজ হুজুর খেতে খেতে অনেক গল্প করতেন আমার সাথে।
তিনি আমকে ডাকতেন সুতলি বলে, আমি তাকে বলতাম হুজুর আমার নাম সুপ্তি, তিনি কিছুতেই সুপ্তি উচ্চরণ করতে পারতেন না, তিনি বলতেন সুতলি, নিজের নামের এমন করুন বিকৃতি নিজের কানে শুনেও আমি তার উপর চটতাম না, বিরক্ত হতাম না, বার বার চেষ্টা করতাম তাকে আমার নামের সঠিক উচ্চরণটি করানোর জন্য। এক সময় আমি তাকে আর শোধরাতে চাইনি, তিনি সুতলি ডাকলেই আমি সাড়া দিতাম। হাফেজ হুজুর কোন কোন দিন তার পোটলা থেকে আমায় কিছু খেতে দিতে চাইতেন, মুড়ি, গুড়, কলা এসব থাকতো তার পোটলায়।
মানুষের কাছে চেয়ে আনতেন বলে তার দেয়া কোন খাবার আমি খেতে চাইতাম না। তার অনেক পিড়াপিড়িতে এক আধটু কখনো কখনো নিতাম হয়তো। আমি তখন তের-চৌদ্দ বছরের এক কিশোরী। আজ আর সবটা মনে নেই। তবে এটা এখনও মনে আছে হাফেজ হুজুর তার ছোট ছোট প্রয়োজনগুলোর জন্য সুতলীর সাহায্য চাইতো, আর আমিও সাধ্যমতো তার দিকে নজর রাখতাম। আমার মা ছিলেন খুব রাগী মানুষ, অথচ কত রকমের অসহায় মানুষ আমাদের বাড়িতে আশ্রয় পেত। আজ ভেবে অবাক হই। আমার মায়ের অভাবের সংসারে হাফেজ হুজুরের মতো অনেক অসহায় মানুষের অন্ন জুটতো অবলীলায়্।
হাড়ভাঙ্গা খাটুনি বলতে যা বোঝায় আমার মা তাই করছেন জনমভর, এখন মায়ের বয়স সত্তরের কাছাকাছি, পরিশ্রম করাটা এখনও তার জীবনযাপনের দৈনন্দিন অভ্যাস। পাঠক হাফেজ হুজুরের একটা অবয়ব এতক্ষণে দাড় করাতে পেরেছি বলে মনে হচ্ছে।হাফেজ হুজুর মুখ কিন্তু খুব খারাপ ছিল, তিনি খুব গালি গালাজ করতেন এবং গালি হিসেবে নারীবাচক শব্দেই তিনি উচ্ছ¡সিত হতেন । তিনি আমাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে যেমন আস্তানা গাড়তেন তেমনি শরীয়তপুর জেলার নাগেরপাড়ায় এক বাড়িতে মাঝে মাঝে আস্তনা গাড়তেন, এমনকি আজ যতটুকু মনে পড়ে তাতে মনে হচ্ছে তিনি শরীয়তপুরের বাসিন্দা ছিলেন।
শরীয়তপুর জেলার নাগেরপাড়া আর বরিশাল জেলার মুলাদী থানার সফিপুর ইউনিয়ন পাশাপাশি, হাফেজ হুজুর নাগেরপাড়া হয়েই আমাদের বাড়ি আসতেন। তার মুখে আমি নাগেরপাড়ার নাম শুনতাম। পায়ে হেঁটে তিনি গোসাইরহাট, নাগেরপাড়া, খাসেরহাট, আমানতগঞ্জ, নোমরহাট, সফিপুর ঘুরে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি সম্ভাবত হাটে হাটে ভিক্ষা করতেন। এমন একজন ভবঘুরে মানুষকেও আমার মা নির্দ্বিধায় ঘরের বারান্দায় থাকতে দিতেন। অবলীলায় আমরা তার সাথে কথা বলতাম, আমার সাথেতো তার এক রকম মিতালী ছিল।
হাফেজ হুজুর মানুষকে খুব গালাগাল দিতেন। সেজন্য হাফেজ হুজুরকে আজো আমি দোষ দিতে পারি না। সেই ছোট্ট আমি তখনও তাকে দোষ দেইনি। দোষ ছিল সুস্থ স্বাভাবিক লেবাসধারী কিছু অসুস্থ মানুষের, যারা হাফেজ হুজুরকে উত্যক্ত করতো। তাকে উত্যক্ত করে তার মুখ থেকে গালির তুবড়ী ছুটিয়ে মজা লুটতেন। বেচারা হাফেজ হুজুর জানতেন না তিনি তখন হয়ে যেতেন সার্কাসের বামন মাত্র।
