সূর্য দহনে দগ্ধ হয় মানুষ – আসাদজামান
যে উনুনে আগুন জ্বলে
লাকড়ির আর্তনাদ শুনি সেখানে
শুনি জঠরের শান্তিময়তা।
সূর্য দহনে দগ্ধ হয় মানুষ
কেউ করে সূর্যস্নান!
জ্বলে বাঁচার মধ্যে একটা আনন্দ আছে।
খড় হয়ে ঘুরি পাখিদের ঠোঁটে
বুননের কারিগর হবো বলে।
শিল্পের ভান্ডারে জমা আছে সব
কাম ক্রোধ।
নষ্ট সময় বলে অভিধানে কোন শব্দ নেই
দু’চোখ ভরে উনুন দেখি..!
সূর্য দেখি…!
সূর্যস্নানরত মানুষ দেখি…!!
তেজোদ্দীপ্ত কামনা তাড়া করে ফেরে
নদী ও জলের মত–
মোহনায় বসে আছে অনাগত বংশধর
দোর্দণ্ড প্রতাপে।
ছোঁব বলে ছুঁইনি জল
তীর খুঁজে পাবার ভয়ে!
কাল পেরিয়ে কালের পরিক্রমায়।
ঘৃণার আস্ফালন
ভালোবাসাকে ঋণী করে
জমিয়ে পলির আস্তরণ যেন গর্ভবতী হয় মাটি!
মিলনে মৈথুনে ফসলের প্রেমে।
কেউ তো রাখিনি কথা
না তুমি!
না আমি!!
জলের যমুনা হতে গড়িয়ে পড়ে জল
জিহবায় লোনা স্বাদ!
হেঁটে হেঁটে কতদূর যাবে তুমি?
গুনে গুনে মাইল ফলক
ঘাস পাবে, মরুভূমি পাবে, পাহাড় পাবে
জলাশয় পাবে, জীববৈচিত্র্য পাবে,
কোথায়ও কোন মানুষ পাবে না।
এই যে প্রণতি!
দাম্ভিকতার বোকাট্টা, মানুষের নতশির!
ঝঞ্ঝাময় পৃথিবীতে স্রেফ বেঁচে থাকার জন্য।
শব্দের মত কোলাহলে ভেঙে গেলে নিদ
তারপরও…
অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে চোখ!
ভালোবাসা বুকে তার অজস্র দহন।
চলো কলঙ্ক মুক্ত হই
তুমি আমি আর আমরা সকলে…।