নাটোর কণ্ঠ : চলতি মৌসুমে ভালো ফলন হলেও ন্যায্য দাম পাননি নাটোরের রসুন চাষিরা। কৃষকরা বলছেন, রসুন বিক্রি করে খরচের টাকাই উঠছে না।
ব্যবসায়ীদের দাবি, আমাদানি করা রসুনের কারণেই দাম পাচ্ছে না দেশীয় এই ফসল। দেশের মোট রসুনের এক তৃতীয়াংশ উৎপাদন হয় নাটোরে।
এখানে উৎপাদিত রসুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। জেলায় এবার ২১ হাজার হেক্টর জমিতে রসুন আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো।
প্রতিমন ভালো মানের রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে। তবে, বেশিরভাগ রসুন বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচই উঠছে না।
কৃষকরা বলেন, এই রসুন আবাদে শ্রম অনেক সে অনুযায়ী মাদ নেই। এ দামে রসুন বিক্রি করলে উৎপাদন খরচই উঠে না। এক মন রসুন বিক্রি করে এক কেজি গরুর মাংশ হয় না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশী রসুন কিনে পুঁজি টেকানো যাচ্ছে না। অথচ চীন থেকে আমদানি করা রসুন চার হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ পরিস্থিতে রসুন আমদানি বন্ধের দাবি তাদের।
রসুন ব্যবসায়ীরা বলেন, বাহিরের রসুন যখনি আমদানি হচ্ছে তখনই মার খেয়ে যাচ্ছে দেশীয় রসুনগুলি। কৃষকদের অনেক লস হয়ে যাচ্ছে। এমন কোন রসুন ব্যাপারী নাই যে দশ টাকা লাভ করেছে এ বছর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক বলেন, ‘ভালো দাম পেতে মানসম্মত রসুন আবাদ করতে হবে। ইটালি ও বারি-১ রসুন এখানে চাষ হয়। আশা করছি, সামনে কৃষক লঅভবান হবে।’
নাটোরে এবার রসুন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ৫১ হাজার মেট্রিকটন।