হাফেজ হুজুর বিপত্নীক ছিলেন বহুদিন থেকে, তাইতো তার ছিল না আপন ঘর, ঠাঁই ছিল না, স্রোতে ভাসা কচুরিপানার মতো ভেসে চলেছেন এক ঠাঁই থেকে অন্য ঠাঁইয়ে। নিজের নারী ছাড়া কে সহে জ্বালাতন শতেক, নিজের পরিবার(স্ত্রী)মুখ ঝামটা দিলেও থাকতে দেয়, ঠাঁই দেয় ঘরে। বৃদ্ধ পুরুষের স্ত্রী-বিয়োগে কেমন মাতৃহারা বালকের মতো লাগে।
হাফেজ- হুজুর সারাদিন হেঁটে বেরিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসতেন, পুকুর থেকে পরিপাটি করে ওজু করে এসে লম্বা লম্বা সূরাযোগে মাগরিবের নামাজ আদায় করে বসতেন বারান্দার এক কোণে পাটি বিছিয়ে। তিনি ভাত খেতেন মাটির বাসনে। তার বাসন, খোরা, পানি পানের বাঁকা-তেরা একটা টিনের গেলাস তিনি বহন করে বেড়াতেন সাথে করে। মাগরিবের নামাজ শেষ হওয়ার এক-আধ ঘন্টা পরেই আমরা রাতের খাবার খেতাম। হাফেজ হুজুর ভাত খেতেন বারান্দায় বসে, ভিতর ঘরে আমাদের খাবার টেবিলে তাকে ডাকা হতো না। আমিই তাকে খাবার টেনে নিয়ে দিতাম, খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার কাছেই থাকতাম।
তিনি বাসনভরা ভাত বড় বড় লোকমায় মুখে তুলতেন, আধাআধি খাওয়া হলে আরও একটু ভাত, শালুন, ডাল চাইতেন, আমি এনে দিতাম আরো ভাত, শালুন, ডাল। হাফেজ হুজুর যখন আমাদের বাড়িতে ক্ষণিকের অতিথি হয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে, তিন বেলা ভরপেট আহারের বন্দোবস্তো করতে মাকে আর দুশ্চিন্তায় পড়তে হতো না। মা ১৯৭৮ সালে সরকারের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে মাঠকর্মী হিসেবে যোগ দেয় মাসিক সম্ভাবত ২৩০ টাকা বেতনের চাকুরিতে। আশির দশকটা খুব টানাটানিতে কাটলেও নব্বইয়ের দশকের শুরুতে খাওয়া-পরার কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়ে আসে।
হাফেজ হুজুর অনেকটা সময় নিয়ে ভাত খেতেন, সারাদিন হয়তো তার খাওয়া জুটতো না, খেতে খেতে কথা বলতেন, কেরোসিনের প্রদীপই তখন আমাদেরকে অন্ধকারের বুক চিরে একটুখানি আলো দিত। ভাত খেয়ে নিজের বাসন, খোরা নিজেই ধুয়ে ফেলতেন হাফেজ হুজুর। রোদে পোড়া কালো মুখ, এক চিলতে মেদ নেই শরীরের কোথাও, দন্তহীন ফোঁকলা মুখ, কাঁধ থেকে হাঁটু অব্দি লম্বা জোব্বা পরিধান করতেন, মাথায় টুপি, বসন আদতে শাদা হলেও মলিন শাদা, তবে খুব নোংরা বলা যাবে না।
আজ ভাবতে আশ্বর্য লাগে তিনি আমার কাছে এক নারীর গল্প করতেন। আমি বয়সের তুলনায় কিছু বিষয়ে যেমন অধিক বুঝতাম, কিছু বিষয়ে একেবারে হাবাগোবা ধরনের ছিলাম। মানুষকে মানুষই ভেবেছি আজন্ম। তার যেমন বলেই শান্তি ছিল, আমার তেমনি শোনা পর্যন্তই, এ নিয়ে আলাদা করে কৌতুক বোধ করিনি। তার সেই রসাল গল্প, যা তখন আমাকে ভাবায়নি, এখন ভাবায়।
