নাটোর কন্ঠ : নাটোরের বড়াইগ্রামে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে সানজিদা (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ১১অক্টবর সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার মাঝগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সানজিদা ওই গ্রামের সুৃমন মন্ডলের মেয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান জানান, “সকালে শিশুটি বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করছিল। এ সময় তার মা এবং বাড়ির অন্য সদস্যরা গৃহস্থালীর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিছুক্ষণ পর শিশুটির মা তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে-
বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় তার অচেতন দেহ ভাসতে দেখেন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে নিলে। কর্তব্যরত চিকিৎসক সানজিদাকে মৃত ঘোষণা করেন।’’
এছারা নাটোরের নলডাঙ্গা হালতিবিলে আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোরে, পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে মো. মোমিন হোসেন (৩৫) নলডাঙ্গা উপজেলার খোলাবাড়িয়া এলাকার মো. নুর হোসেন মণ্ডলের ছেলে এবং নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ক্ষুদ্র পারবিশা এলাকার মো. সাদেক আলী ছেলে রায়হান আলী (৩২)।
আহত মো. সেন্টু উপজেলার খোলাবাড়িয়া এলাকার মৃত কাফাজ উদ্দিনের ছেলে এবং মকবুল হোসেনের বাড়ি রংপুর জেলায় বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে নলডাঙ্গা উপজেলার হালতিবিলে নৌকা নিয়ে তিনজন শামুক তুলতে যান।
এসময় ভোরে হঠ্যৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মোমিন হোসেন (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। এতে নৌকায় থাকা আরও একজন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে হালতিবিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে রায়হান আলী নামে আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার কর্মকর্তা ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ভোরে বজ্রপাতে মৃত্যুর এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’’