হাফেজ হুজুর শরীয়তপুরের এক চেয়ারম্যানের বাড়িতেও মাঝে মাঝে আস্তানা গাড়তেন, যেমন মাঝে মাঝে থাকতেন আমাদের বাড়িতে। তিনি বলতেন চেয়ারম্যানের বোন তার কাছে বিয়া বইতে চায়। তিনি একথা বলতে সুখানুভব করতেন। আজ আমি ভাবি তিনি কেন এমন আজগুবি কথা বলতেন আর হাসতেন, আমার মতো নাদানও তখন তার কথা বিশ্বাস করতাম না। তবুও তার কথা বলার ধরনে আকর্ষণ অনুভব করতাম।
এই নির্জলা মিথ্যাও এমন রসিয়ে রসিয়ে বলতেন যেন তা রুপকথা, চেয়ারম্যানের বোন হলো রুপকথার দেশের রাজকন্যা, আর হাফেজ হুজুর হলো রাজকন্যার প্রমিক পুরুষ, মেয়েটির নাম আজ কেন জানি কিছুতেই মনে করতে পারছি না। হাফেজ হুজুরের কোন কথার কোন গুরুত্ব কারো কাছে ছিল না, কেউ তাকে পথের ভিখারী মনে করতো, কেউ মনে করতো কিছুটা পাগল, কেউ মনে করতো মাথায় খানিকটা গন্ডগোল থাকলেও মানুষটা কোরানের হাফেজ, কিছুটা সম্মান তার প্রাপ্য, কিন্তু চেয়ারম্যানের বোন তার কাছে বিয়া বইতে চায় এ কথায় শিশু মনে হাসির উদ্রেক হলেও বড়রা এ কথায় কান দিতো না।
কিন্তু কেন বলতো হাফেজ হুজুর এমন উদ্ভট কথা! হতে পারে হুজুর অবচেতন মনে চেয়ারম্যানের অবিবাহিতা সুন্দরী বোনের প্রেমে পড়েছিলেন, হতে পারে সেই মেয়েটি হুজুরকে দু’চোক্ষে দেখতে পারতেন না, চেয়ারম্যানের বোনের চোখে হুজুর হয়তো অবজ্ঞা দেখেছিলেন, হাফেজ হুজুর মেয়েটির চরিত্র হণনমূলক কথা বলে মেয়েটির উপর তার জমে থাকা আক্রোশ মেটাতেন। এমনও হতে পারে হাফেজ হুজুরের অবস্থা ছিল সেই শৃগালটির মতো যে আঙ্গুর ফলের কাঁছে পৌঁছতে না পারার আক্রোশ মিটিয়েছিল আঙ্গুর ফল টক বলে। নারীদের প্রতি অতি সংবেদনশীলতাও এর একটি কারণ হতে পারে।
আমি আজো জানি না সেই চেয়ারম্যানের আদৌ কোন অবিবাহিত বোন ছিল কি না, নাকি সবটাই ছিল হাফেজ হুজুরের কল্পনা! সে কথা জানার আজ আর কোন আগ্রহ আমার নেই। তবে চেয়ারম্যান গত হয়েছেন অনেক বছর আগে, চেয়ারম্যানের গত হওয়ার খবরটি আমি পেয়েছিলাম, একজন চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর হলো খবর, একজন হাফেজ হুজুর সময়ের স্রোতে চলতে চলতে একদিন মুখ থুবরে মরে পড়ে থাকে, এটাতো খবর নয়, তাই আমার কাছে পৌঁছায়নি কবে হাফেজ হুজুর মারা গেছেন। ধরে নেই তাঁর এত দিন বেঁচে থাকার কোন সম্ভাবনা নেই, যেমন চেয়ারম্যানের বোন তার কাছে বিয়া বইতে চায় – এ কথার সত্যতার কোন সম্ভাবনা ছিল না।
Advertisement
উৎসএলিজা জামান সুপ্তি
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে সংবাদকর্মিদের সাথে মতবিনিময় সভা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরে সাজাপ্রাপ্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে